দুটি হেয়ার প্যাকে যা ব্যবহারে চুল রাতারাতি লম্বা ও ঘন হবে

দূষিত পরিবেশ, স্ট্রেসে ভরা জীবন, পুষ্টির অভাব সব মিলিয়ে সৌন্দর্যহানি আজকাল বেশিরভাগ নারীর সমস্যা। চুল (hair) দ্রুত লম্বা করতে চান খুব দ্রুত? তাহলে বেছে নিন ফলের গুণাগুণ। শিখে নিন কলা ও কমলা দিয়ে খুব সহজ দুটি হেয়ার প্যাক (hair pack) তৈরির কৌশল, নিয়মিত ব্যবহারে যা আপনার চুলকে করে তুলবে দীঘল ও কালো।

চুল যেন বাড়তেই চায় না, আজকাল এই অভিযোগ অনেকেরই! দূষিত পরিবেশ, স্ট্রেসে ভরা জীবন, পুষ্টির অভাব সব মিলিয়ে সৌন্দর্যহানি আজকাল বেশিরভাগ নারীর সমস্যা। চুল (hair) দ্রুত লম্বা করতে চান খুব দ্রুত? তাহলে বেছে নিন ফলের গুণাগুণ। শিখে নিন কলা ও কমলা দিয়ে খুব সহজ দুটি হেয়ার প্যাক (hair pack) তৈরির কৌশল, নিয়মিত ব্যবহারে যা আপনার চুলকে (hair) করে তুলবে দীঘল ও কালো।

চুলের জন্য উপকারী কলা
কলা কেবল চুলকে (hair) লম্বাই করবে না, একই সাথে করে তুলবে নরম ও মোলায়েম। সপ্তাহে অন্তত দুদিন কলার হেয়ার প্যাক (hair pack) ব্যবহার করুন। যা যা লাগবে-

২টি চটকে নেয়া কলা, ১টি ডিমের কুসুম, ১ চা চামচ পাতি লেবুর রস যেভাবে ব্যবহার করবেন-

-তিনটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।

-এই প্যাক ভালো করে মাথার ত্বকে ও চুলে (hair) মাখুন।

-একটি প্লাস্টিক দিয়ে মাথা মুড়ে ফেলুন। তাঁর ওপরে একটি তোয়ালে পেঁচিয়ে দিন।

-এভাবে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কমলাও লম্বা করবে চুল!

কলার মত কমলার রসও চুল লম্বা করার প্যাক হিসাবে দারুণ উপকারী। কলা বা কমলার প্যাক থেকে যে কোন একটি বেছে নিন, ব্যবহারের করুন সপ্তাহে দুদিন। চাইলে সপ্তাহে একদিন কলা ও একদিন কমলা ব্যবহার করতে পারেন। যা যা লাগবে- কমলার রস ১ কাপ টক দই ১ কাপ যেভাবে ব্যবহার করবেন-

-উপাদান দুটি ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।

-এই প্যাক ভালো করে মাথার ত্বকে ও চুলে(hair) মাখুন।

-একটি প্লাস্টিক দিয়ে মাথা মুড়ে ফেলুন। তাঁর ওপরে একটি তোয়ালে পেঁচিয়ে দিন।

-এভাবে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কম বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের যে ক্ষতি হয় (লজ্জা নয় জানতে হবে)
অল্প বয়সে ব্রা পড়লে – ব্রা বা বক্ষবন্ধনী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের সঠিক মাপ (shape) জেনে নিন। ভুল মাপের (shape) ব্রা পরিধানে সারাদিন অস্বস্থি অনুভূত হতে পারে। তাই ব্রা কেনা এবং ব্যবহারের ব্যবহারের ব্যপারে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। সুন্দর, উঁচু ও ভরাট বক্ষের অধিকারী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রায় সব নারীই। নইলে যেন নারীত্বে কোথাও খামতি রয়ে যায়। যদিও এর পক্ষে বিপক্ষে তর্ক চলবেই।

