ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ৫টি সহজ উপায় জেনে নিন

আমাদের বয়স(Age) যতো বাড়তে থাকে ত্বকের টানটান ভাব ততো কমতে থাকে। যার ফলে চামড়া কুঁচকে যাওয়া, ভাজ পরা বা ঝুলে যাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা তৈরী হয়। যেগুলো বলি রেখা বা বয়সের ছাপ(Age impression) হিসাবে পরিচিত। এটা হয় আমাদের শরীরে এন্টিঅক্সিডেন্ট কমে যাওয়ার ফলে। তবে যদি যথেষ্ট পরিমান এন্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খাওয়া হয় এবং কিছু পন্থা অবলম্বন করে চলতে পারি তাহলে বলি রেখা বা বয়সের ছাপ(Age impression) থেকে অনেকখানি রক্ষা পাওয়া যাবে। আসুন দেখে নিই এরকম ৫টি উপায়।

ডিমের সাদা অংশ মাখুন
ডিমের কুসুমটি বাদ দিয়ে সাদা অংশটি ফেটে নিন। এবার এটি আপনার তকের বিভিন্ন অংশে ম্যাসাজ করুন এবং ১৫ মিনিট রেখে দিন যেন তা শুকিয়ে যায়। এরপর পানি দিয়ে মুখ(Face) ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশে যে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই আছে তা আপনার ত্বকের(Skin) যৌবন ফিরিয়ে আনতে অনন্য।

আরো পড়ুন  ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এই ৫টি ফেসপ্যাক

অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন
অলিভ অয়েল(Olive oil) বা জলপাই এর তেল আপনার ত্বককে নরম এবং কোমল করতে অতুলনীয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার আগে অলিভ অয়েল আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। একটি তোয়ালে দিয়ে ত্বকে লেগে থাকা বাড়তি তেলটুকু মুছে নিন। ব্যাস নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পরুন। এভাবে করে প্রতিদিন সকালে উঠে আপনার স্বাস্থ্যজ্জ্বল ত্বক(Skin) অবশ্যই সবার নজর কাঁড়বে।

ম্যাসাজ করুন নিয়মিত
আপনার পছন্দের কোন লোশন দিয়ে প্রতিদিন মিনিট খানিক ম্যাসাজ করুন। আক্রান্ত স্থানগুলোতে বিশেষ নজর দিন যেমন গলা, চোখের নিচে, কপাল ইত্যাদি স্থান। মাঝে মাঝে স্পা করলেও উপকার পাওয়া যাবে।

ফল এবং শাক-সব্জি বেশি খান
ফল এবং শাক-সাব্জিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন(Vitamins) এ এবং ডি থাকে, যা আপনার ত্বককে পুণরোজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করে। বিভিন্ন মৌসুমী সাব্জি এবং ফলের জুস বানিয়ে নিয়মিত পান করলে বয়সের ছাপ আপনার থেকে দূরে থাকবে।

আরো পড়ুন  বলিরেখা দূর করার উপায় জেনে নিন

লেবুর রস ত্বকে ঘষুন
লেবু কেটে টুকরো করে আপনার ত্বকের(Skin) আক্রান্ত স্থান গুলোতে ঘষুন যেন এর রসটি সেখানে লেগে যায়। লেবুর রসের এসিডিটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এবং বলি রেখ কমিয়ে ফেলবে। লেবুর রস(Lemon juice) শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত জোরে জোরে শ্বাস নিন, এতে আপনার ত্বকের ভেতর গিয়ে তা কাজ করবে।

উপরের পদ্ধতি গুলোর সাথে আরেকটি জিনিস লাগবে। আর তা হলো ধৈর্য। ধৈর্য ধরুন, নিয়মিত চর্চা করুন। সুফল নিশ্চই পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.