প্রত্যেক পুরুষেরই জানতে ইচ্ছা করে তাদের শরীরের কোন কোন অঙ্গগুলোকে নারীরা (male)বেশি পছন্দ করেন। এই বিষয়ে এক গবেষণায় প্রায় ১০০ জন নারীকে (male) প্রশ্নটি করা হয় যে, পুরুষদের কোন কোন অঙ্গগুলো তাদের সবচেয়ে বেশি পছন্দের। আর তাদের উত্তরের আনুপাতিক গড় হিসেবে নিচের ৭টি অঙ্গের কথা উঠে আসে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী-
চওড়া কাঁধ
পুরুষদের চওড়া কাঁধকেই বেশি পছন্দ অধিকাংশ নারীর (male)। বেশিরভাগ নারীর ভাষ্যমতে, যার কাঁধ যত বেশি চওড়া হবে সেই পুরুষ ততো বেশি হট আর সুদর্শন হয়।
আকর্ষণীয় পেশী
তৈরি করা অস্বাভাবিক পেশী অনেক নারীই অপছন্দ করেন। নারীরা (male)বলেন, পুরুষকে তখনই অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখায় যখন নাকি তার পেশীবহুল বাহু টি-শার্টের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে।
চওড়া বক্ষ
জিমে গিয়ে অস্বাভাবিক দেহ তৈরি নয়, বরং যাদের প্রকৃতিগতভাবেই চওড়া বক্ষ রয়েছে তাদেরই পছন্দ করেন নারীরা (male)। সেইসঙ্গে চওড়া বক্ষের অধিকারী এ সব পুরুষের স্তনের গড়নও তাদের বেশ ভালো লাগে।
সুমিষ্ট ঠোঁট
পুরুষের সুমিষ্ট ঠোঁট অনেক বেশি পছন্দের অনেক নারীর কাছে। তবে অধিকাংশ নারীই (male)চিকন ঠোঁটের অধিকারী পুরুষদেরই বেশি পছন্দ করেন।
আকর্ষণীয় হিপ
পুরুষেরও হিপের সৌন্দর্য থাকা উচিত। হিপের স্বাস্থ্য বেশি কমও না আবার বেশি মেদযুক্তও না এমন ধরনের হিপ নারীরা (male)পছন্দ করেন।
স্বাস্থ্যকর হাত
অনেক পুরুষই আছেন যাদের বয়সের তুলনায় হাতের স্বাস্থ্যের গড়ন ঠিকভাবে হয়নি। পুরুষদের এমন বাহু একেবারেই অপছন্দ করেন নারীরা (male)। তারা এমন হাত পছন্দ করেন যেখানে কোনও অতিরিক্ত মেদ থাকবে না। সেইসঙ্গে একেবারে রোগাও হবে না।
মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে কী চিকিৎসা: ডা. কাজী ফয়েজা
যে সময়টাতে একটা মেয়ের মাসিক (period)পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় সে সময়টাকে আমরা বলি মেনোপোজ। বর্তমান সময়ে সাধারণত সারাবিশ্বে গড়ে ৫২ বছর বয়সে নারীদের মেনোপোজ হয়।
একটা মেয়ের বয়স যখন ১২- ১৩ তখন তাঁর মাসিক (period)হয় শুরু হয়। বয়স ৫২ বা তার কাছাকাছি বয়সে গিয়ে মাসিক (period) পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা ( ডাক্তার) যেটাকে বলি, সেটা হলো যদি পুরো এক বছর মাসিকটা বন্ধ থাকে, তখনই আমরা বলি সে মেনোপোজে গেছে। মেনেপোজের আগের সময়টাতে তার কিছু শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো তার একটা হট ফ্ল্যাশ হয়।
হট ফ্ল্যাশ হচ্ছে শরীরের এমন একটা অবস্থা, যখন ওই নারী (female) খেয়াল করে দিনে বা রাতে তার কান দিয়ে হঠাৎ প্রচুর তাপ বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, পুরো মাথা ভেপে আছে। এর পরপরই পুরো শরীর প্রচুর ঘাম দিয়ে ভিজে যাচ্ছে। এটাকে বলা হয় `হট ফ্ল্যাশ`। হট ফ্ল্যাশ খুব ভোগায়, কষ্ট দেয়। এসময় নারীরা রাতে ঘুমাতে পারেন না। তার প্রেসার বেড়ে যায়। বিভিন্ন রকম শারীরিক ঝামেলায় তারা পড়ে।
মেনোপোজের আরেকটা ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এর ফলে তার হাড়ের ক্ষয় বাড়তে থাকে। তখন ওই নারী (female) যদি হাঁটাচলায় পড়ে যায়, তাহলে খুব সহজে তার ফ্যাকচার বা হাড় ভেঙ্গে যায়। এ লক্ষণগুলো মেনোপোজের আগে থেকে শুরু হয়, যখন তার হরমোন কমতে থাকে। কিন্তু মেনোপোজের পরপর বেড়ে যায়।
