ঈদের ইতিহাস – কী ভাবে প্রচলিত হল ঈদ উত্‍সব?

সব জাতিরই সুনির্দিষ্ট কিছু উৎসব রয়েছে। জাহেলি যুগেও আরবে নওরোজ ও মেহেরজান নামের দুটি উৎসব ছিল। আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের এর চেয়ে উত্তম দুটি উৎসব উপহার দেন। তা হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। এক মাস সিয়াম সাধনার পর পহেলা শাওয়াল পালন করা হয় ঈদুল ফিতর। আর ১০ জিলহজ পালন করা হয় ঈদুল আজহা।

ঈদের ইতিহাস
ঈদের ইতিহাস

ঈদের ইতিহাস – কী ভাবে প্রচলিত হল ঈদ উত্‍সব?

নামকরণ

ঈদ শব্দটি আরবি। অর্থ খুশি, আনন্দ, অনুষ্ঠান, উৎসব, পর্ব ইত্যাদি। শব্দের মূল রূপ হলো আওদ, যার অর্থ ফিরে আসা। লিসানুল আরব অভিধানে রয়েছে, আরবদের কাছে ঈদ বলা হয় এমন সময়কে, যে সময় আনন্দ ও দুঃখ ফিরে আসে। আল মুহিত অভিধানে রয়েছে, যে রোগ, দুঃখ, দুশ্চিন্তা বা অনুরূপ কোনো কিছু বারবার ফিরে আসে তাকে ঈদ বলা হয়। আল মুনজিদ অভিধানে বলা হয়েছে, ঈদ এমন দিনকে বলা হয়, যাতে লোকজনের সমাগম হয় বা কোনো সম্মানিত ব্যক্তি অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনার স্মৃতিচারণা করা হয়।

ঈদ প্রতিবছর সাজগোজ, আনন্দ-খুশি ও নতুন পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে ফিরে আসে। এ কারণে ঈদের দিনকে আনন্দ ও খুশির দিন বলা হয়। অভিধানে বলা হয়েছে, ঈদকে এ জন্য ঈদ বলা হয় যে তা প্রতিবছর নতুন আনন্দ ও খুশি নিয়ে ফিরে আসে। কোরআন মজিদেও ঈদ শব্দের ব্যবহার রয়েছে; যেমন—মরিয়ম তনয় ঈসা বলল, ‘হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য আসমান থেকে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা প্রেরণ করুন, তা আমাদের ও আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সবার জন্য হবে ঈদ আনন্দোৎসব এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১১৪) এই আয়াতে আসমানি খাদ্য নাজিল হওয়ার দিনটি পরবর্তীদের জন্য স্মৃতিচারণার দিন হওয়ায় তাকে ঈদ বলা হয়েছে।

ঈদের প্রবর্তন

মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর ঈদের প্রবর্তন হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় পৌঁছে দেখতে পান যে মদিনায় বসবাসকারী ইহুদিরা শরতের পূর্ণিমায় নওরোজ উৎসব এবং বসন্তের পূর্ণিমায় মেহেরজান উৎসব উদ্যাপন করছে। তারা এ উৎসবে নানা আয়োজন, আচার-অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন আনন্দ উৎসব করে থাকে। মহানবী (সা.) মুসলমানদের এ দুটি উৎসব পালন করতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তোমাদের ওই উৎসবের বিনিময়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো পবিত্র দুটি দিন দান করেছেন। এতে তোমরা পবিত্রতার সঙ্গে উৎসব পালন করো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মহানবী (সা.) যখন মদিনায় আগমন করেন তখন তাদের দুটি দিন ছিল, যাতে তারা উৎসব পালন করত। তিনি জিজ্ঞেস করেন, এ দুটি কিসের দিন? তারা বলল, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিন খেলাধুলা ইত্যাদি উৎসব পালন করতাম। এ নিয়মই চলে আসছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য এ দুটির পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। তা হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১১৩৬; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১৩৬৪৭)

