মাসিক ৫দিন পেছানোর জন্য কি ঔষধ খাব, এর নাম কি?

আমার মাসিক (PERIOD) হওয়ার পরের দিন আমার একটা প্রোগরাম আছে, তাই আমি আমার মাসিক (PERIOD) ৫দিন পেছাতে চাচ্ছি । মাসিক হওয়ার তারিখ ৫দিন পেছানোর জন্য আমাকে কোন ঔষধ খেলে ভাল হবে, ঔষধের নাম কি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই…দয়া করে একটু তারাতারি সাহায্য করুন(আমার মাসিক হওয়ার তারিখ আগষ্ট এর ১ তারিখ)

Norethisterone 5mg ঔষধটি দিনে ৩ বার করে খেতে হবে।

৩০ টি ট্যাবলেট খেলে প্রিয়ড (মাসিক (PERIOD) ) ৭ দিন পেছাবে।

৬০ টি ট্যাবলেট খেলে ১৭ দিন পেছাবে।

আপনার তারিখ যেহেতু পহেলা আগস্ট সেহেতু আপনাকে ২০ জুলাই বা তার দু-একদিন আগে থেকে ঔষধ গ্রহণ শুরু করতে হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ এর সাধারণত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তবে কিছু মহিলার ক্ষেত্রে র‍্যাস, চুলকানি, মাথা ঘোরা এবং মাথাব্যাথা, বমি বমি ভাব বা বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন  জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এবং ইমার্জেন্সি পিল আসলে কী? কারা খাবেন?

গর্ভধারণ ছাড়াও যে সকল কারণে মাসিক (PERIOD) দেরীতে হতে পারে

পিরিয়ড বাঋতুচক্র নারীদেহের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিটি নারীর পিরিয়ড হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় এই সময়ের পরও পিরিয়ড হতে দেরী হয়। কোন কারণ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাবার পরও পিরিয়ড হয় না। আর পিরিয়ড না হওয়ার কারণে নারীরা, বিশেষত বিবাহিত নারীরা অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিশেজ্ঞদের মতে গর্ভধারণ ছাড়াও আরও কিছু কারণে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে। যে সকল কারণে গর্ভধারণ ছাড়াও নারীদের পিরিয়ড দেরী হতে পারে।

১। অতিরিক্ত মানসিক চাপ

পিরিয়ড দেরী হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল অতিরিক্ত মানসিক চাপ। হঠাৎ করে অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া হতে পারে। ফলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং পিরিয়ড দেরীতে হয়।

২। অতিরিক্ত ওজন অথবা কম ওজন

আপনি কি ওভারওয়েট? আপনার ওজন যদি ৯২ কেজি হয়ে থাকে, তবে আপনি স্থূলতা সমস্যায় আছেন। আর এই অতিরিক্ত ওজন অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য দায়ী। আবার হঠাৎ করে আপনার ওজন যদি কমে যায়, তবে অনিয়মিত মাসিক (PERIOD) হতে পারে।

৩। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যা আমাদের গলার নিচে অবস্থিত। এটি শরীরে মেটবলিজম নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি দেহের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড গ্রন্থির যেকোন সমস্যার কারণে আপনার মাসিক (PERIOD) অনিয়মিত হতে পারে এমনটি বলেন Dweck।

৪। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম

এটি একটি হরমোনজনিত রোগ। শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেসটোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হলে। আর যার কারণে পিরিয়ড দেরীতে হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন  স্বামী সহ’বাসের জন্য ডাকলে স্ত্রী সহবাসে বাধা দিতে পারবে কি? জানুন ইসলামের বিধান

৫। জন্ম নিয়ন্ত্রণ

বিবাহিত নারীদের পিরিয়ড বিলম্ব হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল অতিরিক্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া। ঘন ঘন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া নারীদের মাসিকে সমস্যা সৃষ্টি করে। আবার কিছু কিছু জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধের রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

৬। অসুস্থতা

অনিয়মিত মাসিকের (PERIOD) আরেকটি প্রধান কারণ হল অসুস্থতা। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে পিরিয়ড দেরী হয়।

৭। অতিরিক্ত ভ্রমণ

আপনি যদি নিয়মিতভাবে ভ্রমণ করেন। তবে মাসিক (PERIOD) দেরী হতে পারে। এটি তেমন কোন বিষয় নয়। নতুন পরিবেশ এবং সময়ের কারণে এটি হয়ে থাকে। আপনার শরীরে নতুন পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে আবার মাসিক (PERIOD) চক্র নিয়মিত হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.