চিরকাল স্লিম থাকতে মেনে চলুন সাধারণ কয়েকটি ঘরোয়া টিপস
কঠোর পরিশ্রম করে ওজন কমিয়ে স্লিম হওয়ার কাজটি অনেকেই করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন এই ওজন কমিয়ে আনার পর তা ধরে রাখতে হয়। অনেকের কাছেই কাজটি একেবারেই কঠিন। বিশেষ উদ্দেশ্যে ওজন কমিয়ে এনে পরে ব্যায়াম(exercise) ডায়েট ছেড়ে দিয়ে মোটা হতে থাকেন। নিয়ম মেনে চললে খুব কঠিন ডায়েট এবং ব্যায়াম (exercise) ছাড়াই চিরকাল স্লিম থাকতে পারবেন বেশ সহজেই। সেই গোপন টিপসগুলোই দেখে নিন
১. অল্প করে খাবার (food) খাবেন –
খুব কঠিন ডায়েট করার প্রয়োজন নেই। ৩ বেলার পরিবর্তে ৫-৬ বেলা অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ৩ বেলায় যা খেতেন সেটাই ভাগ করে ৫-৬ বেলাতে নিয়ে আসুন। একবারে বেশি খেলে খাবার (food) হজম হতে দেরি হয় যার কারণে দেহে মেদ জমে। ৫-৬ বার খাবার খেলে একবারে কম খাওয়া হবে, মেদও জমবে না।
২. ছোট প্লেটে খান –
খাবার (food) খাওয়ার সাথে এবং পেট ভরার সাথে আমাদের চোখের দেখার একটি বিষয়ের যোগাযোগ রয়েছে। বড় একটি প্লেটে অল্প খাবার তুলে খেলে দ্বিতীয়বার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা রয়ে যায়, মনে হতে থাকে পেট ভরেনি। গবেষণায় দেখা যায় ছোটো প্লেটে অল্প করে খাবার তুললে এই সমস্যাটি একেবারেই হয় না। খাবারও (food) কমই খাওয়া হয়।
৩. পানীয় ব্যাপারে সতর্ক থাকুন –
পানি বাদে অন্যান্য যতো পানীয় পান করছেন তার সবগুলোর ব্যাপারে সর্তক থাকুন। কারণ পানীয়ের বাড়তি চিনিটাই আপনার জন্য ক্ষতিকর তা সে সফটড্রিংকসই হোক বা ফলের জুসই হোক না কেন। অল্প করে চুমুক দিয়ে পান করুন। একবারে পান করে ফেললে হিসাব থাকে না আপনি কতোটা পান করছেন এবং এর ফলাফল দেখা যায় শরীরে।
৪. ঘরে আনুন রেস্টুরেন্টের পরিবেশ –
অবাক হচ্ছেন? কিন্তু অবাক হলেও সত্যি যে রেস্টুরেন্টের মতো পরিবেশ আপনাকে কম খেতে বাধ্য করবে। গবেষণায় দেখা যায়, ঘরেই আলো কমিয়ে একটু মিউজিক লাগিয়ে খেতে বসলে মানুষ অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম খাবার (food) খেয়ে থাকেন। এতে করে ওজনটা থাকে নিয়ন্ত্রনেই।
৫. নিজের কাজ নিজে করুন –
ব্যায়াম(exercise) ছেড়ে দিচ্ছেন ভালো কথা কিন্তু স্লিম হওয়ার ব্যাপারটা ধরে রাখতে চাইলে নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন। যেমন, বাজার করা, ঘরের কাজ করা, এটা সেটা আনতে যাওয়া অর্থাৎ যেসকল কাজে একটু শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়। এতে কাজের কাজও হবে এবং স্লিম থাকাও যাবে।সূত্র : দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া
সতীত্ব হারানোর পর নারীদের দেহে যেসব পরিবর্তন আসে! জেনে নিন!
ভার্জিনিটি বা সতীত্ব নিয়ে কথা বলা সাধারণত আমাদের দেশে ট্যাবু। তবে সময় বদলাচ্ছে দ্রুত। অনেকেই এখন নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে নানা সংবেদনশীল কথা মুখ ফুটে বলতে শুরু করেছেন। তেমনই একটি বিষয় হল কুমারীত্ব হারানো। ভারতে এখনও কুমারীত্ব হারানো নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কুমারীত্ব হারালে অহেতুক আতঙ্কে নয়, বরং সচেতন থাকুন। ভার্জিনিটি বা কুমারীত্ব হারালে নারীর দেহে কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, সেই বিষয়টি এই প্রতিবেদনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হল।
১. প্রথম দাম্পত্য ইন্টারকোর্সের পর নারীর দেহে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তার মধ্যে সর্বাগ্রে থাকে যোনির পরিবর্তন। ভ্যাজাইনার ইলাস্টিসিটিতে পরিবর্তন টের পাওয়া যায়। নারীর গোপনাঙ্গ ক্রমশ মিলনের জন্য উন্মুখ হতে শুরু করে। একটা সময় নিয়মিত মিলনের পর ভ্যাজাইনা নিজেই লিউব্রিকেটেড হতে শুরু করে দেয়।
২. ক্লিটোরাস ও ইউটেরাস বুঝতে শেখে, কখন সংকুচিত ও প্রসারিত হতে হবে। যৌন উত্তেজনা জাগলে ক্লিটোরাস সাড়া দিতে শুরু করে। নিয়মিত যৌন মিলন (physical relation) হতে শুরু করলেই এই পরিবর্তনগুলি টের পাওয়া যায়। অন্যথা, নারীর গোপনাঙ্গ ‘ইন-অ্যাকটিভ’ই থেকে যায়।
৩. কুমারীত্ব হারিয়ে নারীর শরীর যখন মিলনের আস্বাদ পেতে শুরু করে নিয়মিত, তখন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতেও কিছু পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। যেমন মিলনের সময় ও খানিক পর স্তন স্বাভাবিকের চেয়ে একটি দৃঢ় হতে শুরু করে। কারণ, এই সময় কোষগুলিতে অধিক রক্ত সঞ্চালন হয়। স্তনবৃন্তগুলিও দৃঢ় হয় একই কারণে।
৪. স্তনবৃন্ত অধিক সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। নিয়মিত যৌন মিলনে (physical relation) অংশ নিলে শরীরের এরকমই বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আসলে স্তনবৃন্তের আশেপাশের অংশে এই সময় রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ৫. যৌন মিলনের (physical relation) ফলে শরীরে ‘হ্যাপি’ হরমোনের মাত্রা বাড়ে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। মহিলারা স্বাভাবিকের তুলনায় একটি বেশি হাসিখুশি হয়ে ওঠেন। এই হরমোনের পোশাকি নাম অবশ্য সেরোটনিন।
৬. হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে মহিলাদের ঋতুচক্রে খানিকটা দেরি হয়। পিরিয়ড একটু দেরিতে হয় বলে অনেকেই এই সময়টা প্রেগনেন্সির আশঙ্কায় ভোগেন। কিন্তু সে আশঙ্কা অমূলক, বলছেন চিকিৎসাকরা। ৭. ভার্জিনিটি হারানোর পর মহিলারা একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁদের সুখ বা দুঃখের বহিঃপ্রকাশ একটু চড়া হয়ে ওঠে।