মোজায় দুর্গন্ধ দূর করবেন যেভাবে শিখে রাখুন

অতিরিক্ত পা ঘামা খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা, বিশেষ করে অনেকেরই শীতকালে খুব পা ঘামে। আর ঘেমে যাওয়া পায়ে খুব দ্রুত ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, যার ফলে পায়ে বিশ্রী দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে মোজায় পারফিউম বা পাউডার (powder) মেখেও লাভ হয় না। জেনে নিন কীভাবে মুক্তি পাবেন এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে।

১) সুতির মোজা ব্যবহার করুন।

২) যাদের এমন সমস্যা (problem) হয়, তাদের ঘন ঘন চা বা কফি না খাওয়াই ভাল।

৩) মশলাদার (স্পাইসি) খাবার এড়িয়ে চলুন।

৪) সপ্তাহে অন্তত একবার জুতার ভিতরে সুগন্ধি পাউডার (powder) দিয়ে, ভাল করে কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

৫) মাঝে মধ্যে জুতাগুলোকে রোদে দিন।

৬) একই মোজা দু’দিনে ব্যবহার (use) করবেন না।

৭) নিয়মিত পা পরিষ্কার (clean) রাখুন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে গরম পানিতে একটু লবণ ফেলে ভাল করে পা ধুয়ে নিন।

৮) ভাল করে পা মুছে, ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

যেভাবে আপনার প্রিয় মানুষের মন জয় করবেন
দেখা যায় আপনি নতুন (new) কোন মানুষের সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। অথবা লজ্জা পাচ্ছেন। কাজ করছে সংকোচ এবং দ্বিধা।

মানুষকে আপন করে নেওয়ার কলা কৌশল (trick) পৃথিবীর খুব কম মানুষই জানে। এটি একটি বিশেষ দক্ষতা। হয়তো দেখে থাকবেন আপনারই পরিচিত কেউ অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে অন্য যে কোন মানুষের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে পারে। মানুষের (man) সাথে খুব সুন্দরভাবে মিশতে পারে।

কথা বলতে পারে। ফলে তাদের সে সম্পর্ক টেকে অনেকদিন। অথচ দেখা যায় আপনি নতুন (new) কোন মানুষের (man) সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। অথবা লজ্জা পাচ্ছেন। কাজ করছে সংকোচ এবং দ্বিধা।

আরো পড়ুন  ত্রিশের কোঠায় মানুষ সবচেয়ে বড় যে ৭টি ভুল করে থাকে

ভাবছেন কি দিয়ে শুরু করবেন অথবা কি বলে কথা চালিয়ে যাবেন। আজ আপনাদের কাছে শেয়ার করবো কিভাবে ৫ মিনিটের মধ্যে মানুষকে (man) আপন করে নিতে পারবেন। তবে বিস্তারিত শুরু করার আগে একটা কথা মনে রাখবেন একই সূত্র সবার জন্য সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে।

কারন পৃথিবীর কোন সম্পর্কই কোন নির্দিষ্ট সূত্র দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। এটি স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। আর একটি জিনিস দেখবেন এই ধরনের মানুষেরা যারা মানুষকে (man) আপন করে নিতে পারে তারা কখনই কোথাও আটকে থাকে না।

মানুষ তাদেরকে দু হাত ভরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। মানুষ তাদের ভালোবাসে। আপনিও যদি মানুষের ভালোবাসা পেতে চান।

অথবা মানুষের (man) মনে দীর্ঘদিন স্থান পেতে চান, তাহলে টিপস গুলো ফলো করতে পারেন। আশাকরি এই টিপস গুলো জীবনে অনেক কাজে দেবে।

তো আর কালক্ষেপন না করে আমরা চলে যাচ্ছি বিস্তারিত কলা কৌশলেঃ (trick)

(১) প্রথম সাক্ষাতেই কুশল বিনিময় করুনঃ
এটি একটি সাধারন ভদ্রতা। এই সারা পৃথিবীর সকল স্থান, কাল ও পাত্র অনুযায়ী একই হয়। কোন মানুষের (man) সাথে প্রথম দেখা কিংবা পরিচিতির প্রথম ধাপই হচ্ছে কুশল বিনিময়।

আর কুশল বিনিময়ের একদম শুরুতেই নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সালাম কিংবা নমস্কার অথবা এরকম কিছু দিন। পুুরুষ হলে তার সাথে হ্যান্ড শেক করুন।