বিশ্বের কোটি কোটি নারী তাদের শরীরকে আরো আকর্ষণীয় দেখাতে যে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করেন তার পেটেন্ট নথিভুক্ত করা হয় আজ থেকে ১০০ বছর আগে। ১৯১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। ব্রা এর উদ্ভাবক হলেন মেরি ফেল্পস জ্যাকব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রা এর চেহারা, সাইজ, রং, ডিজাইন অনেক কিছুই বদলে গেছে। একঝলকে জেনে নিন বক্ষের যত্ন নিতে ঠিক কেমন ব্রা (bra) ব্যবহার করা উচিৎ।

অল্প বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের স্তনে যে ক্ষতি হয় (লজ্জা নয় জানতে হবে)

কত বছর বয়স থেকে মেয়েদের ব্রা (bra) পরা উচিত

মোটামুটি ভাবে মেয়েদের বয়ঃসন্ধি এগারো বা বারো বছর বয়স থেকেই শুরু হয়। তার খানিক আগে থেকেই তাদের শরীরের বৃদ্ধি হতে শুরু করে। স্তন সুগঠিত হতে শুরু করে। স্তন গঠিত হতে শুরু করেছে কিনা তা আপনি বুঝতে পারবেন যখন বক্ষদেশ আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করবে। স্তনবৃন্ত সুগঠিত হতে শুরু করবে।

আরো পড়ুন  মাত্র ১ রাতে পেয়ে যান ঝলমলে সিল্কি চুল! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি

এই সময়ে বুকের ওই অংশে বেশ ব্যথা অনুভূত হয়। এই সময়ে মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবেই রাস্তায় বেরোলে আচমকাই বেশী লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে যা তাদের নিজেদের কাছেও অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। স্তন সম্পর্কে মেয়েরা এইসময় থেকেই সচেতন হতে শুরু করে।

এরকম অবস্থায় তাদের বক্ষবন্ধনী কিনে দেওয়া উচিত। তবে সব মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি এক রকম হয় না। হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মেয়েকে এগারো বছর বয়স থেকেই বক্ষবন্ধনী পরতে হয়, তার শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধির কারণেই। আবার হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মেয়ে প্রথম বক্ষবন্ধনী পরতে শুরু করে প্রায় চোদ্দ বছর বয়সে এসে। শারীরিক গঠন প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। তাই যার যখন প্রয়োজন তার তখনই বক্ষবন্ধনী পরা উচিত। বন্ধুরা পড়ছে অথচ আমি পড়ছি না এই নিয়ে অযথা চিন্তা না করাই ভালো।

অল্প বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের স্তনে যে ক্ষতি হয় (লজ্জা নয় জানতে হবে)

ব্রা এর মাপ নির্ধারণ করবেণ যেভাবে

ব্রা নারীদের বহুল ব্যবহৃত অন্তর্বাস। কিন্তু বক্ষবন্ধনী এর মাপ (shape) নির্ধারণে অনেকেই ভুল করে থাকেন। যেহেতু ভুল মাপের বক্ষবন্ধনী নারীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে তাই বক্ষবন্ধনীর সঠিক মাপ (shape) নির্ধারণে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। জেনে নিন কীভাবে ব্রা এর সঠিক মাপটি নির্ধারণ করবেন।

ব্যাণ্ডের সাইজের মাপ (shape) নির্ধারণ – নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন, ফুসফুস থেকে সমস্ত বাতাস বের করে দিন। এবার মেঝের সাথে সমান্তরাল করে বুকের চারদিকে ফিতা দিয়ে বক্ষোদেশের নিচে অর্থাৎ যেখানে ব্রা (bra) শেষ হয়ে গেছে, সেখানে মেপে নিন। দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধরবেন। যেমন, ২৮.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ২৮ ইঞ্চি ধরবেন। ২৮.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ২৯ ধরবেন। সংখ্যাটা জোড় হলে, তার সাথে ৪ যোগ করবেন। সংখ্যাটা বিজোড় হলে, তার সাথে ৫ যোগ করবেন।