মদিনায় প্রথম ঈদ

মুসলমানরা প্রথম ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ে দ্বিতীয় হিজরি মোতাবেক ৬২৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০ বা ৩১ মার্চ। তখনকার ঈদে বর্তমান ঈদের মতো নতুন জামাকাপড়, কেনাকাটার ধুমধাম ছিল না। তবে আনন্দ-খুশি কম ছিল না। মহানবী (সা.) ঈদের দিন ছোট-বড় সবার আনন্দের প্রতি খেয়াল করতেন। মদিনার ছোট ছোট শিশু-কিশোরের সঙ্গে বিশ্বনবী (সা.) আনন্দ করতেন। শরিয়তের অন্তর্ভুক্ত সব আনন্দ করার অনুমতি দিতেন। বালিকা বয়সী আয়েশা (রা.)-এর মনের বাসনাও রাসুল (সা.) পূরণ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, একদা ঈদের দিন আবিসিনিয়ার কিছু লোক লাঠি নিয়ে খেলা করছে। মহানবী (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করেন, হে আয়েশা! তুমি কি লাঠিখেলা দেখতে চাও? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি তখন আমাকে তাঁর পেছনে দাঁড় করান, আমি আমার গাল তাঁর গালের ওপর রেখে লাঠিখেলা দেখতে লাগলাম। তিনি তাদের উৎসাহ দিয়ে বললেন, হে বনি আরফেদা! লাঠি শক্ত করে ধরো। আমি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তিনি তখন বলেন, তোমার দেখা হয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তাহলে এবার যাও।

ঈদে রাসুল (সা.)-এর আমল

মহানবী (সা.) ঈদের দিনে গোসল করতেন, সুগন্ধি ব্যবহার করতেন, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে উত্তম পোশাক পরতেন। ঈদুল ফিতরে কিছু মিষ্টি দ্রব্য খেতেন।

ঈদুল আজহায় কিছু খেতেন না। কোরবানির গোশত দিয়ে দিবসের প্রথম আহার করতেন। ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যেতেন, অন্য রাস্তা দিয়ে আসতেন। তিনি ঈদে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাতেন। গরিব-দুঃখীদের খোঁজখবর নিতেন। অতঃপর ঈদগাহে গিয়ে অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। নামাজ থেকে ফারেগ হয়ে খুতবা দিতেন। ঈদুল ফিতরের খুতবায় ঈদের করণীয় কাজ এবং ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব বর্ণনা করতেন।

সাহাবায়ে কেরামের ঈদ

সাহাবায়ে কেরাম সর্বক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করতেন। তাঁরা এ বাক্যের মাধ্যমে ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অর্থাৎ মহান আল্লাহ আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন।

সাহাবায়ে কেরাম মাহে রমজানে গুনাহ মাফ হয়েছে কি না, এ ব্যাপারে বেশি চিন্তিত থাকতেন। তাই আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর ফারুক (রা.) ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে বলতে থাকেন, আমার গুনাহ মাফ না হলে আমি ঈদগাহে গিয়ে কিভাবে ইমামতি করতে পারি। তাঁদের ঈদে নতুন জামা, জুতা ও খাওয়াদাওয়ার ধুমধাম ছিল না। তবে আনন্দ কম ছিল না।

আরো পড়ুন  ফ্রিজে দাগ ফেলার শাস্তি কি এমন হওয়া উচিত?

মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করা, তাঁকে কাছে পাওয়া, তাঁর নির্দেশ পালন করাই ছিল তাঁদের প্রকৃত আনন্দ। ঈদের দিন অনেক দূর থেকে সাহাবায়ে কেরাম ছুটে যেতেন মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য এবং তাঁর পেছনে দুই রাকাত নামাজ পড়ার জন্য।

রাসূলুল্লাহ সা. মক্কায় ১৩ বছর থাকাকালীন সিয়াম ও ঈদের বিধান ছিল না। অতঃপর মক্কার কাফিরদের অবর্ণনীয় নির্যাতনে আল্লাহর নির্দেশে তিনি মদীনায় হিজরত করেন।

মদীনায় মুশরিকরা বছরে ২টি দিন পালন করত। ইচ্ছামত খেল তামাশা, গানবাজনা, রঙ তামাশা ও লাগামহীন উচ্ছৃঙ্খলতায় কাটাত।

আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের এ ২ দিনের পরিবর্তে মুসলিমদের ২টি ঈদের ব্যবস্থা করে দেন। আনাস রা. বলেন, ‘প্রতি বছর মুশরিকদের জন্য ২টি দিন ছিল। যেদিন তারা খেল তামাশা করত। অতঃপর নাবী সা. যখন মদীনায় আসেন তখন তিনি বলেন, তোমাদের ২টি দিন ছিল, যেদিনে তোমরা খেল তামাশা করতে। তাই আল্লাহ তাআলা ঐ ২টি উৎসবকে তোমাদের খাতিরে উত্তম জিনিস দ্বারা বদলে দিয়েছেন। তাহল, ইয়াওমুল ফিতর ও ইয়াওমুল আযহা।’ (নাসায়ী, ১/১৭৭, আবু দাউদ, ১/১৬১)

ঈদ অর্থ যা বার বার ফিরে আসে। প্রতি বছর ইয়াওমুল ফিতর ও ইয়াওমুল আযহা ফিরে আসে এজন্য ইসলামী শরীয়াতে ঐ ২টি ঈদ নামে বিশেষিত করা হয়েছে।

■ ঈদের নামাযে বিধানঃ

ঈদের নামাজের গুরুত্বের ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। হানাফী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ওয়াজিব , মালিকি ও শাফেয়ী মাযহাব অনুসারে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এবং হাম্ববলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ। কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে আইন এবং কোনো কোনো ইসলামী পণ্ডিতের মতে ঈদের নামাজফরজে কেফায়া ।
দ্বিতীয় হিজরীতে ঈদের নামায আবশ্যক হয়। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, ঈদের নামায পড়ার বিধান নাযিল হওয়ার পর থেকে রাসূল (স.) মৃত্যু পর্যন্ত কোন বছরই কোন ঈদের নামায পড়া বাদ দেননি। তেমনি খুলাফায়ে রাশিদীনের কেউ তা বাদ দেননি। এর দ্বারা ঈদের নামায আবশ্যক হওয়া প্রমাণিত হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে বর্জন করলে গুনাহাগার হবে।

■ ঈদের নামাযের সময়ঃ

সূর্য আনুমানিক তিন গজ পরিমাণ উপরে উঠার পর অর্থাৎ সূর্যোদয়ের ২৩/২৪ মিনিট পর থেকে দ্বি-প্রহরের পূর্ব পর্যন্ত ঈদের নামাযের ওয়াক্ত। সূর্য তিন গজ পরিমাণ উপরে উঠা পর্যন্ত সময়টুকুকে তার উদয়কাল বলে গণ্য করা হয়। এ সময়ে কোন নামায পড়া জায়েয নেই। ঈদুল আযহার নামায অপেক্ষাকৃত আগে এবং ঈদুল ফিতরের নামায কিছু বিলম্বে আদায় করা উত্তম। যেহেতু ঈদুল আযহার নামাযের শেষে কুরবানী দিতে হয়। সেজন্য ঈদুল আযহার নামায যথাশীঘ্রই আদায় করা উত্তম। [সম্পাদনা পরিষদ, ফাতওয়া ও মাসাইল, তৃতীয় খন্ড, ২য় সংস্করণ (ঢাকাঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ১৪১৫ হি./২০০৪ খ্রি.), পৃ. ৩৯৭]।

■ঈদের নামাযের স্থানঃ

হযরত আবু সাঈদ আল খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (স.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে যেতেন এবং সকলকে সাথে নিয়ে ঈদের নামায পড়তেন।
নবী (স.) মসজিদে নববীতে ঈদের নামায না পড়ে সকলকে নিয়ে ঈদগাহে চলে যেতেন এবং সেখানে নামায আদায় করতেন। তাই আলিমদের মত হলো, ঈদগাহে নামায পড়া উত্তম। অবশ্য মসজিদে পড়ে নিলেও ঈদের নামায আদায় হয়ে যাবে, তবে বিনা ওজরে মসজিদে ঈদের নামায না পড়া ভাল। (প্রাগুক্ত)।বৃষ্টির কারণে মসজিদে ঈদের নামায পড়া জায়েয আছে। হযরত আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার ঈদের দিনে বৃষ্টি হল, তখন রাসুল (স.) তাদেরকে নিয়ে মসজিদে ঈদের নামায পড়লেন। (আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৬২)। এতে বুঝা যায়, বৃষ্টি বা অন্য কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে ঈদের নামায মসজিদে পড়া জায়েয।

■ বর্তমান পরিস্থিতিতে ঈদের নামাযের বিধান ও প্রক্রিয়াঃ

বিরাজমান কোভিড১৯ করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ধরাশায়ী আজ পুরো বিশ্ব। যার দরুণ ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনের সকল স্বাভাবিক কাযকর্ম। তাই বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় কেবল মসজিদ ঈদের সালাত আদায় করার অনুমতি প্রদান করেছে। বিধায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের সালাত আদায় করতে পারেন।‌ বহির্বিশ্বের যেখানে ঈদের সালাত আদায় করার অনুমতি নেই সেখানে নিজেদের ঘরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সালাত আদায় করতে পারেন। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের ফতোয়া এটা। দারুল উলূম দেওবন্দও এই ফাতওয়া দিয়েছেন।হযরত আনাস রাঃ একদা ঈদের সালাতের জামাত না পেয়ে নিজের ঘরে পরিবারের সদস্য ও গোলামদের নিয়ে জামাতে ঈদের সালাত আদায় করেছেন।‌ তবে তিনি খুতবা দেননি।[আসারুস সুনান পৃ. ২২৭। বুখারীর সনদে বর্ণিত হাদীস নং ৯৭৬] তাই ঘরে ঈদের সালাত আদায় করলে খুতবা দেবেন না।
আর যদি একাকী থাকেন তবে ঈদের সালাত আদায় না করার পক্ষে স্কুল অব হানাফী থটের মত। ইবনে তাইমিয়া র. ও ইবনে উসাইমিন র. এ মত গ্রহণ করেছেন [শারহু মুমতী ৫/১৫৬]। ঈদের সালাত ছুটে গেলে ইবনে মাসউদ রাঃ এর বর্ণনা সূত্রে কিছু ফুক্বাহায়ে কেরাম চার রাকাত নফল সালাত আদায় করার কথাও বলেছেন।

মূল কথা হচ্ছে এগুলো কিয়াসী মাসআলা। এতে স্কলারদের মতভিন্নতা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে করণীয় হল ঈদের সালাত সুযোগ থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরের বাহিরে জামাতের সাথে আদায় করবেন। না হলে ঘরে জামায়াতের সাথে আদায় করবেন। সেটা সম্ভব না হলে চার রাকাত নফল সালাত পড়তে পারেন। ওযরের কারণে কিছুই না পারলে আশাকরি আল্লাহ তায়ালা এরজন্য পাকড়াও করবেন না।

■ ঈদের রাতের ফযীলতঃ

যে সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখা যায় সে রাতকে ঈদের রাত বলা হয়। এ রাতের অনেক গুরুত্ব ও ফযীলতের কথা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। কয়েকটি হাদীস নিম্নে তুলে ধরা হলো।১। হযরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (স.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর নিকট সাওয়াব প্রাপ্তির নিয়তে ইবাদত করবে তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (ইবন মাজাহ, হাদীস নম্বর ১৭৮২, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নম্বর-১৫৯)।
২। হযরত মু‘আয ইবন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (এক). যিলহাজ্জ মাসের ৮ তারিখ রাত, (দুই). যিলহাজ্জ মাসের ৯ তারিখ রাত, (তিন). ঈদুল আযহার রাত, (চার). ঈদুল ফিতরের রাত এবং (পাঁচ). ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৯৮, হাদীছ নম্বর-১৬৫৬)।
৩।হযরত আউস আল আনসারী (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন সকালে সকল ফিরিশতা রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান এবং মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, হে মুসলিমগণ! তোমরা দয়ালু প্রতিপালকের দিকে এগিয়ে আস। উত্তম প্রতিদান ও বিশাল সাওয়াব প্রাপ্তির জন্য এগিয়ে আস। তোমাদের রাত্রিবেলার নামাযের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তোমরা সে নির্দেশ মেনে নামায পড়েছ। তোমাদেরকে দিনগুলোতে রোজা রাখতে বলা হয়েছিল, তোমরা সে নির্দেশও পালন করেছ, এক মাস রোজা রেখেছ। গরীব দুঃখীরদের পানাহারের মাধ্যমে নিজ প্রতিপালককে তোমরা পানাহার করিয়েছ। এখন নামায পড়ার মাধ্যমে সেগুলোর প্রতিদান ও পুরস্কার গ্রহণ কর। ঈদের নামায পড়ার পর ফিরিশতাদের মাঝে একজন ঘোষণা দেন, শোন, নামায আদায়কারীরা! তোমাদেরকে মহান রাব্বুল আলামীন মাফ করে দিয়েছেন, সকল গুনাহ থেকে মুক্ত অবস্থায় নিজ নিজ আবাসে ফিরে যাও। আর শোন! এ দিনটি হচ্ছে পুরস্কার প্রদানের দিন। আকাশে এ দিনের নামকরণ করা হয়েছে ‘পুরস্কারের দিন’ [আল মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হাদীস নম্বর-৬১৭ ও ৬১৮]

