কোন রকমের ক্যামিক্যাল ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে নিজের যত্ন নিন।আর দেখুন এক মাসের মধ্যে ত্বকের (skin) কুঁচকানো ভাব থেকে বলিরেখা সব ভ্যানিশ হবে। কম বয়েসে মুখে বলিরেখা দেখা দিয়েছে? অনেক কিছু ট্রাই করেও কিছু সুরাহা হচ্ছে না? চিন্তা না করে আজকের টিপস বরং দেখে নিন। এক মাস নিয়মিত ব্যবহার করুন। কথা দিচ্ছি ত্বকের (skin)কুঁচকানো ভাব থেকে শুরু করে বলিরেখা সব দূর হবে। কোন রকমের ক্যামিক্যাল ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে নিজের যত্ন নিন।
মেথি বা মেথির তেল— আপনার ত্বকের (skin)নানা সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখবে, যেমন গালের চামড়া কুঁচকে যাওয়াতে কিন্তু দারুণ কাজ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন (vitamin) আর মিনারেলস, যা আপনার ত্বকে সহজে ঢুকতে পারে, আর বলিরেখা, ফাইন লাইনসকে তাড়াতাড়ি কমায়।
উপকরণ – মেথি ২ চামচ, জল ১ কাপ। পদ্ধতি: মেথি জলে ফুটিয়ে নিন প্রথমে। তারপর তা ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ফল পেটে এটা দিনে দু’বার করে অন্তত করুন। তাছাড়া আপনার গালে মেথির তেলও লাগাতে পারেন।
কাঠ বাদাম – আপনার গালের কুঁচকোনো ভাব কমাতে ব্যবহার করুন কাঠ বাদাম। যা আপনার ত্বকের (skin)বয়স আর কুঁচকে যাওয়া—দুটোই কমাতে পারে সহজে।
উপকরণ: কাঠ বাদাম ৫-৬ টা, কাঁচা দুধ ৪ চামচ। পদ্ধতি: কাঠ বাদাম কাঁচা দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে পেস্ট করে মুখে মেখে ফেলুন। ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ডার্ক সার্কেল থেকে শুরু করে গালের কুঁচকে যাওয়া ত্বক—সব সমস্যার সমাধান হবে জলদি। রোজ নিয়ম করে করবেন। এছাড়া বাদাম তেলও কিন্তু মাখতে পারেন।
কলা – গালের কুঁচকোনো থেকে যদি মুক্তি পেতে চান তাড়াতাড়ি, তাহলে কলাকে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন (vitamin) , মিনারেলস আর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা আপনার মুখের কুঁচকে যাওয়া আর ফাইন লাইনস সহজেই দূর করে।
উপকরণ: কলা ১ টা, মধু ২ চামচ। পদ্ধতি: কলা ভালো করে ম্যাশ করে নিন। এবার ওর সাথে মধু মিশিয়ে ভালো করে মাখুন। এবার এটা আপনার মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে মেখে ফেলুন। আধ ঘণ্টা মতো রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে মোটে দু’দিন করুন। দেখবেন একমাসে আপনার গালের ত্বক (skin) আবার টানটান হয়ে উঠেছে।
অ্যালোভেরা – অ্যালোভেরায় কিন্তু প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আর ম্যালিক অ্যাসিড থাকে। এটা আপনার ত্বকের (skin) বলিরেখা কমিয়ে ত্বককে (skin) টানটান রাখে।
উপকরণ: ফ্রেশ অ্যালোভেরা রস পরিমাণ মতো। পদ্ধতি: অ্যালোভেরা রস আপনার গালে বা সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। নিয়ম করে করুন।
আজকের উপায় গুলির মধ্যে যেকোনো একটি নিয়ম মত ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যে মুখের সব সমস্যা দূর হবে। তাহলে না ভেবে বেশি এবার ট্রাই করে ফেলুন।
ছোট ও ঝুলে পড়া ব্রেস্ট সুগঠিত ও টাইট করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর একটি টিপস
নারীর শারীরিক সৌন্দর্যের মূলে রয়েছে তার বক্ষ যুগল। সুন্দর আকৃতির নিটোল স্তন (breast) সব মেয়েদেরই (girls) কাম্য। শুধু নারীর কাছেই নয়, উন্নত বক্ষ যুগল পুরুষের চোখেও যেকোনো নারীকে অনেক বেশি আবেদনময়ী আর আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। কিন্তু আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনে নারীরা নিজের শরীরের প্রতি খুব কমই যত্ন নিতে পারে। তাই সম্মুখিন হতে হয় নানা সমস্যার। আর এতে করে শরীরের অন্যান্য অংশের মতো স্তনের (breast) আকৃতিও নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে সুরহা করবেন এই সমস্যার? ব্রেকিংনিউজ পাঠকদের জন্য সেরকমই কিছু টিপস তুলে ধরা হলো।
