ত্বকের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মুখ(Face) ধোয়া ও পরিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ফেস ওয়াশ তৈরি করার সকল জিনিস আপনার ঘরেই আছে। কিন্তু সকল ধরণের ফেস ওয়াশ(Face wash) সকল ধরণের ত্বক এর জন্য উপযুক্ত নয়। বিভিন্ন ধরণের ত্বকের(Skin) জন্য উপযোগী বিভিন্ন প্রকার ফেস ওয়াশ তৈরির বিস্তারিত জেনে নিই চলুন।
১। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মধু ও লেবুর রসের ফেস ওয়াশ
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এসিড নির্ভর ফেস ওয়াশ প্রয়োজন। তাই সাইট্রাস ফল যেমন- লেবু হচ্ছে এর সহজ সমাধান। তাই আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক(Oily skin) হয়ে থাকে তাহলে মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে একটি এয়ার টাইট জারে রাখুন এবং প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। লেবু(Lemon) ত্বক পরিষ্কার করে এবং মধু ধুলাবালি, ময়লা ও তেল দূর করে।
২। ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য তেল ভিত্তিক ক্লিঞ্জার
যদি আপনার মুখে অনেক ব্রণ(Acne) থাকে তাহলে আপনার উচিৎ লেনোলেইক এসিড সমৃদ্ধ ফেশ ওয়াশ ব্যবহার করা। আপনি টি ট্রি অয়েল, আমন্ড তেল(Amand oil) বা আঙ্গুরের তেল ব্যবহার করুন। এগুলোর যে কোনটি আপনার আঙ্গুলে লাগিয়ে মুখে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর উষ্ণ ১টি তোয়ালে দিয়ে কিছুক্ষণ মুখ ঢেকে রাখার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা সবচেয়ে ভালো প্রতিকার। অ্যালোভেরা(Aloe Vera) জেল নিজেই ফেস ওয়াশের মত কাজ করে। আপনি যদি আপনার ত্বক এর আর্দ্রতা বজায় রাখতে চান তাহলে এর সাথে মধু(Honey) মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪। শুষ্ক ত্বকের জন্য দই ও তেলের ফেস ওয়াশ
আধা কাপ দইয়ের সাথে ১ টেবিল চামচ মধু ও সামান্য অলিভ অয়েল(Olive oil) মিশিয়ে ১ টি জারে সংরক্ষণ করুন। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন আপনার মুখে লাগিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে আপনার শুষ্ক ত্বক পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি আর্দ্রতাও পাবে।
৫। যে কোন ত্বকের জন্য দই
দই ল্যাক্টিক এসিড ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ। এটি একটি প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার যা ত্বকের উপরিভাগের মরা চামড়া দূর করার মাধ্যমে ত্বককে ডিটক্সিফাই করে। প্রতিদিন মুখ ধোয়ার জন্য দই ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বকের ফাইন লাইন, রিংকেলস ও দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
৬। সমন্বিত ত্বকের জন্য কাঁচা দুধ ও আমন্ড তেল
৫-৬ টি কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রেখে থেঁতলে নিন। এর সাথে ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ মিশান। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন মুখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করুন। কাঠবাদাম ভিটামিন ই(Vitamin E) তে সমৃদ্ধ বলে ত্বক এর পুষ্টি সরবরাহ করার পাশাপাশি ত্বককে পুনরুজ্জীবিত হতেও সাহায্য করবে।