প্রাকৃতিক উপাদান অথবা নিয়ম ব্যবহার করে দ্রুত ত্বক(Skin) ফর্সা করার অনেক পদ্ধতি প্রচলিত আছে আমাদের সমাজে। ত্বক ফর্সা করার ঔষধ হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার জন্য অনেকেই নানারকম ক্রিম বাজার থেকে কিনে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারের বেশিরভাগ ক্রিমেই চড়া রাসায়নিক(Chemicals) পদার্থ থাকায় ত্বক ফর্সা হওয়া দুরের কথা বরং বেশিরভাগ ফলাফলই হয় তার উল্টো। তাই আজ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে জেনে নিন, যেগুলো ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে-
১। জাফরানঃ মোঘল আমল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে জাফরান(Saffron)। কিছুটা দামী হলেও ত্বকের জন্য এটি অমূল্য। দুধের সাথে জাফরন মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। প্রতিদিন সকালে রোদে পড়া দাগের ওপর এটি লাগান। এটি রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। গোলাপ জলের সাথে কিছু জাফরান মিশিয়ে নিন। এরপর তুলার লাগিয়ে সেটি লাগিয়ে মুখে লাগান। প্রতিদিন ব্যবহারে এটি আপনার ত্বকের রং(Skin color) উজ্জ্বল করবে।
২। নিমঃ নিম রূপচর্চা আদি উপাদান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য এবং অনেক বেশি কার্যকরী। কয়েকটি নিম পাতা(neem leaf) সিদ্ধ করে নিন। এরপর তুলো ভিজিয়ে সারা মুখে কিছুক্ষণ ঘষুন। এটি আপনার মুখের ব্রণ হওয়া প্রবণতা কমিয়ে দিবে। এছাড়া এটি ত্বক জীবাণু মুক্ত করে থাকে।
৩। হলুদঃ রূপচর্চায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে আসছে তা হল হলুদ। বেসন(Beans), টক দইয়ের সাথে হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর এটি শরীরের ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্কের ওপর লাগান। নিয়মিত করলে এই দাগ দূর হয়ে যাবে। এছাড়া চালের গুঁড়া, কাঁচা দুধ, টমেটোর রস(Tomato juice), হলুদ মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করে থাকে।
৪। লেবুঃ এটি শুধু শরবত খাওয়ার জন্যেই নয়। এটা গোটা দেহের যত্নের জন্য কার্যকর উপকরণ। এর রসের সিট্রাস ত্বককে ফ্রেশ করে। তা ছাড়া ত্বকের যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে লেবুর রস(Lemon juice) এবং ক্লান্তিভাব দূর করে সজীবতা আনে ত্বকে।
৫। উইচ হ্যাজেলঃ এটি ব্যবহারে ত্বকে অদ্ভুত মসৃণতা অনুভব করবেন আপনি। হেমামেলিডাসিয়াস গোত্রের উদ্ভিদের এই ফুল ত্বকের টোনার, ক্লিনজার(Clinger) এবং ক্রিম হিসেবে কাজ করবে। তাই ত্বক পরিষ্কারের মতো নিয়মিত কাজে এটি ব্যবহার করতে পারেন।