বড় সুখবর পেলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

অবসরে যাওয়ার আগে ছুটি পাওনা সাপেক্ষে শিক্ষকেরা (teachers) এক বছর অবসরোত্তর ছুটি ভোগ করেন। কিন্তু দাপ্তরিক বিভিন্ন নিয়মনীতি এবং কিছু মানুষের অসততা ও অনৈতিক আচরণের কারণে শিক্ষকদের হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ ছিল।

এমনকি সারা জীবন শিক্ষকতা করে অবসরে গিয়ে নিজের প্রাপ্ত অর্থ থেকে দালালদের ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে ফাইল ছাড়াতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করতে অধিকাংশ শিক্ষক। পেনশনের টাকা পেতে তাদের অনেক বিলম্ব হতো। দীর্ঘ চাকরিজীবনের শেষে এসে মনঃকষ্টে ভুগতেন শিক্ষকেরা (teachers) ।

কয়েকদিন আগেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছিলেন,অবসরে যাবার ২ মাসের মধ্যে যেন শিক্ষকরা (teachers) পেনশনের টাকা পেয়ে যায় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

আরো পড়ুন  ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ৫ ব্যাংক কর্মকর্তা ক্যাশের আসন বিন্যাস দেখুন

অবশেষে তার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে। অবসর নেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই পেনশন পাবেন প্রাথমিক শিক্ষকরা(teachers) ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন সুবিধা সহজীকরণ ও দ্রুত প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এ লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কেউ অবসরে যাওয়ার দুই মাস আগেই সব ডকুমেন্ট প্রস্তুত হয়ে যাবে। এরপর পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পেনশন সুবিধা প্রদান করা হবে বলে ।

শিক্ষকরা (teachers) জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে অবসর সুবিধার ফাইল পাস করা হয়ে থাকে।

কিন্তু এসব অফিসের হিসাব রক্ষকসহ তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ঘুষ না পেলে ফাইল আটকে রাখেন। কতিপয় শিক্ষক(teachers) এসব কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাযোগে অবসর সুবিধা দ্রুত পাইয়ে দিতে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করে উভয়ে ভাগবাটোয়ারা করে নেন।

আরো পড়ুন  ভালো সিভি লেখার নিয়ম-কানুনগুলো জেনে নিন

নানামুখি এসব অভিযোগ আমলে নিয় শিক্ষকদের দ্রুত পেনশন (pension) সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে পাই একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।

সেখানে শিক্ষকদের সব তথ্য-উপাত্ত থাকবে। পেনশন তুলতে আর কোনো ভোগান্তি বা কারও দ্বারে ঘুরতে হবে না, অথবা কাউকে আর উৎকোচ দিতে হবে না।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুন কান্তি শিকদার বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন কার্যক্রম সহজীকরণ করতে আমরা কাজ শুরু করেছি।

সফটওয়্যারের মাধ্যমে শুধু শিক্ষকদের(teachers) নয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় চারটি দফতর ও একটি অধিদফতরের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ সুবিধার আওতায় আনা হবে। পাইলটিং হিসেবে প্রথম পর্যায়ে এ সফটওয়্যারের আওতায় ঢাকা মহানগরের কয়েকটি বিদ্যালয়কে আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.