বাবা হতে চাইলে ভুলেও এই ৫টি খবার খাবেন না

ডব্লিউএইচও এর প্রকাশ করা একটি রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে সারা বিশ্বে ইনফার্টিলিটিতে আক্রান্ত দম্পতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০-৮০ মিলিয়ানে। সব চেয়ে ভয়ের বিষয়টা হচ্ছে, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কারণ ছাড়াও কিছু খাবারের (food) কারণেও এমন সমস্যা আরও বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ সম্পর্কে প্রায় সিংহভাগেরই কোনও ধরণা নেই। ফলে অজান্তেই মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে ২৫-৩৫ বছর বয়সিরা তাদের কর্মজীবনের কারণে বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে খেয়ে থাকেন। আর সেক্ষেত্রে জাঙ্কফুডই হয় তাদের প্রথম পছন্দ। ফলে যা হওয়ার তাই হয়! একদিক যেমন নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তেমনি স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার কারণে বাচ্চা (baby) হওয়ার ক্ষেত্রেও নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়।

একাধিক গবেষণার পর কিছু খাবারকে (food) এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে এই সব খাবার নিয়মিত খেলে পুরুষদের শরীরে এমন কিছু নেতিবাচক পরিবর্তন হয় যে ধীরে ধীরে বাচ্চা (baby)  হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই বাবা হওয়ার ইচ্ছা থাকলে এইসব খাবার (food) থেকে দূরে থাকাই বাঞ্জনীয়। এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলো (food) এড়িয়ে চলতে হবে, সেগুলো হল…

ঠাণ্ডা পানীয়ঃ বেশ কিছু গবেষণা এ কথা প্রমাণ করেছে যে, নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করলে স্পার্ম কাউন্ট চোখে পরার মতো কমে যেতে থাকে। ফলে এক সময় গিয়ে বাবা হওয়ার ক্ষমতাটাই চলে যায়। তাই এবার থেকে তেষ্টার সময় গলা ভেজাতে কোল্ড ড্রিঙ্কের পরিবর্তে জুস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ক্ষতি হবে কম, উপকার পাবেন বেশি।

প্রসেসড মিটঃ প্রক্রিয়াজাত মাংস (meat) খাওয়া তো প্রায় রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এমনটা হবে নাই বা কেন বলুন! অফিসের চাপে এখন আর কারও হাতেই রান্না করার সময় নেই। তাই অগত্যা এমন ধরনের খাবারেই (food) ফ্রিজ ভরাতে বাধ্য় হচ্ছে অনেকে। কিন্তু বুঝতে পারছেন না এমন খাবার (food) খাওয়ার কারণে শরীরের কতটা ক্ষতি হচ্ছে। ২০১৪ সালে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা গেছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস (meat) খেলে স্পার্ম কাউন্ট প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। আর এমনটা হলে যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা যে আর দূর থাকে না, সে কথা তো বলাই বাহুল্য!

সোডাঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সোডা ওয়াটার পান করলে শরীরের ভেতরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও কমতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্পার্ম কাউন্ট কমতে থাকে। তাই বাবা হওয়ার পরিকল্পনা যদি করে থাকেন, তাহলে এই ধরনের পানীয় থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

চিজ এবং ফুল ক্রিম দুধঃ ২০১৩ সালে হিউমেন রিপ্রোডাকশনের উপর করা এক গবেষণা অনুসারে, দীর্ঘ দিন ধরে চিজ এবং ফুল ফ্যাট মিল্ক খেলে স্পার্ম কাউন্ট চোখে পরার মতো কমে যায়। তবে তাই বলে দুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না যেন! শুধু ফুল ফ্যাট মিল্কের বিকল্প কিছু একটা খুঁজে নিলেই চলবে।

অ্যালকোহলঃ বেশি হলে তো কোনও সুযোগই নেই। কিন্তু অল্পতেও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কারণ অ্যালকোহল শরীরে প্রবেশ করা মাত্র নানাবিধ ক্ষতি সাধন করে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হল স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেওয়া। তাই এবার থেকে যখন পানীয়র গ্লাস হাতে আয়েশ করবেন, তখন একবার ভাববেন এমনটা করাতে আপনার ভবিষ্য়ত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে না তো! প্রসঙ্গত, এই খাবারগুলোর (food) পাশাপাশি আরও কতগুলো বিষয় আছে, যা স্পার্মের স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটিয়ে থাকে। যেমন ধরুন…

