পোষ্টটি তাদের জন্য যারা অধিক সময় ধরে মিলন (physical relation) করতে পারেন না। অধিক সময় ধরে যৌন মিলন করার জন্য আপনার ডক্টর তিনটি পদ্ধতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে। মিলনে (physical relation) পুরুষের অধিক সময় নেওয়া পুরুষত্বের মুল যোগ্যতা হিসাবে গন্য হয়।যেকোন পুরুষ বয়সের সাথে সাথে সহবাসের নানাবিধ উপায় শিখে থাকে। এখানে বলে রাখতে চাই – ২৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ সাধারনত অধিক সময় নিয়ে সহবাস করতে পারেনা।
তবে তারা খুব অল্প সময় ব্যবধানে পুনরায় উত্তেজিত/উত্তপ্ত হতে পারে। ২৫ এর পর বয়স যত বাড়বে সহবাসে পুরুষ তত অধিক সময় নেয়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পুনরায় জাগ্রত (ইরিকশান) হওয়ার ব্যবধানও বাড়তে থাকে। তাছাড়া এক নারী কিংবা এক পুরুষের সাথে বার বার সহবাস করলে যৌন মিলনে (physical relation) অধিক সময় দেয়া যায় এবং সহবাসে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়।
কারন স্বরূপ: নিয়মিত সহবাসে একে অপরের শরীর এবং ভাল লাগা/মন্দ লাগা, পছন্দসই আসনভঙ্গি, সুখ দেয়া নেয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।
[উল্লেখ্যঃ যারা বলেন “এক তরকারী দিয়ে প্রতিদিন খেতে ভাল লাগেনা – তাই পর নারী ভোগের লালসা” – তাদেরকে অনুরোধ করছিঃ দয়াকরে মিথ্যাচার করবেন না। এমন যুক্তি ভিত্তিহীন। পরকীয়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে।
মাত্র কয়েক মিনিটের কাম যাতনা নিবারনের জন্য আজীবনের সম্পর্কে অবিশ্বাসের কালো দাগ লাগাবেন কেন? অবিবাহিত ভাই ও বোনেরা, আপানাদের কি অতটা বড় বুকের পাটা আছে – যদি বিয়ের পরে আপনি জানেন যে আপনার স্ত্রী ‘সতী’ নয় তখন তার সাথে বাকি জীবন কাটাবেন? তাহলে কেন শুধু শুধু বিবাহ-পুর্ব সহবাসে জন্য এত ব্যকুলতা? যে ধরনের নারীকে আপনি গ্রহন করতে পারবেন না – অথচ সেই আপনি অন্য পুরুষের ভবিষ্যৎ বধূর সতীত্ব লুটবেন? দুঃখিত যদি কারো ব্যক্তি সত্বায় আঘাত করে থাকি।] মূল আলোচনায় আসা যাক। বলছিলাম সহবাসে অধিক সময় দেয়ার পদ্ধতি সমুহ নিয়ে আজকের আলোচনা।পদ্ধতিতে আসা যাক।
অধিক সময় ধরে সহবাস করার তিনটি কার্যকরী পদ্ধতি
পদ্ধতি ১: চেপে/টিপে (স্কুইজ) ধরা:
অধিক সময় ধরে যৌন মিলন (physical relation) করার এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যাক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়? যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)। চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে।স্কুইজ পদ্ধতি এক মিলনে(physical relation) আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামীর প্রমাণ ছাড়া আর কিছু নয় ।
পদ্ধতি ২: সংকোচন (টেনসিং):
অধিক সময় ধরে যৌন মিলন (physical relation) করার এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারনা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রসাব পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচুনী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হল এখনে আমরা খিচুনী প্রয়োগ করবো – চাপ নয়।এবার মুল বর্ননা – মিলনকালে(physical relation) যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কর্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। এবার ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনী দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন।সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে। আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।
পদ্ধতি ৩: বিরাম (টিজিং / পজ এন্ড প্লে):
এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃৎ। সাধারনত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলনকালে(physical relation) বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যৎ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন।যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পুর্ন নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করবেন না।
পরিশিষ্ট: উপরের সবকয়টি পদ্ধতি আপনার সঙ্গীর তৃপ্তির উদ্দেশ্যে। অনেকের ধারনা নারী এ ট্রিকস্ গুলো অনুমান বা জানতে পারলে পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে সে লাভবান হওয়া। স্ত্রীরও উচিত স্বামীর প্রতি যত্নশীল হওয়া।