করোনার ঝুঁকি কমানোর জন্য এখন বাচ্চাদের (baby)সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। তাই এমন খাদ্য নির্বাচন করতে হবে, যাতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
জিংকযুক্ত খাবার :জিংকের অভাবে বাচ্চা (baby) এমনকি বড়োদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। অথচ দেখা গেছে জিংক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমাতে সহায়ক। আর জিংকের উল্লেখযোগ্য উত্স মটরশুঁটি, লাল মাংস ও বাদাম। সেলিনিয়ামযুক্ত খাবার : এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও লিভারের কাজে সহায়ক। উত্স :শস্য, রসুন, ব্রুকলি, মাছ (fish), গরুর মাংস ও ডিম। লৌহযুক্ত খাবার : বাচ্চাদের দৈহিক বিকাশ, স্নায়ুবিক বিকাশে এটি অপরিহার্য উপাদান। শিশুর রোগ প্রতিরোধক কোষের জন্যও প্রয়োজন। উত্স : ডাল, পালংশাক, মাংস, গাঢ় সবুজ শাক। ভিটামিন (vitamin) সি-যুক্ত খাবার : এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা, কোষীয় কাজে সাহায্য করে।
এটি বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই সর্দি কাশির সময় ভিটামিন (vitamin)সি নিয়মিত খেতে বলা হয়। এটি লৌহ শোষণেও সাহায্য করে। উত্স : কমলা, লেবু, আমলকী, আনারস, জাম, আঙুর, টম্যাটো, পেয়ারা, পেঁপে। ভিটামিন(vitamin) ই-যুক্ত খাবার : এটি প্রতিরোধক কোষের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও ভাইরাস (virus) সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ায়। উত্স : বাদাম তেল, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি।
তাছাড়া ভিটামিন (vitamin) এ-যুক্ত খাবার যথা গাজর, আম, মিষ্টি আলু, গরুর কলিজা ইত্যাদি দিতে হবে বাচ্চাদের (baby) । তাছাড়া দুধ, দই, পনির অর্থাত্ দুগ্ধজাত খাবারও দিতে হবে।
লেখক : পুষ্টি বিশেষজ্ঞ।
ইত্তেফাক/বিএএঢ