জেনে নিন কোন বয়সের জন্য কোন ফেসিয়াল উপযুক্ত

আজকালকার মেয়েরা, মায়ের দেখাদেখি অল্প বয়সেই ফেসিয়াল(Facial) করার জন্য ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু সব বয়সের জন্য ফেসিয়াল তো আর এক না। বয়স ভেদে যেমন ত্বকের পরিবর্তন হয়, তেমনি ত্বকের এই ভেদাভেদের কারনে ফেসিয়ালের তারতম্য হওয়াটাও স্বাভাবিক। মূলত ফেসীয়াল করার মূল কারন হল, ত্বক(Skin) পরিষ্কার রাখা। আর ত্বক পরিষ্কারের কাজটি সকল বয়সেই করা প্রয়োজন। অল্প বয়স থেকেই ত্বক পরিষ্কার করার সচেতনতা গ্রহন করলেই, বয়স বাড়ার পর পর্যন্তও আপনার ত্বক থাকবে আকর্ষণীয়। তাই চলুন দেখে নেই, কোন বয়সের জন্য, কোন Facial উপযুক্ত।

√ ১৭-২০ বছরঃ
এ বয়সে আমাদের ত্বকে তৈলাক্ত ভাব একটু বেশী থাকে। যার প্রভাবে ত্বকে ব্রণ(Acne) উঠার প্রবণতাও দেখা দেয়। তাছাড়াও এই বয়সে ছেলেমেয়েরা বাইরে ঘুরতে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দারুণ পছন্দ করে। ফলে, রোদ, বৃষ্টি কিছুই যেন এই বয়স মানতে চায় না। তাই এই বয়সটিতে ত্বক(Skin) পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। টিনএইজে তাই হারবাল কোনো ফেসিয়াল facial করা সবচেয়ে ভালো, যেন ত্বকে ময়েশ্চারাইজার(Moiseschreiser) পরিপূর্ণ থাকে। তাই এই বয়সে হলুদ, পুদিনা পাতা, শশা, মধু এই উপাদান সমৃদ্ধ ফেসিয়াল করা ভালো। এক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন হানিফেসীয়াল, কিউকাম্বার ফেসিয়াল, অরেঞ্জ ফেসীয়াল।

আরো পড়ুন  রূপচর্চায় কাঁচা হলুদের ৯টি জাদুকরী ব্যবহার

√ ২১-৩০ বছরঃ
২০ বছর বয়সের পর, যে কেউই ফেসিয়াল(Facial) করতে পারে। ত্বকের নানান সমস্যা, যেমনঃ শুষ্ক, সাধারণ ও তৈলাক্ত ত্বকে ভেদে সমস্যা না থাকলে, হারবাল Facial করাই ভালো। এছাড়াও পার্ল ফেসীয়াল সব ধরনের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য, তবে স্পর্শকাতর ত্বকে এই ফেসিয়াল facial করা উচিত না। পার্ল ফেসিয়ালে ত্বকে একটা হোয়াইট আভা আসে, যা দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এটা সব ধরনের ত্বকের(Skin) জন্যই উপকারী শুধু সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর ত্বকে এই Facial করা যাবে না। তাছাড়াও এটা সব বয়সী ত্বকের জন্যই উপকারী। তবে, বিয়ের কনের জন্য গোল্ড ফেসীয়াল খুব ভালো ফলাফল দেবে। কারণ এটা ত্বকে সুন্দর একটা সোনালী আভা এনে দিতে সাহায্য করে।

√ ৩১-৪০ বছরঃ
এই বয়সে ত্বকের(Skin) পরিবর্তন হতে থাকে। তাই ত্বকের কমপ্লেক্সশন পরিবর্তন করার লক্ষ্যে, এমন ফেসিয়াল করতে হবে যা, ত্বককে হাইড্রেট, ময়েশ্চারাইজ করে। এসময় তাই কাজের ফলে ত্বকের সকল ধকল থেকে পরিত্রাণ পেতে হালকা ম্যাসাজ দিয়ে ফেসিয়াল শুরু করতে হবে। তারপর স্ক্রাবিংয়ের সাহায্যে মরা কোষ দূর করে, সবশেষে হাইড্রেটিং মাস্ক লাগিয়ে ফেসিয়াল facial সম্পন্ন করা যেতে পারে। এসকল উপকার পেতে তাই, এই বয়সে স্টিম ফেসীয়াল, অ্যান্টি-রিঙ্কেল Facial, অ্যান্টি-অক্সিডেনট ফেসিয়াল উপকারী হবে। তাছাড়াও এই বয়সে ফ্রুট Facial দারুণ কার্যকরী হতে পারে। এই ফেসিয়ালে, যে ফ্রুট ক্রিম ব্যবহার করা হয়, তা সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। ফ্রুট ফেসীয়াল ত্বকের(Skin) গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, এবং ত্বক টানটান রাখে। সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য তাই, ফ্রুট ফেসিয়ালই উপযুক্ত।

আরো পড়ুন  ত্বকের রঙ উজ্জ্বল ফর্সা করতে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক

√ ৪১-৫০ বছরঃ
এই বয়সে চেহারায় বয়সের ছাপ(Age impression) পড়া শুরু করে। কিন্তু এই অবস্থা কখনোই রূপসচেতনদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। সাধারনত ৪৫ বছরের পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই অবস্থা আগেই দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও বয়সের ছাপের পাশাপাশি এই বয়সে চেহারায় কালো কালো ছোপ পড়তেও দেখা যায়। তাই এগুলো দূর করতে ভেজিটেবল পিলিং এবং থার্মোহার্বের ফেসিয়ালটি করা প্রয়োজনীয়। এতে চেহারার কালো দাগ black spot চলে যাবে, ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে। এছাড়াও অ্যান্টি-রিঙ্কেল ফেসীয়াল, চকলেট ফেসিয়ালও এই বয়সের জন্য উপযুক্ত।

ফেসিয়াল ত্বক পরিষ্কার রাখতে দারুণ উপকারী। কিন্তু ফেসীয়াল করার সময় অবশ্যই বয়স এবং ত্বকের ধরন বিবেচনা করা প্রয়োজন। নিজেকে বুঝে তাই, উপযুক্ত ফেসিয়ালটি বেছে নিন, আর ত্বককে করে তুলুন আকর্ষণীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.