কাপের সাইজের মাপ (shape) নির্ধারণ – সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে, হাত দুদিকে ছেড়ে দিয়ে, ব্রার (bra) উপরে যেখানে সর্বোচ্চ উঁচু, সেখানের মাপ নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে মাপার সময় ফিটা মেঝের সমান্তরাল থাকে, কোথাও উঁচু-নিচু যেন না হয়। দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধরবেন। যেমন, ৩৪.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ৩৪ ইঞ্চি ধরবেন। ৩৪.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ৩৫ ধরবেন।

ব্রার সাইজের মাপ (shape) নির্ধারণ – কাপের সাইজের মাপ থেকে ব্যাণ্ডের সাইজের মাপ (shape) বিয়োগ দিন। এই সংখ্যাটা দিয়েই পেয়ে যাবেন কাপের সাইজ। এছাড়া বক্ষবন্ধনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্য কারও সহযোগিতা নিতে পারেন। বেশী টাইট বক্ষবন্ধনী আপনার স্তনের (breast) জন্য ক্ষতিকর।

ব্রা (bra) কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

বক্ষকে বেঁধে রাখতে বাজারে অনেক রকমের বক্ষবন্ধনী পাওয়া যায়৷ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো শুধু মিষ্টি রং, সুন্দর ডিজাইন আর কম দাম দেখে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য সেটা কতটা উপযোগী অর্থাৎ কাপড়ের মানও দেখা প্রয়োজন। তাছাড়া কিছু বক্ষবন্ধনীতে স্তনের (breast) আকার আরও সুন্দর করতে ব্রা’র কিনারায় গোল করে স্টিল বা ধাতব পাত লাগানো হয়। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কী না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বক্ষবন্ধনী কেনার সময় দেখে নিন সেই হুক লাগানোর অনেকগুলো ঘর আছে কিনা।

যে বক্ষবন্ধনী গুলিতে হুক লাগানোর জন্য একাধিক ঘর আছে সেগুলো কেনাই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের স্তনযুগল (breast) অনেক বড়, তারা এক-দুই সাইজ ছোট বা খুব আঁটসাঁট বক্ষবন্ধনী পরেন, যা একদমই ঠিক নয়। কারণ এটা দেখতে যেমন ভালো লাগে না, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর৷ তাছাড়া বেশি আঁটসাঁট বক্ষবন্ধনী পরলে শ্বাসকষ্টও হয় অনেকের। তাই বেশি বড় বা বেশি ছোট কোনটাই ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বেশি টাইট বক্ষবন্ধনী কে স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াল ক্যান্সার হতে নিজেকে দূরে রাখার জন্য সঠিক মাপের (shape) বক্ষবন্ধনী পরিধান জরুরি। তাই আন্দাজে বক্ষবন্ধনী কিনতে যাবেন না।

একসঙ্গে একাধিক বক্ষবন্ধনী কিনুন। ব্রা (bra) ভালো রাখতে হলে এবং সঠিক মাপে (shape) রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হলে একই বক্ষবন্ধনী সপ্তাহে দু’দিনের বেশি পরবেন না। সম্ভব হলে একদিনই পরুন। ইলাস্টিককে কয়েকদিন বিশ্রাম দিলে এর ইলাস্টিসিটি আবার আগের মত হয়ে যায় কিছুটা। তাই বক্ষবন্ধনী কেনার সময় এক সঙ্গে একাধিক কিনুন, যেন বদলে বদলে পরা যায়।

ব্রা সাধারণত কত ধরণের হয়

শুধু সুন্দর পোশাক পরলেই হবে না, অন্তর্বাসও সুন্দর হতে হবে, আরামের হতে হবে। দামি ফেব্রিকের, সুন্দর ডিজাইনের ব্রা পরলে একটা অন্য রকম তৃপ্তি আসে শরীর-মনে। আর এটাই সারাদিনের জন্য মেয়েদের মুড তৈরি করে দেয়। শুধুমাত্র বাইরে বেরলেই যে সুন্দর অন্তর্বাস পরবেন, তা নয়। শারীরিক জীবন অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে নানা ধরনের বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা বক্ষবন্ধনী। তাহলে দেখে নিন