টাইট জাঙ্গিয়া: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টাইট আন্ডারওয়্যার পরলে যৌন অঙ্গ এবং তার আশেপাশের অঞ্চলের তাপমাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে স্পার্মের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই জাঙ্গিয়ার পরিবর্তে বক্সার পরা শুরু করুন। দেখবেন আর কোনও ভয়ই থাকবে না।

মাত্রাতিরিক্ত হারে স্মোকিং: বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত হারে ধূমপান করলে স্পার্ম উৎপাদনের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্পার্ম কাউন্টও কমে। তাই পরের প্রজন্মের মুখ যদি দেখতে হয়, তাহলে নেশায় নিয়ন্ত্রণ আনাটা জরুরি।

আরো পড়ুন  পিরিয়ড নিয়ে কিছু ভুল ধারণা যা অনেক মেয়েরাই জানে না

কোলে ল্যাপটপ রাখলে: খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই কোলে ল্যাপটপে রেখে কাজ করেন। কিন্তু এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে পেটের নিচের অংশের তাপমাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে স্পার্মের উৎপাদন কমতে শুরু করে। তাই তো কাজ করার সময় ল্যাপটপ কোলে রাখতে মানা করা হয়।

যেভাবে মিলন করলে মেয়েদের কোমর বিয়ের পর মোটা হয়
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা ৩৫০ জন কনের ওপর গবেষণা করে তথ্য বের করেন, বিয়ের পর কেন কনের স্তন ও কোমর মোটা হয়। দেখা যায়, বিয়ের পর প্রথম ছয় মাসে কনেরা প্রায় পাঁচ পাউন্ডের মতো ওজন (weight)বাড়িয়ে ফেলেন। পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, যারা বিয়ের সময়ে সুন্দর দেখাতে নিজের ওজন (weight)অনেক দ্রুত কমিয়ে ফেলেন, বিয়ের পর তাদের ওজন (weight)দ্রুত বেড়ে যায়।

এটা প্রায়শই দেখা যায় যে, মেয়েরা চায় বিয়ের সময়ে তাদের দেখতে ছিপছিপে এবং কমবয়সী লাগুক। এ কারণে তারা বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকেই কঠোর ডায়েটে চলে যান। এমনকি দেখা যায়, পরিবারের মানুষ এমনকি তাদের বাগদত্ত পুরুষেরাই তাদেরকে বলেন ওজন (weight)কমাতে।

তারা বেশিরভাগই মোটামুটি ২০ পাউন্ড (৯ কেজির) মতো ওজন (weight)কমানোর পরিকল্পনা করে ডায়েট শুরু করেন। অনেকের ওজন (weight)এই ডায়েটের ফলে কমে গেলেও বেশিরভাগেরই ওজনে তেমন কোনো হেরফের হয় না। তখন প্রথম ছয় মাসের মাঝেই তাদের ওজন বেড়ে যায় দ্রুত।দেখা যায়, বিয়ের ছয় মাস পর তাদের ওজন বেড়েছে গড়ে ৪.৭ পাউন্ড (২.১ কেজি)। যারা বিয়ের আগে ওজন (weight)কমিয়েছিলেন, তাদের ওজন বাড়ার পরিমাণ আরও বেশি, প্রায় ৭.১ পাউন্ড (৩.২ কেজি)। তবে তারা বিয়ের আগে ওজন (weight)কমালেও বিয়ের পরে প্রায় ৪.৫ কেজি পর্যন্ত ওজন বেড়ে যায় তাদের। বিয়ের পরে মেয়েরা মনে করে, সামনে তো আর কোনো বড় উপলক্ষ নেই আর তাই ওজন (weight)নিয়ন্ত্রণের দিকে তাদের তেমন লক্ষ্য থাকে না। তারা

খাওয়াদাওয়া এবং ব্যায়ামের ব্যাপারে নিয়মকানুন অনুসরণ বন্ধ করে দেন, যার ফলে ওজন (weight)বেড়ে যেতে থাকে। অনেকে আবার মনে করেন, বিয়ের পরে তাদের আকর্ষণীয় ফিগার বজায় রাখার দরকার নেই, এ কারনেও তাদের ওজন (weight)এভাবে বাড়তে দেখা যায়।

