কখনও কঠিন ডায়েট, তো কখনও সকাল হলেই দৌড়, জিমে গিয়ে নানা ব্যায়াম। মেদ কমানোর জন্য কত কিছু করি আমরা। তবুও ফলাফল শূন্য। তবে মেদ কমানোর সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে মাত্র সেদ্ধ ডিম (egg)। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানান, এক সপ্তাহে ১০ কিলোগ্রাম ওজন কমাতে সাহায্য করবে সেদ্ধ ডিম (egg)। তবে শুধু এই ডিম (egg) সেদ্ধ খেলেই হবে না। রয়েছে এর আরও নানা নিয়ম কানুন।
শুক্রবার-
ব্রেকফাস্টঃ ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম (egg)
লাঞ্চঃ ফল
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন
শনিবার-
ব্রেকফাস্টঃ ফল
লাঞ্চঃ এক কাপ ভাত, দুটো ডিম (egg)সেদ্ধ, একটু মাখন
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন
রবিবার-
ব্রেকফাস্টঃ ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম
লাঞ্চঃ ফল
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন
সোমবার-
ব্রেকফাস্টঃ একটা ফল, ২ টো ডিম (egg) সেদ্ধ
লাঞ্চঃ ফল, পাউরুটি,
ডিনারঃ স্যালাড, গ্রিলড চিকেন
মঙ্গলবার-
ব্রেকফাস্টঃ একটা ফল, ২ টো ডিম সেদ্ধ
লাঞ্চঃ গ্রিন স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন,
ডিনারঃ দুটো সেদ্ধ ডিম, স্যালাড ও কমলালেবু
বুধবার-
ব্রেকফাস্টঃ একটা ফল, ২ টো ডিম (egg)সেদ্ধ
লাঞ্চঃ চিজ, টমাটো, পাউরুটি
ডিনারঃ স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন
বৃহস্পতিবার-
ব্রেকফাস্টঃ ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম (egg)
লাঞ্চঃ ফল
অতিরিক্ত ওজন হলে যেসব মারাত্মক রোগ দেখা দেয়ঃ
শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হওয়া মানেই হচ্ছে শরীরে রোগের ছড়াছড়ি। আর এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ (blood pressure) , রক্তে চর্বি, হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
বিজ্ঞানীরা জনান, এজন্য মানুষের বয়স ও উচ্চতা অুযায়ী যতটুকু ওজন দরকার, তার চেয়ে তিন কেজি বেশি হলেই ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা ২৫-৩০ ভাগ বেড়ে যায়। রক্তচাপ (blood pressure) বাড়ার ফলে হৃদরোগ হওয়ার আশংকা শতকরা ৪০ ভাগ বেড়ে যায়।
সঠিক ওজনের থেকে মাত্র এক কেজি ওজন বাড়ালে অস্তিসন্ধিগুলোতে আর্থাইটিস হওয়ার ঝুঁকি শতকরা ১০ ভাগ বাড়ে। পেট মোটা আর অতিরিক্ত ওজন মানেই অসুস্থতার লক্ষণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতিরিক্ত স্বস্থ্য যাদের তারা যদি ছয় থেকে আট শতাংশ ওজন কমাতে পারে তাহলে- উচ্চ রক্তচাপ (blood pressure) থাকলে কমে যাবে। রক্তে কলস্টেরল কমে যাবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে। ওষুধ কম মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। আর্থ্রাইটিস ব্যথা হ্রাস পায়।
তবে ওজন ধীরে ধীরে কমান। দৈহিক শ্রম খুব জরুরি। খাবার গ্রহণে সতর্ক হোন।লিফটে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন। প্রতি সপ্তাহে নয়, প্রতি মাসের পরিকল্পনা নিয়ে ওজন কমান। প্রতি মাসে কমপক্ষে দুই কেজি ওজন কমান। ছয় মাসে কমপক্ষে সাত থেকে দশ শতাংশ ওজন কমানোর লক্ষ্য স্থির করুন। কম সময়ে বেশি ওজন কমানো ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।