সৌন্দর্যের বিকাশে নারীর বক্ষের মূল্য অপরিসীম। স্বাভাবিক ভাবে জন্মগত গঠনের পর মেয়েরা বক্ষের সৌন্দর্য বাড়াতে পারেন সামান্য পরিচর্চার মাধ্যমে। মেয়েরা এখন আধুনিক যুগে পোশাক পরা নিয়ে আর পিছপা হয় না। পিঠ খোলা, বুককাটা, হাতকাটা নানান পোশাক পরতে ভালোবাসে মেয়েরা। অনেক সময় এইসব পোশাক পরে অনেককে ভালো লাগে আবার অনেককে মানায় না।
কেননা ১২-১৬ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের (girls) স্তনের বৃদ্ধি ঘটে। মেয়েদের (girls) স্তনের আকার বিভিন্ন হয়। এই স্তনের (breast) পরিচর্চা ঠিকমত না করলে শিথিল হয়ে ঝুলে পরতে পারে। কারো কারো শরীরের অনুপাতে বুক ছোট হয়, আবার কারো অল্প বয়সেই বুক বৃহদাকার হয়।
ছোট বুক যেমন কোন নারীর সৌন্দর্য বিকাশে সহায়ক হয়না, তেমনই শরীরের তুলনায় অনেক বড় বুক বড় বেমানান লাগে। এইসব কারণে হরেক রকমের পোশাক পরেও সৌন্দর্যময়ী নারীরূপে নিজেকে তুলে ধরতে পারে না। তাই স্তন (breast) সঠিক রাখতে ও সৌন্দর্য্যময় করে গড়ে তুলতে প্রাত্যহিক ব্যায়াম আবশ্যক। ব্যায়ামের প্রয়োজনের সাথে কিছু যত্নেরও প্রয়োজন আছে।
# স্তন (breast) শিথিল হওয়ার কারণ:
* খাদ্য গ্রহণের পরিমানের ঠিকমত অভাব
* নারীর ওজন কমে গেলে
* অতিরিক্ত পরিশ্রম
* বেশি শ্রমযুক্ত খেলাধুলা করলে অনেক সময় স্তনের (breast) ফ্যাটিটিস্যু কমে যায়
* প্রতিদিন গরম জলে স্নান করলে
* বেশি বয়সে হরমোন জনিত কারণে
# কীভাবে স্তনের (breast) শিথিলতা দূর করা যায়:
স্তনের পরিচর্চার প্রথম ধাপ হল ম্যাসাজ। ১৮ বছরের পর থেকে রোজ স্তন (breast) ম্যাসাজ করলে শিথিলতা দূর করা যায়। স্নান করার আগে হালকা করে তেল মাখবেন। তারপর সাবান মেখে স্নান করবেন। ঋতু চলাকালীন স্তন ম্যাসাজ করবেন না।
# ম্যাসাজের পদ্ধতি:
* ডান দিকের স্তনে বাঁ হাত রাখুন। হাতের তালুর চাপ দিয়ে ধীরে বুকের উপর দিয়ে কাঁধ পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন।
* হাতের তালু দিয়ে বৃত্তাকার গতিতে স্তন (breast) দুটি ম্যাসাজ করুন।
* দুই স্তনের (breast) উপর আলতো হাতে আঙ্গুল জড়ো করে আলতো করে চাপড় মারুন।
* স্তনের তলার দিকে হাত দিন। তারপর স্তনের তলা থেকে হাত দুটি গোলাকারে গলার কাছে ঘুরিয়ে তুলে আনুন। এবার কাঁধের দিক থেকে নীচে বাহুর মূল পর্যন্ত পিঠের দিকে নামান। এইভাবে প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
মনে রাখবেন সন্তানকে দুধ পান করানো স্তনের (breast) পক্ষে উপকারী। কারণ- শিশু যখন দুধ পান করে তখন স্তনের বৃন্ত লম্বা হয়ে যায় এবং শিশু চুষে দুধ বার করার জন্য পেশিতে সংকোচন ও প্রসারণ হয়, ফলে স্তনের ব্যায়াম হয়। এর ফলে স্তন সুগঠিত হয়।
# স্তন (breast) পরিচর্চার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি:
* ব্রা পরবেন সঠিক মাপের (shape) এবং ভালো কোনো কোম্পানির।
* ব্রা ব্যবহার করার পর রোজ সাবান জলে ধুয়ে তারপর ডেটল জলে চুবিয়ে মেলে দেবেন।
* রাতে শোয়ার সময় ব্রা খুলে শোবেন।
* খুব টাইট বা খুব ঢিলে ব্রা পরবেন না।
* স্তনের (breast) তলা বার বার মুছে ভালো পাউডার লাগাবেন। ঘাম জমতে দেবেন না।
উল্লেখিত পদ্ধতিতে আপনি আপনার বক্ষ যুগলকে আরো সুগঠিত এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার স্তনই (breast) আপনার সৌন্দর্য্য প্রকাশের অন্যতম বাহন
মাসিক ৫দিন পেছানোর জন্য কি ঔষধ খাব, এর নাম কি?
