বর্তমান সময়ে সাজ বা মেকআপ(Makeup) ছাড়া কোন উপলক্ষ্যই কল্পনা করা যায় না। জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান জুড়ে রয়েছে এটি। আর সুন্দর মেকআপের মূল কথাই হলো সঠিক ব্যালেন্স। এজন্য মেকআপের প্রতিটি অংশের মধ্যে যথাযথ সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে। তাই কীভাবে মেকআপ(Makeup) ম্যানেজ করে নিজেকে আরো আকর্ষনীয় করবেন তা জেনে নিন।
প্রথম ধাপ:
প্রত্যেক ত্বকেরই একটা ন্যাচারাল শেড রয়েছে। ত্বকের(Skin) এই ন্যাচারাল শেডটাকে হাইলাইট করার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন, অতিরিক্ত মেকআপে ত্বকের ন্যাচারাল টোন যেন হারিয়ে না যায়। মেকাপ লাগানোর সময় সার্কুলার মুভমেন্টে হালকা হাতে মেকআপ লাগাবেন। ত্বকে দাগ থাকলে খুঁত ঢাকার জন্য ত্বকের(Skin) সব অংশে কনসিলার বা ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ফেলবেন না। মুখের যে অংশে দাগ রয়েছে বা মেকআপ দিয়ে ঢাকার প্রয়োজন রয়েছে শুধু সেই অংশটুকুতে কনসিলার লাগান। মুখের বাকি অংশের মেকআপের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।
দ্বিতীয় ধাপ:
চোখের সাজের ক্ষেত্রে আইব্রোর ওপরের অংশে হালকা শেড দিয়ে ব্লেন্ড করুন। আইলিডের হাড়ের ওপর আইশ্যাডো(Eyeshadow) ঘষে নিন। স্মোকি লুক তৈরিতে সাহায্য করবে। খেয়াল রাখুন দুই রংয়ের আইশ্যাডোর মাঝে যেন খুব বেশি ফারাক না থাকে। পেনসিল বা ব্রাশ দিয়ে কাজল লাগান। আইলাইনার(Ileiner) লাগানোর সময় আইশ্যাডোর কালারের দিকে খেয়াল রাখুন। আইশ্যাডোর সঙ্গে মানানসই আইলাইনার বেছে নিন। ওয়াটারপ্রফ মাশকারা ব্যবহার করুন।
তৃতীয় ধাপ:
ঠোঁটের ক্ষেত্রে প্রথমে ভেজা টিস্যু দিয়ে ঠোঁটের মরা চামড়া সরিয়ে নিন। তারপর লিপস্টিক(Lipstick) লাগালে ঠোঁটের ওপর লিপস্টিক জমাট বেঁধে থাকবে না। যাদের ঠোঁট(Lips) ড্রাই তারা লিপস্টিক লাগানোর আগে হালকাভাবে চ্যাপস্টিক বা লিপ বাম লাগিয়ে নিন। লিপস্টিক লাগানোর পর টিস্যুতে সামান্য পাউডার দিয়ে ঠোঁটের ওপর হালকা করে প্রেস করুন। এতে লিপকালার বেশিক্ষণ সেট হয়ে থাকবে। পোশাকের সঙ্গে মানানসই আইশ্যাডো লাগান। শ্যামলা ত্বকে ব্রাউন আইশ্যাডো ভালো লাগবে।
চতুর্থ ধাপ:
যাদের চোখ ছোট তারা চোখের ভেতর থেকে কাজল না পরে বাইরের দিক থেকে পরুন। সরু করে আইলাইনার(Ileiner) লাগান। বড় চোখ হলে যে কোনোভাবে কাজল লাগালেই ভালো লাগে। পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই লিপস্টিক লাগান। শ্যামলাদের ঠোঁটের জন্য ভালো ডার্ক মেরুন রংয়ের লিপস্টিক(Lipstick)। গোলাপি রংয়ের লিপস্টিকের শেড এড়িয়ে চলাই ভালো। ফর্সা রং যাদের তারা চোখের পাতার ওপরে হালকা গোলাপি আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটে লাগান গ্লসযুক্ত হালকা গোলাপি লিপস্টিক।
পঞ্চম ধাপ:
ক্লান্ত শরীরে মেকআপ(Makeup) নিয়ে শুয়ে পড়া বা কোনো রকমে সাবান দিয়ে মেকাপ ধুয়ে ফেলা ত্বকের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই নিয়ম মেনে মেকআপ তুলুন। মুখ থেকে চুল সরিয়ে বেঁধে নিয়ে তুলায় ক্লিনজার লাগিয়ে প্রথমে আই মেকআপ রিমুভ করুন। কারণ চোখের মেকাপ দেরিতে রিমুভ করলে আইলাইনার বা আইশ্যাডো(Eyeshadow) পুরোপুরি পরিষ্কার হতে চায় না। মুখের মেকআপ খুব চড়া হলে হাতে সামান্য নারকেল তেল(Coconut oil) বা ভালো বডি লোশন নিয়ে হালকাভাবে মুখে লাগান। তুলা পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। মুখের মেকআপ তুলে ফেলার পর হালকা গরম পানি আর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। শুকনো করে মুছে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।