একজন পুরুষ যেমন সুন্দর কোনো নারীকে দেখলে আকর্ষণ বোধ করে, তেমনি একটি মেয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। সুন্দর ও স্মার্ট পুরুষ দেখলে মেয়েরা তীব্র আকর্ষণ বোধ করে। নারী-পুরুষের (male) এই পারস্পরিক আকর্ষণের ইতিহাস সৃষ্টির শুরু থেকে। কিন্তু একটি মেয়ে একজন পুরুষের শরীরের কোন কোন দিক দিয়ে আকর্ষণ বোধ করে এ নিয়ে বেশ কটি গবেষণা হয়েছে। সম্প্রতি তেমন একটি গবেষণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে একটি বিদেশি গণমাধ্যম। ১০০ জন নারী সাক্ষাৎকারে বলেছেন পুরুষের (male) শরীরের কোন অঙ্গ তাদের আকর্ষণ করে।
চওড়া কাঁধ : অধিকাংশ নারী পুরুষদের (male) চওড়া কাঁধ বেশি পছন্দ করেন। পুরুষকে (male) সাধরনত নারীরা নিজেদের মানষিক অবলম্বন হিসাবেই পেতে চায়। আর চওড়া কাঁধ মহিলাদের মধ্যে সেই ভাবনাকে আরও মজবুত করে এমনটাই মনে করেন মনোবিদরা। তাই অবচেতনে নারীর মন ছোটে পুরুষের চওড়া কাঁধের দিকে।
চওড়া বুক : পুরুষদের আকর্ষণীয় অঙ্গের মধ্যে আরেকটি হল তাদের চওড়া বক্ষ। কিন্তু বুক চওড়া করতে জিমে গিয়ে খুব একটা লাভ হয় না নারীমন পাওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ এই ধরনের পুরুষের (male) দেহ নয় বরং যাদের প্রকৃতিগতভাবেই চওড়া বক্ষ রয়েছে তাদেরই পছন্দ করেন নারীরা। এছাড়া চওড়া বক্ষের অধিকারী এসব পুরুষের স্তনের গড়নও তাদের বেশ ভালো লাগে। তাদের শরীরের ঘামের ফোটা অনেক বেশি আকর্ষণ করে অধিকাংশ নারীকে।
আকর্ষণীয় পেশী : পেশীবহুল পুরুষ সবসময়ই প্রিয় নারীদের কাছে। তবে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা অস্বাভাবিক পেশী অনেক নারীই অপছন্দ করেন। যখন পুরুষের (male) পেশীবহুল বাহু টি-শার্টের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে অনেক নারীর চোখই আটকে যায় সেদিকে।
গোলাপী ঠোঁট : ঠোঁট যে শুধু নারীরই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে তা নয় পুরুষের (male) ঠোঁটও আকর্ষণীয় আর সুমিষ্ট হতে পারে বলে জানিয়ছেন অনেক নারী। তবে বেশিরভাগ নারীই চিকন ঠোঁটের অধিকারী পুরুষদের বেশি পছন্দ করেন। ধূমপান না করা ঠোঁটই মেয়েদের প্রথম পছন্দ।
জিহ্বা : পুরুষদের অঙ্গ নিয়ে নারীদের পছন্দের তালিকায় জিহ্বাও রয়েছে। আবেগঘন চুম্বনে বা শারীরিক মিলনের সময়ে জিহ্বার ভূমিকা অসাধারণ। তাই নারীদের অনেকেই পুরুষের (male) এই জিহ্বাকে বেশ পছন্দ করে থাকেন।
আকর্ষণীয় হিপস : নারীদের হিপের সৌন্দর্যের পাশাপাশি পুরুষের (male) হিপস-এর সৌন্দর্য থাকাও উচিত। হিপস-এর স্বাস্থ্য বেশি মেদযুক্তও না হলেও খুব কম মেদের হিপসও নারীরা পছন্দ করেন না।
স্বাস্থ্যকর যৌনাঙ্গ : স্বাভাবিকভাবেই নারীদের পছন্দের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষদে (male) র অঙ্গ হলো স্বাস্থ্যকর যৌনাঙ্গ। ইঞ্চির হিসেবে এটিকে হতে হবে স্বাস্থ্যকর আর আকর্ষণীয়।
প্রশ্ন: একটা মেয়ের কত বছর বয়সে বিয়ে করা উচিত? বা মেয়েদের বিয়ের বয়স (age) কত হলে ভাল এবং কেন ?
