ত্বকের যে সম্যসায় কম বেশী আমরা সবাই ভুক্তভোগি তা হল ব্রণ। নরমাল বা শুষ্ক ত্বকের চেয়ে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশী দেখা যায়। সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থি বা ওয়েল গ্ল্যান্ড ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হলে সৃষ্টি হয় ব্রণের। ত্বকের উজ্জ্বলতা, সৌন্দর্য নষ্ট করতে অনেকাংশেই দায়ী এই ব্রণ(Acne) এবং তার কালো দাগ। এই ব্রণ আর তার কালো দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করে থাকি নানা রকম কসমেটিক্স ও ঔষধ। এর পরিবর্ততে ব্যবহার করতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা সহজেই আপনার ব্রণ কমাতে সাহা্য্য করবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক দ্রুত প্রাকৃতিকভাবে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ় কিছু উপায়।
লেবু
লেবুর রস দ্রুত ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে। তুলায় লেবুর রস(Lemon juice) নিয়ে ব্রণের উপর সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করলে বেশি ভালো কাজ করবে।
পেপারমিন্ট তেল
ব্রণের উপর কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট তেল নিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে অল্প সময় অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই তেল ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
শসা
শসায় আছে ভিটামিন(Vitamins) এ, সি এবং ই। আর এই ভিটামিনগুলো ব্রণ দূর করতে বেশ কার্যকর। শসা মিহি করে সামান্য পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেতে হবে। পেস্টটি পুরো মুখে বিশেষ করে ব্রণের উপর লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। ত্বকে মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
বরফ
ত্বক শীতল রাখার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। একটি কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে ব্রণের উপর চেপে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। এরপর আবারও কিছু সময় অপেক্ষা করে ব্রণের উপর বরফ চেপে ধরে রাখতে হবে।
গরম ভাপ
ত্বকের ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে গরম ভাপ। গরম পানির সংস্পর্শে ত্বক(Skin) নিয়ে পাঁচ মিনিট ভাপ নিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ভালোভাবে মুছে নিন। মুখ শুকিয়ে গেলে ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
বেকিং সোডা
আধা কাপ সোডার সঙ্গে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে মেখে হালকা হাতে মালিশ করতে হবে। পাঁচ থেকে ছয় মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি(Water) দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে শুকিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ডিমের সাদা অংশ
তিনটি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে ভালোভাবে ফেটে নিন, যেন ঘন ফোম তৈরি হয়। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ডিমের ফোম লাগিয়ে নিতে হবে। প্রথমবারের পর মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে আবারও আরেক মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এভাবে চারটি ধাপে মিশ্রণ লাগাতে হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে যাওয়ার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁপে
ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেঁপের পেস্ট তৈরি করুন। মাস্কটি ত্বকে মেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষার পর পুরোপুরি শুকিযে গেলে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ওটমিল
এক্সফলিয়েট করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় ওটমিল। এক কাপ রান্না করা ওটমিলের সঙ্গে লেবুর রস ও এক চা-চামচ মধু(Honey) মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি ত্বকে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সপ্তাহে এক বা দুবার এই মাস্ক ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে।