মাত্র ৭ দিনে চুল লম্বা ও ঘন করার অবিশ্বাস্য উপায় জেনেনিন

আগে রান্নাবান্নার পাশাপাশি ত্বক (skin) ও চুলের যত্নেও (hair care) সরিষার তেলের ব্যবহার ছিল। যুগ বদলের সাথে সাথে এখনকার দিনের নারীরা চুলের যত্নে (hair care) নারিকেল তেল বেছে নিয়েছেন।

অথচ দূষণ, পানি, রাসায়নিক ইত্যাদির প্রভাবে আমাদের চুল (hair) রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা ও চুল পড়া বন্ধ করায় যে সরিষার তেলের জুড়ি নেই তা অনেকেই জানেন না।

আসুন জেনে নিই চুলের (hair)উপকারে সরিষার তেলের কিছু ব্যবহার।

১. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার: সরিষার তেলে আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা চুল সুন্দর, স্বাস্থ্যজ্বল রাখে। এছাড়া আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড দারুণ কন্ডিশনারের কাজ করে। ফলে চুল (hair) দ্রুত বৃদ্ধি হয়।
২. পুষ্টি জোগায়: আজকাল চুল (hair)পড়া খুবই সাধারণ সমস্যা। এর একটি কারণ হতে পারে চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া। চুলে নিয়মিত সরিষার তেল মালিশ করলে ফলিকল মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে।

৩. ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: সরিষার তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি মিনারেল এবং ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে থাকে। এছাড়াও থাকে জিঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন ও সেলেনিয়াম যা চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।

৪. রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে: আপনার চুল (hair)রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল মালিশ করুন। এর ফলে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন ঠিকভাবে হবে এবং চুলের (hair)গোড়া মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে।

৫. চুল বড় হতে সাহায্য করে: সরিষার তেলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা চুল বড় হতে সাহায্য করে।

৬. অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান বর্তমান: সরিষার তেলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকায় তা চুলের খুশকি ও চুলকানি দূর করে। ফাঙ্গাসে চুলের গোড়া বুজে গিয়ে চুল পাতলা হয়ে যায়। সে সমস্যা সমাধান করে সরিষার তেল।

বড় চুল (hair) পেতে সরিষার তেলের ব্যবহার জেনে নিন:

১. দই ও সরসের তেলের মিশ্রণ: টক দইয়ের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালভাবে লাগান। তোয়ালে গরম জলে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার বা দু’বার প্রায় একমাস ধরে এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন আর ফলাফল দেখুন!

আরো পড়ুন  চুলের যত্নে শ্যাম্পুতে মিশিয়ে নিন এই দুটি উপাদান

২. সরিষার তেল ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ: একটা পাত্রে সরিষার তেল ও অ্যালোভেরা মেশান। মাথার তালুতে ভালভাবে মিশিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে দুই দিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন। এই মিশ্রণ আপনার চুল মসৃণ ও স্বাস্থ্যজ্বল করবে ও চুল পড়া (hair fall) বন্ধ করবে।

৩. লেবুর রস ও সরিষার তেলের মিশ্রণ: একটা বাটিতে সরিষার তেল, লেবুর রস ও ধনে গুঁড়ো নিয়ে ভালভাবে মেশান। মাস্ক হিসাবে চুলে নিয়মিত মাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে মৃদু শ্যাম্পু সহযোগে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুল (hair)কন্ডিশন হবে, মজবুত হবে এবং খুশকি দূর হয়ে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৪. কলা ও সরিষার তেলের মিশ্রণ: একটা পাকা কলা নিয়ে চটকে নিন। সরিষার তেল ও দই মেশান। মিশ্রণটা ভালভাবে মাথার তালুতে লাগান এবং আধা ঘণ্টা পর সাধারণ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে চুলে (hair) কন্ডিশনার লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। এই মিশ্রণটা আপনার চুল মসৃণ, উজ্জ্বল, মজবুত ও নরম করে তুলবে।

যা খেলে ৭০ বছরেও বুড়া হবেন না, ১০ নাম্বারটা সবসময় খাবেনযা খেলে জীবনেও বুড়া হবেন না
বুড়ো হতে চায় না এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। পরিমিত ও নিয়ন্ত্রিত খাবার (food) আপনাকে সব সময় তরুন সতেজ রাখতে পারে। এমন কিছু খাবার (food) সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা খাওয়া শুরু করলে ত্বকের বয়স তো কমবেই,

সেই সঙ্গে জিনের এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করবে যে তার প্রভাবে শরীরেরও বয়স কমবে চোখে পরার মতো।এই খাবারগুলি (food) খেলে কিন্তু বাস্তবিকই বয়স ধরে রাখা সম্ভব। কথাটা শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়? ভাবছেন খাবারের সঙ্গে বয়সের কী সম্পর্ক, তাই তো!

আসলে বেশ কিছু খবরে খাবারে(food) এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেমন ধরুন নিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বয়স তো কমায়, সেই সঙ্গে শরীরকেও চাঙ্গা রাখে। শুধু তাই নয়, একাধিক মারণ রোগকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। ফলে আয়ু বাড়তে সময় লাগে না।

১. দই: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন দই খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে রাইবোফ্লবিন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি১২ এর মাত্রাও বাড়তে থাকে, যার প্রভাবে শরীরের বয়স (age) কমে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের খপ্পরে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

২. অলিভ অয়েল: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি মনোসেচুরেটেড ফ্য়াটে ভরপুর এই তেলটি (oil) ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি বয়সজনিত নানা অসুবিধা কমাতেও দারুন কাজে আসে।

৩. জাম: এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ,যা বয়স (age) বাড়ার গতিকে আটকায়। শুধু তাই নয়, ক্র্য়ানবেরি, স্ট্রবেরি এবং অবশ্য়ই ব্লেক বেরি শরীরের সার্বিক গঠনের উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিন যদি এই ফলটা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভাঙন রোধ হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে শুরু করে।

৪. বাদাম: শরীরকে ভাল রাখতে উপকারি ফ্য়াটেরও প্রয়োজন পরে। তাই প্রতিদিন বাদাম খান মুঠো ভরে। এতে উপকারি ফ্য়াটের পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে দারুন কাজে আসে।

৫. সবুজ শাকসবজি: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কপি পাতা এবং পালং শাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সেলের ক্ষয় আটকে ত্বক এবং শরীরে বয়স (age) ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. শস্যদানা: ঝাড়াই করা শস্য় দানার পরিবর্তে যদি হোল গ্রেন খাওয়া যায়, তাহলে বয়স (age) বাড়ার হার অনেকটাই হ্রাস পায়। শুধু তাই নয় এই ধরনের খাবার (food) বয়সজনিত নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমায়, বিশেষত হার্টের রোগ হওয়ার পথ আটকায়। প্রসঙ্গত, আস্ত শস্যদানায় মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফলে দেহের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতেও সময় লাগে না।

আরো পড়ুন  চুলকে তাড়াতাড়ি লম্বা করার জন্য চমৎকার একটি সহজ উপায়

৭. আঙুর: রেজভারেটল নামে একটি যৌগ রয়েছে এই ফলটিতে, যা একাধারে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি- কোয়াগুলেন্ট। এই উপাদান দুটি হার্টকে ভালো রাখে। আর যেমনটা আগেও বলা হয়েছে যে শরীর তখনই চাঙ্গা থাকে, যখন হার্ট সুস্থ থাকে। তাই সুস্থ, রোগমুক্ত শরীরের অধিকারি হয়ে উঠতে প্রতিদিন একবাটি করে আঙুর খাওয়া মাস্ট!

৮.মটরশুঁটি: হার্টকে নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মটরশুঁটির কোনও বিকল্প নেই। তাই আপনি যদি দীর্ঘদিন জোয়ান থাকতে চান, তাহলে হার্টকে সুস্থ রাখতেই হবে। তাহলেই দেখবেন শরীরের বয়স কমতে থাকবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই খাবারটি(food) ।

৯. গ্রিন টি: প্রতিদিন এক কাপ করে গ্রিন টি পান করলে শরীরে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রবেশ ঘটে। আর যেমনটা আমাদের সকলেই জানা যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্য়ান্সার, হার্ট ডিজিজ, এমনকি অ্যালজাইমার রোগ আটকাতে নানাভাবে সাহায্য় করে থাকে।

১০. টমাটো: লেকোপেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে টমাটোয়, যা ত্বকের বয়স (age) কমায়। শুধু তাই নয়, স্টমাক, লাং এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে প্রতিরোধ করতেও এই সবজিটি দারুন কাজে আসে।

১১. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার(food) : শরীরের বয়স (age) কমাতে এই উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই দেহকে রোগমুক্ত রাখার পাশাপাশি শরীর এবং ত্বকের বয়স যদি ধরে রাখতে চান, তাহলে রোজের ডায়েটে মটরশুঁটি, ডাল, ব্রকলি, ছোলা, অ্যাভোকাডো এবং ওটমিলের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার (food) রাখতে ভুলবেন না যেন!

১২. মাছ: যেমনটা আমরা সকলেই জানি যে মাছে রয়েছে ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড। এই উপাদানটি শরীরের অন্দরে যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে দারুন কাজে আসে। ফলে শরীরের বয়স (age) বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই সপ্তাহে দু’বার অন্তত মাছ খান। এমনটা করলে দেখবেন স্ট্রোক এবং অ্যালজাইমারের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমবে। ফলে বাড়বে আয়ু।

Leave a Reply

Your email address will not be published.