**ঈদের দিনের সুন্নাত ও মুস্তাহাবসমূহঃ ঈদুল ফিতরের দিন নিম্নলিখিত কাজগুলো সম্পাদন করা মুস্তাহাব। ১. নিজ মহল্লার মসজিদে ফজরের নামায আদায় করা। ২. মিসওয়াক করা। ৩. গোসল করা। ৪. খুশবু ব্যবহার করা। ৫. সাদাকাতুল ফিতর নামাযের পূর্বেই আদায় করা। ৬. সাধ্যানুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা। ৭. খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করা। ৮. ঈদের ময়দানে যাওয়ার পূর্বে কিছু নাশতা করা। ৯. মিষ্টি জাতীয় ও বিজোড় সংখ্যার খেজুর দিয়ে এই নাশতা করা। ১০. সামর্থ্য অনুযায়ী অধিক পরিমাণ দান সাদাকা করা। ১১. আগেভাগে ঈদাগাহে যাওয়া। ১২. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া। ১৩. ঈদগাহে এক পথে যাওয়া এবং অপর পথে ফিরে আসা। ১৪. ঈদগাহে যাওয়ার সময় চুপে চুপে তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা। তাকবীরে তাশরীক হলো, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, অল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, অলিল্লাহিল হামদ।

**ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য: পৃথিবীর প্রতিটি জাতির জীবনেই উৎসব রয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের আনন্দ উৎসব পৃথিবীর অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠি-ধর্মের উৎসবের চেয়ে কিছুটা ভিন্নধর্মী। অন্যান্য জাতি-ধর্মের উৎসব হলো খাও দাও ফুর্তি কর। তাদের আনন্দ উৎসব অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় ভরপুর। ইসলাম প্রবর্তিত আনন্দ-উৎসব ইহকালীন ও পরকালীন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলমানদের ঈদ নিছক উৎসবই নয় বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। এটিই ইসলামের সৌন্দর্য।মুসলমানদের ঈদের ইহকালীন তাৎপর্য হলো, রমজান শেষে সাদাকাতুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার কুরবানীর চামড়া দিয়ে অসহায়-গরীবদের আর্থিক সহায়তার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। অস্বচ্ছল পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বা কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে দুুটি ঈদ যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ঈদের পরকালীন তাৎপর্য হলো, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রমজান মাসকে বিভিন্ন ধরনের নিয়ামতে ভরপুর করেছেন। এ মাসেই মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে। দিনে রোজা রাখার এবং রাত্রিকালীন ইবাদতের মধ্যে অনেক ফযীলতের কথা বিধৃত হয়েছে। লাইলাতুল কদর নামক হাজার রাতেরও চেয়েও শ্রেষ্ঠ একটি মহিমান্বিত রাত দান করা হয়েছে এ মাসে। পাপ মোচনের এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ এসে যায় রমজান মাসে। এ সমস্ত নিয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ আনন্দ উৎসবের ব্যবস্থা। কাজেই ঈদ নিছক আনন্দ উৎসব নয়, এটি একটি ফযীলতপূর্ণ ইবাদত এবং সে কারণেই ঈদের রাতে এবং ঈদের দিনের অনেক ফযীলতের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদীসে।ঈদুল ফিতর মর্যাদাপূর্ণ ইবাদতে পরিণত হবে তাদের জন্য যারা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে রমজানের রোজা পালন করেছে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা ফরজ করেছেন সেই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে রোজা রেখেছেন তথা তাকওয়া অর্জন করেছেন। যারা পাপমুক্ত জীবন গঠনের মানসিকতা অর্জন করেছে এবং যারা ইসলামের নির্দেশনার গন্ডির মধ্যে থেকে আনন্দ উৎসব পালন করেছে অর্থাৎ যাদের আনন্দ উৎসবে অশ্ললীলতা ও বেহায়াপনা নেই। প্রকৃতপক্ষে এ ঈদ হলো এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। পরবর্তী এগারো মাস সেই প্রশিক্ষণ অনুযায়ী জীবনের বাঁকে বাঁকে চলার এক সফল প্রতিশ্রুতি। তাই একদিকে ঈদুল ফিতর যেমন সিয়াম সাধনার সমাপ্তি ঘোষণা করে, অপর দিকে তা নির্মল আনন্দও বয়ে আনে। প্রকৃত রোজাদারদের জন্য রাসুলুল্লাহ (স.) এর ঘোষণা হলো, ‘যারা যথাযথভাবে সিয়াম সাধনা করে তারা ঈদের নামায শেষে নবজাতক শিশুর ন্যায় পাপমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের জীবনে সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন’।অপরপক্ষে যারা রোজা রাখতে সক্ষম হওয়া সত্তে¡ও রোজা রাখেনি বা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে রোজা রাখেনি বা যারা ইসলামের নির্দেশনার গন্ডির মধ্যে থেকে উৎসব পালন করেনি তথা যারা অশ্লীলতা ও বেহায়পনার মাধ্যমে উৎসব পালন করেছে তাদের জন্য এটি ঈদ নয়, বরং তাদের জন্য এটি থার্টি ফার্স্ট নাইট বা ক্রিস ম্যাস ডে’র মতো। তাদের ঈদ হলো পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কেবল আনন্দ-ফুর্তি করা, নতুন পোশাক পরে ঘোরা-ফেরা করা এবং হরেক রকম খাদ্য তৈরীর প্রতিযোগিতা করা। রোজার সাথে যাদের আদৌ কোন সম্পর্ক নেই তাদেরকেই বেশি দেখা যায় ঈদ উৎসবের নামে অনৈসলামি ও অপসংস্কৃতির গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে যথেচ্ছারিতায় মেতে উঠতে। তাদের মধ্যেই চলে ফ্যাশনের নামে নগ্নতার প্রতিযোগিতা। সাহাবীরা ছিলেন রাসুল (স.) এর আনুগত্যের মূর্ত প্রতীক। রাসূল (স.) যখন যে কাজটি যেভাবে করছেন বা যেভাবে করতে নির্দেশ দিয়েছেন সাহাবীরা সে কাজটি সেভাবেই পালন করতে সচেষ্ট হয়েছেন। এ কারণে অনেক সাহাবীকেই জীবদ্দশাতেই বেহেশতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা সারা মাস রোজা রেখে নিজেদের আমলের প্রতি ভরসা না করে আল্লাহতায়ালার ভয়ে ঈদের দিন কান্নাকাটি করতেন। আমাদের উচিৎ এমন মানসিকতা লালন করে বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার নিকট তাওবা ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে ব্রতী হওয়া।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈদকে কবুল করুন। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মুবারাক। তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।—

আরো পড়ুন  ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদুল ফিতরের দিন মহান আল্লাহ কী করেন?

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন আল্লাহ তাআলা ফিরিশতাদের সামনে গর্ব করতে থাকেন। অতঃপর বলেন, হে আমার ফিরিশতাগণ! মজদুরের পুরস্কার কী, যে তার কাজ পুরোপুরি করেছে? তখন ফিরিশতাগণ বলেন, হে আমাদের রব! তার পুরস্কার তাকে পুরোপুরি এর প্রতিদান দেয়া।’

এবার আল্লাহ বলেন, ‘হে আমার ফিরিশতাগণ! আমার দাস ও দাসীরা তাদের ওপর চাপান কাজ করেছে।’

তারপর উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর ধ্বনি দিতে দিতে দুআর জন্য ঈদগাহে রওয়ানা হয়েছে।

আমার সম্মান ও গাম্ভীর্যের কসম! এবং আমার উদারতা ও উচ্চমর্যাদার কসম! আমি তাদের ডাকে অবশ্য অবশ্যই সাড়া দেব। অতঃপর তিনি বলেন, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাদের খারাপগুলো ভাল দ্বারা বদলে দিলাম।

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, তাই তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরতে থাকে। (বায়হাকী, মিশকাত, ১৮৬)