একটা ছেলের থেকে মেয়ের (girl) মানষিক চিন্তাধারা, বাস্তবতার জ্ঞান ইত্যাদি আগে হয় যার কারণে মেয়েদের বিয়ে ছেলেদের আগে হওয়ার কারণ হয়। জানামতে হযরত আয়েশা (রাঃ) এর বিয়ে ৯ বছর, হযরত ফাতিমা (রাঃ) বিয়ে ১৫ বছর বয়সে (age) এবং তাদের তারা সুখী ছিলো। তাই বর্তমান সময় অনযায়ী মেয়ের বিয়ে ১৪-১৫ থেকে ৩০ ভিতর হওয়াই ভালো।
এর ভিতর আবার অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন: ১৪-১৫ বছর বয়সে (age) গর্ভধারণ করতে পারবে কিনা। যা অনেকসময় মেয়েটির (girl) মৃত্যুর কারণ হয়।
তারপর মেয়ে (girl) সংসার ভালো সামলাতে পারবে কিনা। এক্ষেত্রে হয়তো দেখা যায় অনেক স্বামী তার ১৪-১৮ বছরের অল্প বয়সের (age) স্ত্রীর কাছে ২১ থেকে বেশি বয়সের স্ত্রীর মতো আচরণ, কাজকর্ম ইত্যাদি আশা করে। যা সমস্যা কারণ হয়।
আবার অনেকের এসব বিষয়ের ক্ষমতা ১৪-১৫ বছর বয়সে (age) অর্জন করে যার কারণে তারা সুখী হয়।
এরপরের বিষয় মেয়ের (girl) পড়ালেখা । অনেক মেয়ের পড়ালেখা অনেক ভালো। সে ভালো ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার বা ভালো কিছু হয়ে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে চায়। এক্ষেত্রে তার পড়ালেখা নষ্ট করে বিয়ে না দেওয়াই ভালো। আবার, বিয়ে দেওয়াও যায়। অনেক স্বামী এবং তার ফ্যামিলি বিয়ের পরও পড়ালেখা করতে দেয় যারা স্ত্রীর পড়ালেখা অনেক গুরুত্ব দেয় এক্ষেত্রে যথেষ্ট যত্ন নেয় এবং তারা অনেক সচেতন। তাই এই বিষয় মাথায় রেখে বিয়ের বিবেচনা করতে হবে।
এরপর আসে মেয়েটির (girl) মন মানষিকতার উপর। সে এখন বিয়ে করতে রাজি কিনা? এক্ষেত্রে চাপ প্রয়োগ না করাই ভালো। চাপ প্রয়োগ করতে হবে তখন যখন মেয়েটি ইচ্ছে করে সময় নষ্ট করে। কোনো বাজে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বাজে কাজ করে ইত্যাদি। তাই মেয়ের মানষিকতা দেখতে হবে। তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া যাবে না। তার পছন্দ ও মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে।
তারপর আসে মেয়েটি (girl) সৌন্দর্য, রূপ-লাবণ্যতা। যা একটা নির্দিষ্ট বয়স (age) পর নষ্ট বা শেষ হওয়া শুরূ হয় । তাছাড়া একটি ছেলের জন্য মেয়ের সৌন্দর্য রূপ লাবন্যের গুরুত্ব অনেক। কারণ একজন ভাগ্যবান ছেলে সুন্দরী স্ত্রী থাকে। যদিও অনেকে বলে তাহলেতো শুধু মেয়েটির (girl) রূপ দেখেই বিয়ে করা হলো, তার মন দেখে না। কারণ, রূপ বেশি দিন থাকে না, মন থাকে সারাজীবন। আমি বলি যতদিন রূপ থাকে ততদিনই এর গুরুত্ব থাতে কারণ একটা বয়স (age) পর্যন্ত রূপের চাহিদা থাকে এরপর আর থাকে না বলে এই সময় রূপ ও থাকে না। যা আল্লাহ মানুষকে ঐ সিস্টেমে ঐ নিয়মে মানুষের সুবিধা অনুযায়ী করেছে। তবে সবক্ষেত্রে এমন হবে কথা নেই কারণ কালো মেয়েও (girl) থাকে। আবার কালো মেয়ের আলাদা রূপ মায়া সৌন্দর্য থাকে। আর মেয়েদের এই রূপ স্বামীদের জন্য উপহারও বলা চলে। তাই মেয়েদের রূপ লাবন্যের দিক খেয়াল রাখতে হবে। নয়তো ছেলেরা আর বিয়ে করতে চাইবে না যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হয়। আবার অনেক ছেলে আছে রূপকে প্রাধান্য দেয় না, তারা মনকে প্রাধান্য দেয় তবে তাদের সংখ্যা কম। তাই স্বাভাবিক ভাবে এসব কথা মনে রাকতে হবে।
এরপর আসে গর্ভধারনের বিষয় । অনেকে দেরিতে বিয়ে করে বা আশা করে । যা তাদের পরবর্তীতে গর্ভধারনে সমস্যা করে । কারণ এ সময় দেখা যায় হয়তো সে মা হবার ক্ষমতা হারায় বা সহজে মা হতে পারে না। ঐ সময় বুঝে মা হতে না পারা কত কষ্টের বা স্বামীকে বাবা না হতে দেবার পারা অনেক ঝামেলার ।যা সংসারে অনেক ঝামেলার সৃষ্টি করে আর অনেক ক্ষেত্রে তা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়।
এছাড়াও আরো অনেক বিষয় মাথায় রেখে সুবিধামতো বয়সে (age) মেয়েদের (girl) বিয়ে করা উচিত।
বি:দ্র: আমার মতামত নাও ভালো লাগতে পারে।