ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করুন ফেস মাস্কটি

সম্প্রতি সারা বিশ্বে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষার প্রশ্ন ছিল, “ফর্সা ত্বক(skin) পেতে কে কী করেন?” ১৮-৩০ বছর বয়সি মহিলাদের করা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ৮০ শতাংশই বলেছেন তারা বাজার চলিত নামি-দামি ব্যান্ডের ফেয়ারনেস ক্রিম(Fairness Cream) মেখে থাকেন। কিন্তু সেই সব ক্রিম মেখে যে খুব একটা ফলও পাওয়া যায় না, সে বিষয়েও আলোকপাত করেছেন তারা। একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে বেশিরভাগ বাজার চলতি ফেয়ারনেস ক্রিমই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পরিবর্তে ক্ষতি করে বেশি।

কারণ এই সব ক্রিমে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে, যা ত্বকের(Skin) অন্দরে প্রবেশ করা মাত্র নানা খারাপ করতে শুরু করে। তাই তো এই সব ক্রিম ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক(Natural) পদ্ধতির উপর বেশি ভরসা রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে কাজে লাগাতে হবে নানাবিধ প্রাকৃতিক উপাদানকে? এক্ষেত্রে এই প্রবন্ধটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

কারণ এই লেখায় প্রকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এমন একটি ফেস মাস্কের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা অল্প দিনের ত্বকের(Skin) সৌন্দর্য ফেরানোর পাশাপাশি একাধিক স্কিন ডিজিজের উপশমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মধু(Honey) এবং দইয়ের সহযোগে বানাতে হবে এই ফেস মাস্কটি। এক্ষেত্রে যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পরবে, সেগুলি হল- ৭ টা গোলাপের পাপড়ি(Rose petals), ২ চামচ বিশুদ্ধ গোলাপ জল(rose water), ২ চামচ দই(Curd) এবং ১ চামচ মধু(Honey)।

আরো পড়ুন  ত্বক ফর্সা করার ৯টি ঘরোয়া উপায়

ফেস মাস্কটি বানানোর পদ্ধতি: পরিমাণ মতো গোলাপ জলে(rose water) গোলাপ পাপড়িগুলো কম করে ৫ মিনিট চুবিয়ে রাখুন। সময় হয়ে গেলে গোলাপ পাপড়িগুলিকে হাত দিয়ে পিষে নিন। তারপর তাতে মধু এবং দই মিশিয়ে ভাল করে নারান। যাতে সব কটি উপকরণ ঠিক মতো মিশে যেতে পারে। যখন দেখবেন উপকরণগুলি ভাল রকম মিশে গেছে, তখন অল্প করে পেস্টটা নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে মাসাজ করুন। এমনটা করলে পেস্টটা ত্বকের(Skin) একেবারে ভিতর পর্যন্ত চলে যাবে। এরপর ১৫ মিনিট পেস্টটা মুখে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ধীরে ধীরে ত্বক ফর্সা হয়ে উঠবে: মধু(Honey) এবং দই, ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটাতে শুরু করে। দই এখানে ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই তো এই ফেস মাস্কটি টানা ১০-১২ দিন মুখে মাখলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

আরো পড়ুন  চোখের নিচের কালো দাগ গায়েব হবে ম্যাজিকের মতো ট্রাই করে দেখুন

বলিরেখা কমে যায় এবং ত্বক টানটান হয়: এই ফেস মাস্কটি প্রতিদিন লাগালে ত্বক(Skin) ফর্সা তো হয়ই, সেই সঙ্গে বলিরেখা কমে যায় এবং ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। ফলে ত্বকের বয়স কমে গিয়ে সৌন্দর্য চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ফেস মাস্কটির সঙ্গে অল্প করে অলিভ অয়েল(Olive oil) মিশিয়ে মুখে লাগালে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে ঠেমনটা আগেও বলা হয়েHছে যে এই ফেস মাস্কটি টানা ১২ দিন মুখে লাগাতে হবে। তবেই কিন্তু ফল মিলবে।

ব্রণর প্রকোপ কমে যাবে: দই এবং মধুতে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট থাকায় এই ফেস মাস্কটি ব্রণ কমাতে দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষের(Dead cells)আবরণ সরিয়ে দিয়ে স্কিনকে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পুড়ে যাওয়া

আরো পড়ুন  রাতে মাত্র ১ বার ব্যবহারেই ত্বক হয়ে উঠবে ৫ গুন ফর্সা

ত্বকের পরিচর্যায় কাজে আসে: এই ফেস মাস্কটি ট্যান হয়ে যাওয়া ত্বককে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুলকানি, ইরিটেশন, এবং লাল ভাব কমাতেও দারুন কাজে আসে।

ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়: দই, মধু এবং গোলাপ জল(rose water) ত্বককে নরম এবং সুন্দর করে তোলে। সেই সঙ্গে স্কিনকে আদ্র করে তুলে ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তোলে। সেই কারণেই তো বিশেষজ্ঞরা(Experts) ফর্সা ত্বক পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ফেস মাস্কটির উপর ভরসা রাখার পরামর্শ দেন। প্রসঙ্গত, ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা ধুয়ে ফেলতেও এই ফেস মাস্কটি সাহায্য করে। ফলে ত্বকের অন্দরে হাওয়া-বাতাস পৌঁছে গিয়ে অল্প দিনেই স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.