বিয়ের পর মোটা হয়ে যাওয়া রোধে করণীয় :
তবে কেবল মেয়েদের জন্য নয়, নারী-পুরুষ উভয়েই এই টিপস মেনে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ওজন(weight)। হানিমুনে গেলে খুব বেশি জাঙ্ক ফুড না খেয়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন – পোলাও, বিরিয়ানি না খেয়ে গ্রিল করা চিকেন বা মাছ খেতে পারেন। সাথে খাবেন প্রচুর পরিমানে

সালাদ । আর মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি খাওয়ার বদলে ফ্রুট সালাদ আর ফলের রস খেতে পারেন। ভ্রমনে গেলে রিচ ফুড এমনিতেও এড়িয়ে চলা উচিত।

ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ভিটামিন বি জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। নতুন পরিবেশে নতুন দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি জোগাবে ভিটামিন বি, বাড়ি খাবারের প্রয়োজন পড়বে না।

বিয়ের পর প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন আত্মীয়ের বাসায়

নতুন জুটির দাওয়াত থাকাটাই স্বাভাবিক। আর এতেই ওজন (weight)অনেকটা বেড়ে যায়। তাই বলে কোথাও দাওয়াতে গেলে একদমই যে খাবেন না তা কিন্তু নয়, ঘি ও তেল মশলা দেয়া খাবার কম নিয়ে সালাদের পরিমান বাড়িয়ে দিন। কোমল পানীয়ের বদলে পানি পান করুন।

শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে মোটা হয়ে যাবার প্রবনতা দেখা দেয়। তাই চা– কফি ও কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া কমিয়ে দিন। আর রাতে শুতে যাবার আগে এক গ্লাস দুধ খাবার কথা ভুলবেন না, কারন দুধই ক্যালসিয়ামের সব চাইতে বড় উৎস। কষ্ট করে হলেও ব্যাপারটা মেনে চলুন।
প্রশ্নঃ স্বামীর সঙ্গে যৌন আলাপচারিতার ফলে গুপ্তাঙ্গ ভিজে গেলে কি গোসল ফরজ হয় ?

আমার স্বামী বিদেশে থাকেন। প্রযুক্তির কল্যাণে ভিডিও ও অডিও উভয়ভাবেই আমাদের কথা চলে, আমরা অনেক সময়ই যৌনতা বিষয়ক আলাপচারিতা করি। এর ফলে প্রায় সময়ই আমার গুপ্তাঙ্গ ভিজে ওঠে। এমতাবস্থায় কি গোসল (bath) ফরজ হয়? আর স্বামী স্ত্রীর এ ধরনের আলাপচারিতা সম্পর্কে ইসলামের কি কোনো বিধি নিষেধ আছে? উত্তরটি জানালে উপকৃত হবো।

আরো পড়ুন  বাদাম কাঁচা না ভাজা কীভাবে খাবেন? না জানলে এখান থেকে জেনে নিন

বিভিন্ন কারণে গোসল (bath) ফরজ হয়। আর ফরজ গোসল (bath) ইসলামি জীব বিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ হলো কারো ওপর গোসল(bath) ফরজ হলে সঠিক-শুদ্ধ পদ্ধতিতে গোসল আদঅয না করা পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি নাপাক থাকবেন। আর এই নাপাকি অবস্থায় তার কোনো প্রকারের কোনো ইবাদত-বন্দেগি করার অনুমতি নেই। সুতরাং সঠিক-শুদ্ধভাবে আমল করার জন্য শারীরীকভাবে পবিত্র থাকার উদ্দেশ্য গোসল (bath) ফরজ হওয়ার কারণ, ফরজ গোসলের ফরজ, সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমরসহ ফরজ গোসল করার পদ্ধতি সবার জানা থাকা একান্ত জরুরি।
গোসল (bath) ফরজ হওয়ার কারণসমূহ হলো-

১. জাগ্রত বা নিদ্রা অবস্থায় উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হওয়া। কিন্তু নিদ্রা অবস্থায় উত্তেজনার অনুভব না হলেও গোসল করা ফরজ। কেননা নিদ্রা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে মানুষ অনেক সময় তা বুঝতে পারে না। মোট কথা গোসল (bath) ফরজ হওয়ার জন্য বীর্যপাত শর্ত তাতে উত্তেজনা থাকুক আর না থাকুক সেটা কোনো বিষয় নয়।