আরো পড়ুন  স্মৃতিশক্তি প্রখর করে তোলার ৬টি মজার উপায় জেনে নিন

আর যদি ধর্মীয় বিশ্বাসকে এভয়েড করতে চান তাহলে গুড মর্নিং বা এরকম কিছু বলুন। তবে চেষ্টা করবেন মৃদ্যু হাসি বিনিময় করে সালাম দিতে। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা আছে।

পরিবেশ বুঝতে হবে। সব পরিবেশে আবার হাসবেন না। যেমন- ধরুন কোন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গেলেন তখন হাসি বিনিময় করে সালাম দেয়াটা আবার বোকামি। তাই আশেপাশের পরিবেশ, পরিস্থিতি খেয়াল করে কুশল বিনিময় করুন।

২) চোখে চোখ রেখে কথা বলুনঃ

মানুষকে (man) আপন করে নিতে এখানেই মানুষ (man) ভুলটা বেশি করে। ধরুন আপনি কারো উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছেন।
তখন অপর পাশের ব্যক্তি মোবাইল টিপছে বা অন্যদিকে তাকিয়ে আছে, কেমন লাগবে আপনার? আশাকরি তাতে আপনি ভালো বোধ করবেন না।

ঠিক তেমনি যখন কেউ আপনার সাথে কথা বলবে, আপনি তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো শুনুন। এতে আপনি যে তার কথা মনযোগ সহকারে শুনছেন, সেটা সে পছন্দ করবে।

(৩) ঝুঁকে বসুনঃ

মানুষকে (man) আপন করে নেয়ার এটি একটি অন্যতম কৌশল (trick) । যখন বসে অন্য কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন তখন হেলান দিবেন না।

অথবা কোন দিকে কাত হয়ে বসবেন না। একদম সোজা হয়ে একটু তার দিকে ঝুঁকে বসুন। মানে মাথাটা একটু এগিয়ে দিন। তাতে ওই ব্যক্তি মনে করবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে সহজেই আপনাকে সে আপন ভেবে কথা বলবে।

(৪) কথার উত্তর দিনঃ

মানুষকে (man) আপন করে নেয়ার আরেকটি কৌশল (trick) হচ্ছে কথা কম বলুন আর শুনুন বেশি। তবে রোবটের মতো কথা শুধু শুনেই যাবেন না।

আরো পড়ুন  ঈদের ইতিহাস - কী ভাবে প্রচলিত হল ঈদ উত্‍সব?

মাঝে মাঝে কথার মাঝখানে হ্যা, হু, ও আচ্ছা, তাই! এরকম কিছু শব্দ ব্যবহার করুন। এর মানে আপনি যে তার সাথে কথাগুলো শেয়ার করছে, সেটা মিন করে।

তবে খেয়াল রাখবেন, হ্যা, হু, ও আচ্ছা, তাই! এগুলো যেন প্রতি শব্দের সাথে সাথে না বলেন। তাহলে ব্যাপারটা মেকি হয়ে যাবে। সিচ্যুয়েশন বুঝে কথার উত্তর দিবেন।

(৫) আমি, আমার এই শব্দগুলো পরিহার করুনঃ

মানুষকে (man) আপন করে নেয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে এটা। মানুষ মানুষকে (man) অপছন্দ করার সবথেকে বেশি কারন হচ্ছে এটা। ধরুন আপনি কারো সাথে দেখা করতে গিয়ে খালি নিজের কথা বলেই যাচ্ছেন।

আমি এটা করেছি, ওটা করেছি, আমার এটা হয়েছে ওটা হয়েছে – এই ধরনের কথা মানুষ (man) খুব অপছন্দ করে।

যেমনঃ কারো সাথে দেখা করতে গিয়ে বললেন, ভাই আমি বিশাল বড় বেতনের একটা চাকরি পেয়েছি। আমার তাতে ভীষন খুশি লাগছে। আমার মা আমাকে দোয়া করেছে।

আমার বাবা পিঠ চাপড়েছে। আমার ভাই গিফট দিয়েছে। আমার বোন এটা করেছে, ওটা করেছে। এই ধরনের কথায় মানুষ (man) অস্বস্তিবোধ করে।

প্রাকৃতিকভাবেই মানুষ মানুষের (man) সাফল্য সহ্য করতে পারেনা। আবার ধরুন বললেন, ভাই আমি সমস্যায় আছি। আমার গরু মারা গেছে। আমার বিড়াল মারা গেছে। আমার মোবাইল চুরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.