ঈদের দিন করণীয় –

দুই ঈদের দিন গোসল করা।

সুন্দর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরা। নতুন কাপড় থাকলে নতুন কাপড় পরা।

খুশবু ব্যবহার করা।

ঈদুল ফিতরের দিন বেজোড় খেজুর খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া। ঈদুল আযহার দিন সলাত পড়ে এসে খাওয়া।

ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া।

এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া আরেক রাস্তা দিয়ে আসা।

ঘর থেকে তাকবীর বলতে বলতে ঈদগাহে যাওয়া। তাকবীর হল, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

ঈদগাহ থেকে ফিরে এসে বাসায় ২ রাকাত সলাত পড়া। এবার করোনার জন্য বাসায় ঈদের সলাত বা নামায আদায় করতে পারেন। ২ রাকাত সলাত আদায় করবেন অতিরিক্ত তাকবীরসহ। খুতবা লাগবে না।

জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, আলেম ও প্রভাষক, মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা

সার্চ কীওয়ার্ডঃ ঈদ, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক পিকচার, ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদের পিকচার, ঈদের গান, ঈদুল ফিতর, ঈদ মোবারক ছবি, ঈদুল আযহা, ঈদ মোবারক পিকচার 2021, ঈদুল আজহা ২০২০ কত তারিখে, ঈদ মোবারক ২০২০, ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম, ঈদ মোবারক শুভেচ্ছা, ২০২০ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে, ঈদুল আজহা, ঈদ মোবারক স্ট্যাটাস, ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম, ঈদের নামাজ, ঈদের ছন্দ, ঈদের পিকচার ২০২০, ঈদুল ফিতর ২০২০ কত তারিখে, ঈদ উল আযহা, ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত, কোরবানির ঈদ ২০২০ কত তারিখে, ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা, ঈদ কার্ড, ঈদ কবে, অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদের নামাজের খুতবা, ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম, ঈদের নামাজ ঘরে পড়ার নিয়ম, ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম, ঈদ উল ফিতর, ঈদ মোবারক ভিডিও, কোরবানির ঈদ, অগ্রিম ঈদ মোবারক, কোরবানির ঈদ কত তারিখে, ঈদের শুভেচ্ছা বাণী, কুরবানী ঈদ ২০২০, ঈদের মেসেজ, ঈদের চাঁদ, ঈদুল ফিতরের বয়ান, ঈদ মোবারক photo, রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ mp3 download, ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে হাদিস, ঈদের খবর, ঈদুল ফিতরের ফজিলত, ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড, মোবারক ঈদ মোবারক, ঈদ কবে 2021, ঈদ মোবারক ফটো, ঈদের এসএমএস, ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বাণী, সৌদিতে ঈদ কবে, ঈদের ভিডিও, ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ, ঈদের শুভেচ্ছা পোস্টার, ঈদ কবে হবে, ঈদ নিয়ে উক্তি, ঈদুল আজহার নামাজ পড়ার নিয়ম, ঈদ নিয়ে কবিতা, ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক, ঈদের দোয়া, ঈদের স্ট্যাটাস, ঈদ উল ফিতর নামাজের নিয়ম, ঈদের দিনের সুন্নত সমূহ, ঈদের sms, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, গরিবের ঈদ, ঈদ মোবারক গজল, ঈদ মোবারক মেসেজ, 2021 সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে, ঈদের চাঁদ উঠেছে, ঈদের কষ্টের মেসেজ, ঈদ কত তারিখে, ঈদ মোবারক এসএমএস, ঈদ মোবারক শুভেচ্ছা বার্তা, ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা, ঈদে মিলাদুন্নবী কি, ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার, ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা, ঈদ মোবারক ছবি 2021, ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা, ঈদের নামাজ কি, ঈদ কত তারিখে 2021, ঈদুল ফিতর 2021, ঈদ ২০২০, ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ত, ঈদ আনে ওয়ালি হে, ঈদের ফটো, পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, ঈদের ছুটি, ঈদ মোবারক ব্যানার, ঈদের দাওয়াত, ঈদ কার্ড ডিজাইন, ঈদের এস এম এস, ঈদুল আজহার ছবি, ঈদের ইতিহাস,

Leave a Reply

Your email address will not be published.