২. স্ত্রী সহবাস করার দ্বারা গোসল (bath) ফরজ হয়। সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন আগাটুকু (সুপারি পরিমাণ আংশ) প্রবেশ করালেই গোসল ফরজ হয়ে যাবে । কেননা এ ব্যাপারে নবি [সা.] বলেন, পানি নির্গত হলেই পানি ঢালতে হবে। [মুসলিম, অধ্যায় : হায়েজ, অনুচ্ছেদ : পানি নির্গত হলেই পানি ঢালা। হা/ ৩৪৩।] অর্থাৎ বীর্যের পানি নির্গত হলেই গোসল(bath) করতে হবে।
নবি [সা.] আরো বলেন, স্ত্রীর চার শাখার (দুই হাত দুই পায়ের) মাঝে বসে, তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হলেই গোসল (bath) ফরজ হবে। [বুখারি, অধ্যায় : গোসল, অনুচ্ছেদ : উভয় লিঙ্গ মিলিত হলে করণীয়, হা/ ২৯১। মুসলিম, অধ্যায় : হায়েয, অনুচ্ছেদ : পানি ঢালার সম্পর্ক পানি নির্গত হওয়ার সাথে। হা/ ৩৪৮।] এখানে বীর্যপাতের কোনো কথা বলা হয়নি। এর দ্বারা বুঝা যায় এই এইভাবে স্ত্রী সহবারে যদিও বীর্যপাত না হয় তবুও গোসল (bath) ফরজ হবে। এ বিষয়টি অনেক মানুষের জানা নেই। অনেক লোক স্ত্রী সহবাসে বীর্যপাত না করলে অজ্ঞতা বশত সপ্তাহ মাস কাটিয়ে দেয় গোসল (bath) করে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন ভুল থেকে বাচার নেক তাওফিক দান করুন। আমিন। এটি একটি মারাত্মক ধরণের ভুল। এ জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শরীয়তের সীমারেখা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরজ। অতএব উল্লেখিত হাদিসের ভিত্তিতে সহবাস করে বীর্যপাত না হলেও গোসল করা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর ফরজ।

পড়ুন রোজায় ফরজ গোসল(bath) করতে হবে কীভাবে ?

৩. নারীদের ঋতু (হায়েজ-মিনস) বা নেফাস (সন্তান প্রসোবত্তোর স্রাব) হওয়া। ঋতুবতী নারীর স্রাব বন্ধ হলে গোসলের(bath) মাধ্যমে তাকে পবিত্র হতে হবে। এই গোসলও ফরজ গোসলের (bath) অন্তর্ভূক্ত। কেননা আল্লাহ বলেন অর্থাৎ তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে হায়েজ সম্পর্কে । বলে দাও, এটা অপবিত্র। কাজেই তোমরা হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হবে না; যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে তখন গমন করো তাদের কাছে। যেভাবে আল্লাহ্ আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারী এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। (সূরা বাক্বারা- ২২২)

নবি [সা.] ইস্তেহাজা বিশিষ্ট নারীকে নির্দেশ দিয়েছেন, ঋতুর নির্দিষ্ট দিনসমূহ সে বিরত থাকবে তারপর গোসল (bath) করবে। নেফাস থেকে পবিত্র হওয়ার ক্ষেত্রেও অনুরূপ বিধান। তার উপরও গোসল করা ফরজ। হায়েয ও নেফাস থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য ফরজ গোসল(bath) করার পদ্ধতি নাপাকি থেকে গোসল করার পদ্ধতির অনুরূপ। তবে কোনো ইসলামি পণ্ডিতরা ঋতুবতীর গোসলের সময় বরই পাতা ব্যবহার করা মুস্তাহাব বলেছেন। কেননা এতে অধিক পরিস্কার ও পবিত্র হওয়া যায়। বরই পাতার বদলে সাবান বা শ্যম্পু ব্যবহার করলেও উক্ত উদ্দেশ্য হাসিল হয়।

