রূপচর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার ব্যবহার হয়ে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। সুন্দর ও মসৃণ ত্বক (skin) পেতে তুমিও ব্যবহার করতে পার এই প্রাচীন টোটকা। শীত হোক বা গ্রীষ্ম ত্বকে (skin) অ্যালোভেরা জেলের প্রয়োগের কোনও জুড়ি নেই। তুমি যদি তোমার শুষ্ক ত্বককে (skin) আরও সুন্দর করে তুলতে চাও, ফিরিয়ে আনতে চাও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য, তা হলে অবশ্যই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে নাও অ্যালোভেরা ফেস মাস্ক। এখানে রইল সেইরকমই কয়েকটি ফেস মাস্কের কথা
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে মধু, হলুদ, অ্যালোভেরা জেলের মাস্ক
সামান্য হলুদের গুঁড়ো ও ১ চা চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নাও। মিশ্রণটির সাথে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে পেস্ট করে নাও। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে অল্প উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেল। সপ্তাহে ১-২ বার এই মাস্ক ব্যাবহারে তুমি ফিরে পেতে পার ত্বকের (skin) ঔজ্জ্বল্য।
তৈলাক্ত ত্বকের (skin) জন্য মধু, লেবু, মুলতানি মাটি ও অ্যালোভেরা জেলের ফেস মাস্ক
মুলতানি মাটির সাথে মধু, লেবুর রস ও এলোভেরা জেল নিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নাও। মুখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলো। সপ্তাহে একবার মাস্কটি ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত সমস্যা দূর হবে।
ত্বকের নানা দাগ দূর করতে লেবু ও অ্যালোভেরা জেলের মাস্ক
অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে একটি লেবুর সম্পূর্ণ রস বের করে মিশিয়ে নাও। মিশ্রণটি ফ্রিজে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত ভাল থাকবে। মুখের ত্বকে (skin) নানা দাগ দূর করতে প্রতিদিন লাগিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলো।
সব ধরনের ত্বকের (skin) জন্য শসার পেস্ট, টক দই, মধু ও অ্যালোভেরা জেলের ফেস মাস্ক
তাজা শসার পেস্ট করে তার সঙ্গে তাজা অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে নাও। টক দই ও মধু ও মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার মুখে মাস্কটি লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক ব্যবহার করলে দূর হবে ত্বকের (skin) পোড়া ভাব।
ত্বকের স্যানট্যান দূর করতে মুসুর ডালের গুড়ো, কাঁচা টম্যাটো ও অ্যালোভেরা জেলের ফেস মাস্ক
একটি কাঁচা টম্যাটোর মাঝখান থেকে শাঁসটুকু নাও। মুসুর ডালের পাউডার বা পেস্টের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল ও টম্যাটোর শাঁস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নাও। মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলো। যাদের ত্বক (skin) শুষ্ক, তারা মাস্কটি ধুয়ে ফেলার পর ভেজা ত্বকেই কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল ও দুধের মিশ্রণ লাগিয়ে নাও। এতে শুষ্ক ত্বক (skin) ময়শ্চারাইজ়ড থাকবে।