শীতকালে রাতে মাত্র ২ মিনিটে চেহারা বাচ্চাদের মতো মসৃণ ফর্সা করার উপায়

এলোভেরা যেভাবে – অ্যালোভেরা ত্বকের (skin) জন্য খুবই ভালো, এটি ত্বকে ময়েশ্চেরাইজারের কাজ করে। এটি ত্বকের ভেতরে পানির চেয়ে ৩-৪ গুন দ্রুত এবং প্রায় ৭ গুনের বেশি গভীরতায় ত্বকের (skin) ভেতরে প্রবেশ করে। এছাড়া এটি অনুজ্জ্বল ত্বককে সজীব ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

আসুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে (skin czre) অ্যালোভেরার কিছু কার্যকরি প্রয়োগ:

মুখের দাগ (spot) দূর করতে:

ত্বকের(skin) যেসব জায়গায় দাগ (spot) আছে, এলোভেরার শাস বা জেল সেখানে সরাসরি প্রয়োগ করতে পারেন। রাতে ঘুমাবার আগে ত্বকের দাগগুলোতে জেলের মতো করে এলোভেরার শাস লাগান। সকালে উঠে যে কোন ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের বলিরেখা কমাতে:

অ্যালোভেরা ত্বকের(skin) বলিরেখা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরার সাথে মধু মিশিয়ে লাগালে ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ (spot) সহ বলিরেখা দূর হয়ে যায়।

মেছতা দূর করতে:

মেছতা দূর করার আরেকটি উপাদান হলো এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী পাতার জেল। এই জেলের রয়েছে ত্বকের (skin) যাবতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষমতা। আক্রান্ত স্খানে আঙুলের ডগার সাহায্যে ধীরে ধীরে জেল ঘষে লাগাতে হবে এবং সারা রাত লাগিয়ে রাখতে হবে।

এভাবে কয়েক সপ্তাহ লাগালে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া অ্যালোভেরা জেলের সাথে ভিটামিন ই এবং প্রিমরোজ অয়েল মিশ্রিত করে লাগালে এক সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যাবে।

চুলের (hair) যত্নে এলোভেরা

চুল: খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে। মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠাণ্ডা হয়। অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল (hair) পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে।

শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অ্যালোভেরার রস পুরো চুলে (hair) লাগিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর চুল থেকে হাত সরাতেই মন চাইবে না। ঘৃতকুমারী শরীরের ভীতরে যেমন কাজ করে তেমনী শরীরের উপরে ও ত্বক (skin) লাবন্যের রুপ চর্জায় বিশেষ কাজ করে। চুলের রুক্ষতা দূর করতে ঘৃতকুমারী

অতিরিক্ত রুক্ষ চুল (hair)থেকে রেহাই পেতে অনেকেই রঙ-চঙে বিজ্ঞাপনের পাল্লায় পড়ে ব্যবহার করেন নামি দামী ব্র্যান্ডের হেয়ার প্রোডাক্ট। আবার অনেকে শরণাপন্ন হন ডাক্তারের, কেউ যান পার্লারে। কিন্তু এত ঝামেলায় না গিয়ে বাসায় বসে একটু সময় বের করেই আপনি চুলের রুক্ষতা দূর করতে পারেন। তাও আবার সামান্য ঘরোয়া জিনিষপত্র দিয়েই।

আরো পড়ুন  মুখ ও গলার কালো দাগ দূর করার ২টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে চলুন দেখে নেই চুলকে রেশমের মত মোলায়েম করে তোলার সহজ একটি হেয়ার মাস্ক।
অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) হেয়ার মাস্ক

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী খুব ভালো একটি ময়েসচারাইজার। যা শুধুমাত্র ত্বকের (skin) শুষ্কতা ও রুক্ষতাই নয়, দূর করে চুলের রুক্ষতাও। অ্যালোভেরার ব্যবহার চুলের (hair)রুক্ষতা দূর করে চুলকে করবে মসৃণ, কোমল ও উজ্জ্বল।

এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ৩/৪ টেবিল চা চামচ ঘৃতকুমারী জেল, দেড় টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ৩ টেবিল চামচ টক দই। চুলের (hair) ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।

একটি পাত্রে সকল উপাদান একসাথে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন ভালো করে।

২০-৩০ মিনিট চুলে (hair)লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবং একটি মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন। প্রথম ব্যবহারেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন! সপ্তাহে ৩ বার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পেতে।

ঘৃতকুমারীর পাতা থেকে জেল বের করার নিয়ম

বাসায় ঘৃতকুমারীর পাতা থেকে খুব সহজেই জেল বের করে নিতে পারেন। প্রতিবার তাজা পাতা ব্যবহার করলে ফলাফল বেশি পাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজনে এটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।

একটি ঘৃতকুমারী পাতা নিয়ে এর গোড়ার দিকের অংশ কেটে নিন। এরপর কাটা অংশটি নিচের দিকে ধরে রাখুন।
এতে করে পাতা থেকে হলদেটে একটি রস (juice) বের হবে। এই রসটি পুরোপুরি বের না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই ধরে রাখুন। তারপর হলদেটে রসটি ফেলে দিন।

হলদেটে রস (juice)পড়া বন্ধ হলে পাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর পাতার দুইদিকের কাঁটা ভরা অংশ কেটে ফেলে দিন।

কাঁটা ফেলে দেবার পর পাতার সবুজ অংশ চেঁছে ফেলে দিন ও ভেতরের স্বচ্ছ জেলের মত অংশ সংরক্ষণ করুন। এটাই ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা জেল, যা আপনি ফেসপ্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন।

চিরতরে ঘাড়ের কালো দাগ (spot) দূর করুন ঘরোয়া ৫ টি উপাদান ব্যবহারে

ঘাড়ের কালো দাগের (spot) সমস্যাটি অনেকেরই হয়ে থাকে। ছেলে কিংবা মেয়ে, যে কারোরই এই বিব্রতকর সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। মুখের ত্বকের রঙের সাথে ঘাড়ের ত্বকের রঙ যেন আকাশপাতাল পার্থক্য! ঘাড়ের অংশের ত্বকে এমন কালো দাগ (spot) পড়ে যাবার সমস্যটি হয়ে থাকে ত্বকের পিগমেন্টেশন ডিসঅর্ডারের জন্য। এই সমস্যাটি কে বলা হয়ে থাকে Acanthosis Nigricans. ত্বকের এই সমস্যাটি ছোঁয়াচে কিংবা সংক্রামক নয় একেবারেই।

আরো পড়ুন  স্কিনকে উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত করতে আলুর ৫টি ফেসপ্যাক

বয়স জনিত কারণে, রোদের তাপের কারণে অথবা বাইরের ধুলাবালির কারণে ঘাড়ের এমন কালো দাগ (spot) দেখা দিতে পারে। তবে ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়ে একদম সহজ কিছু উপায়ে খুব সহজেই ঘাড়ের এই কালো দাগ একেবারেই দূর করে ফেলা সম্ভব। আজকের এই ফিভার থেকে জেনে নিন, ঘরের পাঁচটি সহজলভ্য উপাদান দিয়ে দিয়ে কীভাবে ঘাড়ের দাগ কমাতে এবং দূর করতে পারবেন আপনি।

১/ অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন রকম উপাদান যা ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে দিয়ে নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে, ঘাড়ের কালো দাগে (spot) নিয়মিতভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারলে কালো দাগ (spot) একেবারেই দূর হয়ে যাবে। এর জন্যে আপনাকে বাড়তি কোন কাজ করতেই হবে না তেমন।

শুধুমাত্র অ্যালোভেরার পাতা থেকে অ্যালোভেরার ঘন এবং আঠালো জেল এর অংশটি চামচ দিয়ে সাবধানতার সাথে উঠিয়ে নিয়ে ঘাড়ের কালো অংশ লাগিয়ে নিতে হবে। কিছুটা শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন নিয়ম মাফিক করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

