ব্রণ হওয়ার কারণ এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায়

ব্রণ(Acne) একটি দুঃস্বপ্নের মতো! আর যেকোনো মেয়েই , শুধু মেয়ে কেন, সৌন্দর্য্য সচেতন যেকোন মানুষ সে নারী কিবা পুরুষ যেই হন না কেন ব্রণ থেকে সব সময় দূরে থাকে চান। Acne হওয়ার কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই । আপনার গালে, চিবুকে, কপালে বা মুখের যেকোন জায়গাতেই এমন কি পিঠে ব্রণহতেপারে। তাই আসুন আজ জেনে নিই, কেন আমাদের ব্রণ(Acne) হয় আর কীভাবে আমরা সহজ কিছু কাজের দ্বারা ব্র্ণ থেকে দূরে থাকতে পারি। বয়সন্ধি,আবহাওয়ার পরিবর্তন, ধুলাবালি, ভুল প্রসাধনী যা আপনার ত্বকে কার্যকরী নয় এমন সব কারণে ত্বকে ব্রণ হয়। এছাড়াও নীচের কারণগুলোতে ব্রণ হয়।

ব্রনের কারণ
মুখের ত্বক(Skin) নিয়মিত পরিষ্কার না করা ব্রনের অন্যতম কারণ। মেকআপ না তোলা, তৈলাক্ত জিনিস বেশী খাওয়া, পরিষ্কার-পরিছন্নতায় অনিয়মিত থাকা ,যথেষ্ট পরিমাণ পানি না খাওয়া – ব্রণের কারণ।

কিছু কিছু ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, কোন কোন টুথপেস্টের কিছু বিশেষ উপাদান থেকে আপনার মুখে ব্রণ(Acne হতে পারে। কারণ টুথপেস্ট আপনার ত্বক শুষ্ক করে তোলে আর টুথপেস্টের সাথে মুখের ব্যাকটেরিয়া একত্রিত হয়ে ঠোটের আসেপাশে ব্রণের কারণ হয়ে দেখা দেয় কখনও কখনও। এছাড়া টুথপেস্ট(Toothpaste) এর উপাদান যেমন – হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লোরাইড, অ্যালকোহল, এসেনশিয়াল অয়েল এবং মেন্থল এসব ত্বকের জন্য খুব ভাল নয়। তাই এসবের সংস্পর্শে আপনার ত্বকে Acne দেখা দেয়া অসম্ভব নয়।

আরো পড়ুন  মাত্র ৭ দিনে নজরকাড়া ফর্সা ত্বক পাওয়ার জাদুকরী ঘরোয়া উপায়

শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার(Conditioner)- শ্যাম্পুর মধ্যের যে উপাদানটি চুলে ফেনা তৈরি করে তা ত্বকের সংস্পর্শে এসে ব্যাকটেরিয়ার পরিমান বৃদ্ধি করে। আবার কন্ডিশনারের তৈলাক্ত উপাদান মুখের ত্বকের লোপকুপ বন্ধ করে দিয়ে ত্বকে ব্রণের কারণ হয়ে দাড়ায় কখনও কখনও। আমরা যখন ঘুমাই আমাদের মাথার আর মুখের ত্বকের(Skin) তেল, জীবাণু বালিশের কাভারে লেগে যায়। ক্রমাগত এগুলো জমা হয়ে আমাদের ত্বকে লাগে আর তা থেকে ধীরে ধীরে ত্বকে Acne হয়। আপনার তোয়ালে, মেকআপ(Makeup) ব্রাশ, স্পঞ্জ, পাফ নিয়মিত পরিষ্কার না করে ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।

কীভাবে আমারা ব্রণসমস্যা থেকে মুক্তি পাব

⇒ যে কারনে Acne হয় সেগুলো থেকে দূরে থাকি। যেমন টুথপেস্টেরকারনে ব্রণ হয়। তাই ত্বক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে ব্রাশ করার পর মুখের ত্বক(Skin) ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলা যাতে টুথপেস্টের ব্রণ উৎপাদনকারী উপাদানগুলো আমাদের ত্বকে লেগে না থাকে।

আরো পড়ুন  সহজ ৩টি উপায়ে ব্রণের লালচে ফোলাভাব কমিয়ে ফেলুন মাত্র ১ রাতের মধ্যেই

⇒ মাথা শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই মুখের ত্বক ফেসওয়াস(FaceWash) বা যা দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ত্বক পরিষ্কার করেন তা দিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলা।

⇒ আপনার তোয়ালে, মেকআপ ব্রাশ, স্পঞ্জ, পাফ নিয়মিত পরিষ্কার করা আর মুখের ব্যবহারের জন্য আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করা।

⇒ বালিশের ও বিছনার চাদর নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।

এবার আসুন জেনে নেই যদি আপনার ত্বকে ব্রণ হয়েই যায় তবে কীভাবে তা থেকে পরিত্রান পাবেন। হাত দিয়ে ব্রণ খুটবেন না মনের ভুলেও। নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণ পানি(Water) খান। আপনার পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখুন।

⇒ সকালে মুখের ত্বক পরিষ্কার করে গরম পানিতে তুলসি পাতা ছেঁচে দিবেন। এরপর ঐ পানির ভাপ মুখে লাগাতে হবে। ভাপ নেয়া শেষে বরফ ঠান্ডা পানি দিযে মুখ ধুতে হবে।

আরো পড়ুন  ব্রণ দূর করার ঘরোয়া কার্যকরী কিছু উপায় জেনে নিন

⇒ ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ আমন্ড তেল(Amand oil) মিক্স করে পেস্ট বানাবেন। এটি মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন আর বেশী পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

⇒ আপনার ত্বকে ব্রণ থাকলে দুধ দিয়ে রূপচর্চা করবেন না।

⇒ পুদিনা পাতার পেস্ট ২০ থেকে ২৫মিনিট ব্রণের উপর লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে ফেলে ধুয়ে ফেলুন।

⇒ নিমপাতা(neem leaf) এবং কাঁচা হলুদের পেষ্ট বানিয়ে মুখে লাগান।

এখানে যেসব উপায়ের কথা বলা হল সবগুলো খুবই কার্যকর আর পরীক্ষিত। এছাড়া এতে কোন রাসায়নিক উপাদানও নেই যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে। তাই নিশ্চিন্তে এগুলো মেনে চালুন নিয়মিত। অবশ্যই আপনার ত্বক ব্র্ণ মুক্ত থাকবে আর যদি ব্রণ ইতিমধ্যে উঠে যায় তাও দূর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.