আমার মাসিক (PERIOD) হওয়ার পরের দিন আমার একটা প্রোগরাম আছে, তাই আমি আমার মাসিক (PERIOD) ৫দিন পেছাতে চাচ্ছি । মাসিক হওয়ার তারিখ ৫দিন পেছানোর জন্য আমাকে কোন ঔষধ খেলে ভাল হবে, ঔষধের নাম কি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই…দয়া করে একটু তারাতারি সাহায্য করুন(আমার মাসিক হওয়ার তারিখ আগষ্ট এর ১ তারিখ)
Norethisterone 5mg ঔষধটি দিনে ৩ বার করে খেতে হবে।
৩০ টি ট্যাবলেট খেলে প্রিয়ড (মাসিক (PERIOD) ) ৭ দিন পেছাবে।
৬০ টি ট্যাবলেট খেলে ১৭ দিন পেছাবে।
আপনার তারিখ যেহেতু পহেলা আগস্ট সেহেতু আপনাকে ২০ জুলাই বা তার দু-একদিন আগে থেকে ঔষধ গ্রহণ শুরু করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ এর সাধারণত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তবে কিছু মহিলার ক্ষেত্রে র্যাস, চুলকানি, মাথা ঘোরা এবং মাথাব্যাথা, বমি বমি ভাব বা বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে।
গর্ভধারণ ছাড়াও যে সকল কারণে মাসিক (PERIOD) দেরীতে হতে পারে
পিরিয়ড বাঋতুচক্র নারীদেহের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিটি নারীর পিরিয়ড হয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় এই সময়ের পরও পিরিয়ড হতে দেরী হয়। কোন কারণ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাবার পরও পিরিয়ড হয় না। আর পিরিয়ড না হওয়ার কারণে নারীরা, বিশেষত বিবাহিত নারীরা অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিশেজ্ঞদের মতে গর্ভধারণ ছাড়াও আরও কিছু কারণে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে। যে সকল কারণে গর্ভধারণ ছাড়াও নারীদের পিরিয়ড দেরী হতে পারে।
১। অতিরিক্ত মানসিক চাপ
পিরিয়ড দেরী হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল অতিরিক্ত মানসিক চাপ। হঠাৎ করে অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া হতে পারে। ফলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং পিরিয়ড দেরীতে হয়।
২। অতিরিক্ত ওজন অথবা কম ওজন
আপনি কি ওভারওয়েট? আপনার ওজন যদি ৯২ কেজি হয়ে থাকে, তবে আপনি স্থূলতা সমস্যায় আছেন। আর এই অতিরিক্ত ওজন অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য দায়ী। আবার হঠাৎ করে আপনার ওজন যদি কমে যায়, তবে অনিয়মিত মাসিক (PERIOD) হতে পারে।
৩। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যা আমাদের গলার নিচে অবস্থিত। এটি শরীরে মেটবলিজম নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি দেহের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড গ্রন্থির যেকোন সমস্যার কারণে আপনার মাসিক (PERIOD) অনিয়মিত হতে পারে এমনটি বলেন Dweck।
৪। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
এটি একটি হরমোনজনিত রোগ। শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেসটোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হলে। আর যার কারণে পিরিয়ড দেরীতে হয়ে থাকে।
৫। জন্ম নিয়ন্ত্রণ
বিবাহিত নারীদের পিরিয়ড বিলম্ব হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল অতিরিক্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া। ঘন ঘন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া নারীদের মাসিকে সমস্যা সৃষ্টি করে। আবার কিছু কিছু জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধের রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
৬। অসুস্থতা
অনিয়মিত মাসিকের (PERIOD) আরেকটি প্রধান কারণ হল অসুস্থতা। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে পিরিয়ড দেরী হয়।
৭। অতিরিক্ত ভ্রমণ
আপনি যদি নিয়মিতভাবে ভ্রমণ করেন। তবে মাসিক (PERIOD) দেরী হতে পারে। এটি তেমন কোন বিষয় নয়। নতুন পরিবেশ এবং সময়ের কারণে এটি হয়ে থাকে। আপনার শরীরে নতুন পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে আবার মাসিক (PERIOD) চক্র নিয়মিত হয়ে যাবে।