চুল লম্বা করুন সহজ ৭টি উপায়ে

চুল পড়ার সমস্যার পাশাপাশি আরেকটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মেয়েদের, তা হল চুল(Hair) লম্বা না হওয়া। অনেক মেয়েই অভিযোগ করে থাকেন যে তাদের চুল লম্বা হয় না। মূলত চুল তিনটি ধাপে লম্বা হয়ে থাকে। অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন, এবং টেলোজেন। অ্যানাজেন ধাপে চুল জন্ম গ্রহণ করে এবং তা দুই থেকে ছয় বছর পর্যন্ত থাকে। ক্যাটাজেন ধাপে নতুন চুল গজিয়ে থাকে, টেলোজেন ধাপে চুল জন্মানো বন্ধ হয়ে যায়। এটি চুলের জীবনচক্র। কিছু উপায়ে আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার চুল দ্রুত লম্বা করতে পারেন।

১। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
একটি সুষম ডায়েট নতুন চুল গজাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। সবুজ শাকসবজি(Vegetables), বিনস, মাছ এবং মাংস হতে পারে পুষ্টির সবচেয়ে ভাল উৎস। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় মাছ, সবুজ শাক সবজি, বাদাম, ডিম এবং মুরগির মাংস রাখুন। এটি আপনার চুল পড়া রোধ করে চুল লম্বা হতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুন  মাত্র ১ বার ব্যাবহারেই চুল হবে সুপার সফট, সিল্কি ,চুল পরা কমে চুল হবে ঘন ,লম্বা

২। প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার চুল ব্রাশ করুন
দিনে দুইবার আস্তে আস্তে দুই মিনিট সময় নিয়ে চুল ব্রাশ করুন। এতে মাথার তালুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। এবং তালুর প্রাকৃতিক তেল আপনার প্রতিটি চুলের গোড়ায় পৌঁছে যাবে। চুল ভেজা অবস্থায় ভুলেও চুল জোরে ব্রাশ করবেন না। এটি আপনার চুল পড়া(Hair fall) বৃদ্ধি করে দিবে।

৩। শ্যাম্পু করার সময় স্কাল্প ম্যাসাজ করুন
শ্যাম্পু করার সময় আলতো ভাবে মাথার তালু ম্যাসাজ করুন। আঙুল দিয়ে এক থেকে দুই মিনিট মাথা ম্যাসাজ করুন। এটি মাথার তালুর রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

৪। গরম তেল ম্যাসাজ
খুব সহজ উপায়ে চুল বৃদ্ধি করার কার্যকরী উপায় হল গরম তেল ম্যাসাজ করা। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, জোজোবা অয়েল যেই তেল আপনি ব্যবহার করেন না কেন সেটি কিছুটা গরম করে নিন। এইবার এই তেলটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এক দুই ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

আরো পড়ুন  প্রাণহীন চুলের যত্নে প্রোটিন হেয়ার প্যাক

৫। কাস্টর অয়েল ব্যবহার করা
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কাস্টর অয়েল(Castor Oil) ম্যাসাজ করে নিন। এভাবে সারারাত রাখুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক বা দুইবার করুন। কিছুদিনের মধ্যে আপনি নিজেই নিজের চুলে পার্থক্য দেখতে পাবেন।

৬। অ্যাপল সিডার ভিনেগার
অ্যাপল সিডার ভিনেগার আপনার চুলের ময়লা, জীবাণু, ধুলাবালি দূর করে দিয়ে থাকে। এটি শুধু চুল বৃদ্ধি করে না, তারসাথে চুলের গোড়া মজবুত এবং সিল্কি নরম করে তোলে। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার(Conditioner) হিসেবে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন। ভিনেগারের গন্ধ যদি পছন্দ না করে তবে এতে আপনার পছন্দের কোন এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

৭। বালিশের কভার পরিবর্তন করুন
Townsend সুতির বালিশের কভার ব্যবহার করার পরিবর্তে সাটিনের কভার ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এটি আপনার চুলকে নরম রাখবে। সুতির কভারে ঘষা লেগে অনেক সময় চুল ঝরে পড়তে পারে। সাটিন এটি প্রতিরোধ করে থাকে।

আরো পড়ুন  চুল পড়া, খুশকি দূর ও চুল ভালো রাখতে আদা ব্যবহার জেনে নিন

এছাড়াও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। চুলের বৃদ্ধি করতে পানির তুলনা হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.