আরো পড়ুন  যে বদ অভ্যাসগুলির কারনে অচিরেই হারাবেন পুরুষত্ব

৪. আবার কেউ কেউ মৃত ব্যক্তিকে গোসল (bath) দেয়া ফরজ বলে উল্লেখ করেছেন। এই কথার দলীল হচ্ছে, নবি [সা.] -এর কন্যা যয়নবকে যারা গোসল (bath) দিচ্ছিলেন, তিনি তাদেরকে বললেন, যয়নবকে তিনবার গোসল (bath) করাও, অথবা পাঁচবার অথবা সাতবার অথবা এর চাইতে অধিকবার- যদি তোমরা তা মনে কর। [বুখারি, অধ্যায় : জানাযা, অনুচ্ছেদ : মৃতকে পানি ও বরই পাতা দিয়ে গোসল দেয়া ও অজু করানো। হা/১২৫৩। মুসলিম, অধ্যায় : জানাযা, অনুচ্ছেদ : মৃতকে গোসল দেয়া, হা/৯৩৯।] তাছাড়া বিদায় হজে আরাফা দিবসে জনৈক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় বাহন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু বরণ করলে নবি [সা.] বলেন, তোমরা তাকে পানি ও বরই পাতা দ্বারা গোসল (bath) দাও এবং পরিহিত দু’টি কাপড়েই কাফন পরাও। [বুখারি, অধ্যায় : জানাযা, অনুচ্ছেদ : ইহরামকারী মৃত ব্যক্তিকে কিভাবে কাফন পরাতে হয়। হা/ ১২৬৭। মুসলিম, অধ্যায় : হজ, অনুচ্ছেদ : ইহরামকারী মৃত্যুবরণ করলে কি করতে হবে। হা/১২০৬।] মৃত্যু ব্যক্তিকে গোসল করানো ফরজ। কিন্তু এটা জীবিতের সাথে সম্পর্কিত। কেননা মৃত্যু বরণ করার কারণে উক্ত ব্যক্তির উপর শরীয়তের বাধ্যবাধকতা শেষ হয়ে গেছে। তাই জীবিতদের উপর ফরজ হচ্ছে, তাকে গোসল করিয়ে দাফন করা। কেননা নবি [সা.] এ সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছেন।

ফরজ গোসলের (bath) ফরজসমূহ হলো-

গোসলের(bath) ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পরলে ফরজ গোসল (bath) আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের (bath) সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করা উচিত।

১. গড়গড়া কুলি করা।

২. নাকে পানি দেওয়া।

৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল (bath) করা।ফরজ গোসলের(bath) সুন্নাত আমলগুলো হলো-

১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গোসল(bath) করার নিয়ত করা।

২. ফরজ কাজগুলোর মাঝে ক্রম বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।

৩. প্রথমে ওজু করা।

৪. দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ধোয়া।

৫. শরীরে কোনো নাপাকি থাকলে তা দুর করা।

৬. মেছওয়াক করা।

৭. সারা দেহে তিন বার পানি ঢালা।

ফরজ গোসলের মুস্তাহাবসমূহ হলো-

১. উচু স্থানে বসে গোসল (bath) করা যাতে পনি গড়িয়ে যায় ও গায়ে ছিটা না লাগে।

২. পানির অপচয় না করা।

৩. বসে বসে গোসল করা।

৪. লোক সমাগমের স্থানে গোসল (bath) না করা।

৫. পাক জায়গায় গোসল করা।

৬. ডান দিক থেকে গোসল (bath) শুরু করা।

ফরজ গোসলের সঠিক-শুদ্ধ নিয়ম-পদ্ধতি
১. গোসলের (bath) জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়ত করাতেই হবে এমনটা ভাবা বা জরুরি মনে করা বিদআত।

২. প্রথমে দুই হাতে কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুয়ে নেওয়া।

৩. এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করা এবং শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুয়ে পরিস্কার করা।

৪. এবার বাম হাতকে ভালো করে ধুয়ে ফেলা।

৫. এরপর অজু করতে হবে তবে দুই পা ধোয়া যাবে না।

৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।

৭. এরপর সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে।

৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।

বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে

১. ফরজ গোসলে(bath) পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।

২. এই নিয়মে গোসলের (bath) পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।

মূল : মুফতি শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন (রহ.)

ভাষান্তর : মাওলানা মিরাজ রহমান

Leave a Reply

Your email address will not be published.