২/ শসা

শসা এমন একটি উপাদান যা কিনা সকলের ঘরেই পাওয়া যায় সবসময়। শসা ত্বকের যত্নের জন্যে ভালো হলেও, ঘাড়ের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে খুব দারুণ কাজে দেয়। শসাতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা কিনা ত্বকের কোষগুলোকে আবার নতুনভাবে গড়ে তুলতে এবং মরা কোষগুলোকে সরিয়ে দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

ঘাড়ের কালো দাগ (spot) দূর করার জন্যে শসা কুঁচি করে কেটে সম্পূর্ণ ঘাড়ে খুব ভালোভাবে ১০-১৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করতে হবে এবং এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। অথবা, সমপরিমাণ শসার রস এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ঘাড়ের চারপাশে তুলার বলের সাহায্যে ধীরে ধীরে লাগাতে হবে। ১০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে খুব ভালোমতো ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩/ লেবুর রস

লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড, যা প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা মরা কোষ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে, লেবু ঘাড়ের জেদী কালো দাগ (spot) দূর করার ক্ষেত্রে খুবই ভালো একটি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন  শীতে শুষ্ক ত্বকের বিশেষ যত্ন

ঘাড়ের কালো দাগ (spot) দূর করার জন্যে লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে নিয়ে এরপর তুলার বলের সাহায্যে ঘাড়ের কালো অংশে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, লেবুর রস লাগানোর পর সরাসরি রোদে বের হওয়া যাবে না।

এছাড়া আরেকটি চমৎকার উপায় রয়েছে লেবুর রস ব্যবহারের। সমপরিমাণ লেবুর রস এবং গোলাপজল মিশিয়ে ঘাড়ের কালো অংশে লাগিয়ে রাতে ঘুমিয়ে যেতে হবে। সকালে উঠে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রক্রিয়া মেনে চললে খুব দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

৪/ বেকিং সোডা

প্রাকৃতিক স্কিন এক্সফলিয়েটর হিসেবে বেকিং সোডা সবচেয়ে ভালো কাজ করে থাকে। যা ত্বকের উপরিভাগ পরিস্কার করে, ত্বকের কালো গাদ দূর করে এবং কালো হয়ে যাওয়া অংশকে আগের রূপে ফিরে যেতে সাহায্য করে থাকে। এটা প্রমাণিত যে, বেকিং সোডা এবং পানির মিশ্রণ ঘাড়ের কালো দাগ (spot) দূর করতে অনেক বেশী কার্যকরী।

ঘাড়ের কালো দাগ (spot) দূর করার জন্যে তিনভাগ বেকিং সোডা এবং একভাগ পানি মিশিয়ে খুব ঘন একটি পেস্ট তৈরি করুন। এখন এই পেস্টটি ঘাড়ের চারপাশে বিশেষ করে কালো হয়ে যাওয়া অংশে লাগিয়ে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এই পদ্ধতিতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারলে দেখবেন ঘাড়ের কালো দাগ (spot) একেবারেই দূর হয়ে গেছে।

৫/ আলু

বলা হয়ে থাকে সকল সবজির রাজা আলু। এই সবজির রাজা আলু শুধু খেতেই যে দারুণ তা কিন্তু নয়। এই সবজী আপনার ত্বকের বিভিন্ন রকম প্রয়োজনেও দারুণ উপকারি। আলুতে থাকা এনজাইম খুব চমৎকার প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে থাকে, যার ফলে ত্বকের কালো অংশ সরে গিয়ে ত্বকের প্রকৃত রঙ দেখা দেয়।

আপনার ঘাড়ের বাজে কালো দাগ (spot) দূর করার জন্যে আলু কুচি অথবা আলুর রস ঘাড়ের চারপাশে সুন্দরভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে দিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অথবা আলুর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে শুধুমাত্র ঘাড়ের কালো হয়ে যাওয়া অংশটুকুতে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মতো রেখে এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি প্রতিদিন এই নিয়মটি মানতে পারেন তবে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.