আরো কিছু শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। যেমন যোনিপথ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে তখন তারা স্বামী কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে শারীরীক মিলন করতে পারে না। করলেও প্রচুর ব্যথা অনুভব করে। একজন নারীর মাসিক (period)চলাবস্থায় তার শরীরে হরমোনের একটা সাপোর্ট থাকে। কিন্তু মেনোপোজ হওয়ার পর তার শরীরে হরমোনের সেই সাপোর্ট যেহেতু থাকে না, তখন তারা খুব ঘন ঘন প্রসাবের ইনফেকশানে ভোগেন।
এমন অবস্থায় নারীরা (female) আমাদের ( ডাক্তার) কাছে আসে। আমরা তাদের কিছু ট্রিটমেন্ট দিই। ট্রিটমেন্টের মধ্যে কিছু নন হরমোনাল ট্রিটমেন্ট আছে। আবার কিছু আছে হরমোনাল ট্রিটমেন্ট। হরমোনাল ট্রিটমেন্টে খুব তাড়াতাড়ি তাদের সমস্যাগুলো সমাধান হয়।
কিন্তু হরমোনাল ট্রিটমেন্ট খুব বেশি দিন কন্টিনিউ করা যায় না। কারণ, এই ট্রিটমেন্টে স্ট্রোক হওয়ার, হাইপার টেনশান বাড়ানোর, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এজন্য আমরা ছ`মাস বা এক বছরের জন্য খুব বম ডোজে এই ওষুধ দিয়ে থাকি। এরপর যখন রোগী তার সমস্যাগুলো নিয়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন আমরা তাকে নন হরমোনাল ওষুধ ব্যবহার করতে বলি।
এর মধ্যে অন্যতম হলো সে খাবার দাবারে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। শাকসব্জি ও পানি বেশি খেতে হবে। রিচ ফুড ( পোলাও, মাংস জাতীয় খাবার) খাওয়া যাবে না। রোজ ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়ামের মধ্যে ইয়োগা, ভারোত্তোলন- এগুলো করা ভালো। তবে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন ব্যায়াম ভুলেও করা যাবেনা।
এ সময় সূর্যস্নান করা ভালো। এর ফলে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম ধারণ করতে পারে। ফলে হাড় শক্ত হবে। আর আমরা তাদেরকে সাপ্লিমেন্টারী ক্যালসিয়াম মুখে দিয়ে থাকি। অন্তত ১৫০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম মুখে খাবে। সঙ্গে যদি ক্যালসিয়াম রিচ খাবার খায় সেটা আনো ভাল। এগুলোর ফলে হাড় ভাল থাকে।
আর যোনিপথের পিচ্ছিলতার জন্য আমরা তাদেরকে কিছু জেলী ব্যবহার করতে বলি। এর ফলে যোনিপথ পিচ্ছিল হয়। ফলে দাম্পত্য জীবন সুখী হয়। আর ইউরিন ইনফেকশানের জন্য আমরা তাদেরকে এন্টিবায়োটিক দিয়ে রাখি। এভাবেই মেনোপোজাল নারীদের (female) আমরা চিকিৎসা দিই।
একটা সময় মানুষের ধারণা ছিল, মেনোপোজ হলো মানেই নারীর (female) সব শেষ। আমাদের দাদী নানীদের সময় এমনটাই মনে করা হতো। তাদের জীবনে আর কোন আনন্দ, প্রাপ্তি, প্রত্যাশা নেই। তখন অনেকে স্বামীর সঙ্গে বিছানাও আলাদা করে ফেলত।
কিন্তু এখনকার লাইফস্টাইল ভিন্ন। এখনকার মেয়েরা তাদের জীবনটাই শুরু করে চল্লিশের দিকে। ফলে ৫২ – তে তারা মেনোপোজে আগের মতো অক্ষম হয়ে যায় না। এখন তারা চায় সাপ্লিমেন্ট।
অর্থাৎ তারা এমন কোন কিছু চায় যা তাদের জীবনটাকে উপভোগ করতে পারে। আমাদের দেশের চাইতে বিদেশে এটা আরো বেশী প্রকট।
বিদেশে মেনোপোজ হলে নারীরা (female) সব করছে। তাদের কোন কিছু থেমে নেই। তারা খুব এ্যাক্টিভ। এজন্যই এই ট্রিটমেন্ট অপশনগুলো এখন এসেছে।
শরীর- স্বাস্থ্যের সব নিয়ম মেনে চলুন। জীবনকে উপভোগ করুন।
লেখক: ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস। কনসালটেন্ট, ইমপালস হাসপাতাল ও সহকারী অধ্যাপক, গাইনী, প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং অ্যাডমিন প্রেগনেন্সি এবং চাইল্ড বার্থ গ্রুপ।
শ্রুতি লেখক: অালী অাদনান।