ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় ত্বক (skin) পাওয়া সম্ভব। প্রতিটা মানুষ জন্মগ্রহণের সময় সুন্দর ত্বক (skin) নিয়েই পৃথিবীতে আসে। ত্বকের (skin) সৌন্দর্য ধরে রাখার দায়িত্ব শিশুর অভিভাবকের এবং ব্যক্তির নিজের। বিভিন্নভাবে আপনি আপনার ত্বকের (skin) ক্ষতি করছেন। কিন্তু ভয় পাবেন না, কারণ কিছু প্রাকৃতিক(Natural) উপাদানের সাহায্যে আপনি আপনার ত্বকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন। চলুন তাহলে সেই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
১। কলার খোসা
কলা খাওয়ার পরে খোসাটা ফেলে দেয়াই আমাদের সবার অভ্যাস কারণ ত্বকের (skin) উপর কলার খোসার জাদুকরি প্রভাবের কথা অনেকেই জানেন না। এখন থেকে কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এর ভেতরের সাদা অংশটুকু মুখে ও ঘাড়ে ভালো করে ঘসে ঘসে লাগান। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে উষ্ণ গরম পানি(Hot water) দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক (skin) উজ্জ্বল হবে। ভালো ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে কয়েকবার এটি ব্যবহার করুন।
২। মধু ও লেবু
মধু ও লেবুর সমন্বয়ে তৈরি ফেস প্যাক ত্বক (skin) ফর্সা করতে পারে। সমপরিমাণ মধু ও লেবুর রস(Lemon juice) নিয়ে ভালোভাবে মেশান। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার ত্বক (skin) শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে মধু ও শশার রস(Rabbit juice) ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও মধুর সাথে সমপরিমাণ দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারে। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তাহলে লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পরে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩। টমাটো
প্রতিমাসে একবার স্পেনের লা টোমাটিনা ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে পারলে ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক (skin) পাওয়া সহজ হত। টমাটোতে ত্বকের (skin) বর্ণ হালকা করার উপাদান আছে। এটি ত্বকের তেল শোষণ করে এবং ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রের নিরাময় করে। আপনার ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ টমাটো(tomato) থেঁতলে নিয়ে মুখে ও শরীরের অন্যান্য স্থানে লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। tomato আপনার ত্বকে গোলাপি আভা এনে দেবে।
৪। চন্দন
প্রাচীন কাল থেকেই ত্বক (skin) ফর্সা করতে ব্যবহার হয়ে আসছে চন্দনের গুঁড়া যাকে কেউ হারাতে পারেনি। চন্দন ও হলুদ গুঁড়া(Yellow powder) মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এর সাথে কাঠ বাদামের তেল মিশাতে পারেন। তারপর মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান। কিছুক্ষণ পরে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটির ব্যবহারে আপনার ত্বকের বর্ণ হালকা হবে এবং আপনার মুখের দ্যুতি ছড়াবে।
সব কিছুর শেষ কথা হচ্ছে ক্লিঞ্জিং(Cleansing), টোনিং ও ময়শ্চারাইজিং এই ৩ টির সমন্বয় ছাড়া ত্বক (skin) ভালো রাখা সম্ভব নয়। CTM রুটিন ঠিকভাবে অনুসরণ করলেই আপনি আপনার ত্বককে (skin) খুব বেশি তামাটে হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারবেন। ত্বকের (skin) উজ্জ্বলতা অটুট রাখার জন্য ঘরের বাহিরে যাওয়ার পূর্বে ভালমানের সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না যেনো।