লেবু ও হলুদ দিয়ে মাত্র তিন মিনিটে ফর্সা ত্বক পাওয়ার উপায়

হলুদ (turmeric) ও ময়দা: যে কোনো ত্বকের (skin) জন্য প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করতে হলুদ ও ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি ত্বকের জন্য বেশ সংবেদনশীল ও উপকারি। এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল কমায়।

হলুদ (turmeric) ও ময়দার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক (skin) পেতে চক্রাকারভাবে এটি ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

হলুদ (turmeric) ও লেবুর রস: লেবুর রসে আছে ব্লিচিং উপাদান এবং হলুদে (turmeric) আছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান।

ত্বক উজ্জ্বল করতে হলুদের (turmeric) গুঁড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের (skin) উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

হলুদ ও দুধ: হলুদ ও দুধের মিশ্রণ ত্বকের (skin) ক্ষতি করে এমন উপাদানের বিরুদ্ধে কাজ করে ত্বককে সুস্থ রাখে।

কাঁচাদুধের সঙ্গে হলুদের (turmeric) গুঁড়া মিশিয়ে মুখ ও গলায় লাগাতে হবে। শুকিয়ে আসলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

হলুদ ও মধু: ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা রক্ষা করে উজ্জ্বল ত্বক ফুটিয়ে তুলতে হলুদ(turmeric) ও মধুর মিশ্রণ সাহায্য করে।

মধুতে আছে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক আর্দ্র রাখার ক্ষমতা যা ত্বক (skin) উজ্জ্বল করে। মধু ও হলুদের (turmeric) তৈরি প্যাক ত্বক স্বাভাবিকভাবে চকচকে ও সুন্দর করে তোলে।

হলুদ ও নারিকেল তেল: হলুদ (turmeric) ও নারিকেল তেলে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তাছাড়া নারিকেলের তেল খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

খাঁটি নারিকেল তেলের সঙ্গে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লালচেভাব, সংক্রমণ ও শুষ্কতা কমাতে ব্যবহার করা যায়। ত্বক (skin) পরিষ্কার করে মুছতে পাতলা ভেজা কাপড় ব্যবহার করলে ত্বককে বেশ প্রাণবন্ত মনে হবে।

আরো পড়ুন  নিখুঁত ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক

হলুদ ও পানি: ত্বকের (skin) অবাঞ্ছিত লোমের বৃদ্ধি কমাতে প্রতিদিন হলুদ ও পানির মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

যে স্থানে অবাঞ্চিত লোমের বৃদ্ধি কমাতে চান সেখানে হলুদ (turmeric) ও পানির মিশ্রণ তৈরি করে একটি অসমতল ও পরিষ্কার বস্তুর সাহায্যে ঘষতে হবে। শুকিয়ে এলে তা পরিষ্কার পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে। পার্থক্য দেখতে যতবার সম্ভব এটি করতে পারেন।

হলুদ ও জলপাইয়ের তেল: হলুদে (turmeric) আছে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক (skin) তরুণ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা করে।

হলুদ (turmeric) ও জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে তা মুখ ও গলায় লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে হালকা মালিশ করুন। এতে নতুন কোষ বৃদ্ধি পাবে। পানি দিয়ে ধুয়ে নমনীয় ত্বক অনুভব করতে পারবেন।

হলুদের সঙ্গে লেবুর রস ও মধু: এই মিশ্রণ ত্বক ব্রণ মুক্ত রাখতে ও ত্বকের (skin) নির্জীবতা দূর করতে সাহায্য করে।

হলুদের(turmeric) সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে মুখ এবং গলায় ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে (skin) উজ্জ্বল ভাব বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রণও দূর হবে।

প্রশ্ন :চোখের পাশের বলিরেখা মোছার কোনো উপায় আছে কি?

উত্তর :১ টেবিল চামচ মধু হালকা গরম করে নিন। এই গরম মধুর (honey) সঙ্গে একটা ডিমের কুসুম ভালো করে মেশান। সঙ্গে যোগ করুন মিহি করে গুঁড়া করা ওটস ১ টেবিল চামচ। মিশ্রণ বেশি ঘন হয়ে গেলে কাঁচা দুধ যোগ করুন। এবার মিশ্রণ চোখের আশপাশে মেখে রাখুন ঠিক ১০ মিনিট। একটুও বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর প্রথমে উষ্ণ পানি ও পরে সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মাত্র এক মাস অবলম্বন করে দেখুন এই পদ্ধতিগুলো সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করে।

প্রশ্ন :আমার চুল কালার করার পর অনেক রাফ হয়ে গেছে। উজ্জ্বলতা একেবারেই নেই। আমি এখন কী করতে পারি?

উত্তর ; আপনাকে ভিটামিন কালার লক ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। এতে আপনার কালার ফেড হবে না এবং চুল থাকবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।

প্রশ্ন :আমার বয়স এত বেশি না, কিন্তু কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি আমার স্কিনে রিঙ্কেলের মতো। আমি কী করতে পারি?

উত্তর :সাধারণত আমরা ধরেই নিই বয়স হলেই রিঙ্কেল পড়বে; কিন্তু স্কিনের সমস্যার কারণেও রিঙ্কেল পড়ে। তাই আপনাকে অ্যান্টি এজিং ফেসিয়াল নিতে হবে। তাতে আপনার স্কিন রিঙ্কেল পড়া থেকে প্রটেক্ট করবে।

প্রশ্ন :গরমকালে শুষ্ক ত্বকের (skin) যত্ন কীভাবে নেব?

উত্তর :প্রতিদিনের ব্যবহারে ক্লিঞ্জিং ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক (skin) পরিষ্কার করে নিন। গাজর, কলা, সামান্য পরিমাণ মসুর ডাল। টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন।

প্রশ্ন :কনুইয়ের অংশে অনেক সময় কালো ছোপ পড়ে যায়। এই কালো ছোপ দূর করার কোনো উপায় আছে কি?

উত্তর :মধু ও লেবুর রসলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো করে ঘষুন। তারপর দুধ, মধু, (honey) লেবুর রস,লেবুর রস মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে একটু ঘন পেস্টের মতো করে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিনের ব্যবহারে সুফল পাবেন এবং কালো ছোপ কমে যাবে।

প্রশ্ন :বল্গ্যাক হেডস দূর করতে কী করতে পারি?

উত্তর :পোলাও চাল ও মুগডাল আধা ভাঙা করে তার সঙ্গে মধু (honey) মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর যেসব জায়গায় বল্গ্যাক হেডস বেশি সেখানে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন। এ ছাড়া ডিমের সাদা অংশ ও বেকিং সোডার মিশ্রণ মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে টিস্যু পেপার দিয়ে চাপ দিলে বল্গ্যাক হেডস সহজে উঠে আসবে।

আরো পড়ুন  রোজ ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন এই ৪টি ফেসপ্যাক

প্রশ্ন :মুখের ব্রণের কালো দাগ দূর করতে কী করব?

উত্তর :কাঁচা ব্রণে সমপরিমাণ লবঙ্গ, তুলসীপাতা, নিমপাতা, পুদিনা পাতা একসঙ্গে পেস্ট করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে সেখানে দাগ হবে না। ব্রণ শুকিয়ে যাওয়ার পর মুখে চিনি আর দারুচিনি বাটা একসঙ্গে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। লবঙ্গ বা দারুচিনি ত্বকে (skin) লাগানোর পর একটু জ্বালা করবে। এতে কোনো ক্ষতি নেই।

প্রশ্ন :চোখের কালি (eye spot) দূর করার কোনো উপায় আছে কি?

উত্তর :শসা বা আলু ছেঁচে চোখের ওপর ২০ মিনিট রেখে দিন। এ ছাড়াও বাবহৃত টি-ব্যাগ কিছুক্ষণ চোখের ওপর রেখে দিলেও কাজে দেবে। পেস্তাবাদাম বাটার সঙ্গে অল্প মধু (honey) লাগিয়ে ব্যবহার করলেও চোখের কালি(eye spot) দূর হয়।

প্রশ্ন :ত্বককে (skin) কোমল ও মসৃণ করে তোলার জন্য কী ব্যবহার করতে পারি?

উত্তর :এক টেবিল চামচ মিহিদানার চিনি, এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া, এক চা চামচ কাঠবাদামের গুঁড়া পরিমাণমতো গ্রিন টি ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার মিশ্রণটি মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। মরা কোষ সহজে দূর হয়ে যাবে। ত্বক (skin) হয়ে উঠবে কোমল ও মসৃণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.