রাতে শুধু মাত্র ১ বার ব্যবহার করেই পা ফাটার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি

পা ফাটা সমস্যাটি অনেক সাধারণ একটি সমস্যা (problem)। পায়ের গোড়ালিতে ফেটে যাওয়ার সমস্যায় ঝামেলায় পড়েন অনেকেই। এই সমস্যাটি(problem) খুব বেশি মারাত্মক মনে না হলেও এটি খুব বেশি যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা(problem)। খুব বেশি শুকিয়ে যাওয়া, ময়েসচারাইজারের অভাব, পায়ের সঠিক যত্ন না নেয়া, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক জুতো নির্বাচন না করার ফলে এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যায়(problem) পড়তে হয় অনেককেই। যদি সঠিক কাজে পা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয় তবে এই ফাটা অনেক বেশি গভীর পর্যন্ত চলে যায় যার ফলে রক্তপাতও হতে পারে। তাই পা ফাটাকে অবহেলা না করে এটি প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হবে। খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি প্রতিরোধ করতে পারেন এই যন্ত্রণাদায়ক পা ফাটা রোগটি। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো।

চালের গুঁড়ার ব্যবহার

একমুঠো চালের গুঁড়ো নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু (honey), ২ তেবিল চামচ ভিনেগার, ১ তেবিল চামচ অলিভ অয়েল/ আলমণ্ড অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুণ। প্রথমে ১০ মিনিট গরম পানিতে (water) পা ভিজিয়ে নিয়ে এই পেস্টটি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো করে স্ক্রাব করে নিন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া দূর হবে এবং শুষ্ক ভাবও চলে যাবে।
নিম পাতার ব্যবহার
১০/১৫ টি নিম পাতা নিয়ে ধুয়ে ভালো করে বেটে নিন। এতে ৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন পুরু করে। ৩০ মিনিট রেখে গরম পানি (water) দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দ্রুত পা ফাটা রোধ করবে।

আরো পড়ুন  মাত্র ২ দিনে বুকের কফ দূর করার সহজ পদ্ধতি শিখে নিন

মধুর (honey) ব্যবহার

মধুর (honey) ময়েসচারাইজিং এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পা ফাটা ও শুষ্ক ত্বক দুটোই দূর করতে সাহায্য করে। অর্ধেক বালতি পানিতে (water) ১ কাপ পরিমানে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এই পানিতে (water)১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি স্ক্রাবার দিয়ে আলতো করে পা ঘষে নিন।

গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ব্যবহার

গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পা ফাটা দূর করে। এবং গ্লিসারিন ত্বককে নরম ও কোমল করতে সহায়তা করে। সমান পরিমাণ গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালি ও পাতায় ম্যাসেজ করুণ।

কলার ব্যবহার

সব চাইতে সহজ পদ্ধতিটি হচ্ছে কলার ব্যবহার। একটি পাকা কলা (banana) নিয়ে তা ভালো করে পিষে নিন। পা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এই পিষে নেয়া কলাটি পায়ের ওপর লাগান। ১০-১৫ মিনিট পড়ে গরম পানি (water)দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে (water) পা খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।

আরো পড়ুন  পরিপূর্ণ সৌন্দর্য পেতে কনুই, হাঁটু ও গোড়ালির বিশেষ যত্ন

লেবুর ব্যবহার

লেবুর এসিডিক উপাদান পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে পা ফাটা রোধ করে। একটি লেবু কেটে নিয়ে সরাসরি তা দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ঘষুন। এছাড়া হাল্কা গরম পানিতে (water) লেবুর রস চিপে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ঝামা ইট দিয়ে ঘষে নিন পায়ের গোড়ালি। পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

লবণ গরম পানির ব্যবহার

অর্ধেক বালতি গরম পানিতে (water) ২ টেবিল চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে (water) পা ডুবান। এতে করে পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এরপর পা ধুয়ে মুছে নিয়ে ফুটক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসেজ করে নিন। খুব দ্রুত পা ফাটা থেকে রেহাই পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.