টি-শার্ট ব্রা – এই ধরনের ব্রা হল বেসিক ব্রা, (bra) যা পরা যায় যে কোনও জামা-কাপড়ের ভিতরে। বলা যেতে পারে এটাই মেয়েদের অফিসিয়াল বক্ষবন্ধনী। এই ধরনের ব্রা-এর বিশেষত্ব হল— জামা-কাপড়ের উপর থেকে স্ট্র্যাপ বা লোয়ার ব্যান্ড খুব একটা বেশি বোঝা যায় না। অফিসে বা কলেজে তা কাম্যও নয়। ভাল ব্র্যান্ডের টি-শার্ট বক্ষবন্ধনী সারাদিন পরে থাকলেও কষ্ট হয় না। কালো, স্কিন এবং সাদা—এই তিন রঙের টি-শার্ট বক্ষবন্ধনী কিনে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে ইচ্ছে করলে পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়েও কিনতে পারেন।

প্যাডেড ব্রা – এই ধরনের বক্ষবন্ধনী হল পার্টি বা ডেটিংয়ের জন্য ঠিকঠাক। যে কোনও লো-নেক ড্রেস বা লো-নেক ব্লাউজের নীচে পুশ-আপ ব্রা পরলে সুন্দর লাগবে ক্লিভেজ। প্যাডেড হলে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বড় মনে হবে ব্রেস্ট। হালকা প্যাডিং থাকাই ভাল। না হলে অস্বাভাবিক লাগতে পারে।

শারীরিক সেট – এই লঁজারি একেবারেই ব্যক্তিগত সময়ের জন্য। সঙ্গীকে ছুঁয়ে যদি বিছানায় ‘অন্য’ হতে চান, তবে ওয়ার্ডরোবে একটি শারীরিক সেট রাখতেই হবে। বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা ব্রা (bra) এবং প্যান্টির সেটই হল শারীরিক সেট। সচরাচর স্বচ্ছ লেস দিয়ে তৈরি হয় এই বিশেষ লঁজারি, সিল্কেরও হতে পারে।

স্পোর্টস ব্রা – জিম, জগিং, খেলাধূলা বা যোগ ব্যায়াম (exercise) করার সময় অবশ্যই পরতে হবে এই বিশেষ ব্রা। অনেকে কাজের জায়গাতেও পরেন এই ধরনের বক্ষবন্ধনী। কী ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তার উপর নির্ভর করছে। তবে বিশেষ প্রয়োজন না পড়লে সারাদিন এই ব্রা পরে থাকার কোনও মানে হয় না।

স্টকিংস – যাঁরা ড্রেস পরেন, তাঁদের তো অবশ্যই রাখতে হবে কয়েক জোড়া স্টকিংস। স্কিন, কালো এবং সাদা—এই তিন রঙের স্টকিংস রাখতে তো হবেই, তা ছাড়া ব্যক্তিগত সময়ের জন্য কিনতেই পারেন ফিশনেট। তবে আপনার সঙ্গী সেটা পছন্দ করবেন কি না, সেটা বুঝে তবেই কিনবেন।

বেবিডল – বেবিডলে ভীষণ আকর্ষণীয় লাগে মেয়েদের। বিভিন্ন ধরনের বেবিডল পাওয়া যায় আজকাল। কোনওটা বেশি শারীরিক মিলন, তো কোনওটা সারাদিন পরে থাকার পক্ষে বেশ আরামদায়ক।

করসেট – করসেট এক সময়ে সব মেয়েরাই পরত। কিন্তু পরবর্তীকালে টু-পিস ব্রা- (bra) প্যান্টিই বেশি জনপ্রিয় হয় মেয়েদের মধ্যে। কারণ, পুরনো করসেটগুলির মধ্যে একটা দম বন্ধ করা ব্যাপার থাকত। তবে এখনকার দামি ব্র্যান্ডের করসেট যথেষ্ট আরামদায়ক। তাছাড়া শরীরকে সুন্দর ভাবে শেপ-আপ করে দেয় করসেট। ড্রেস বা ফিটেড সালোয়ার-কামিজের নীচে করসেট পরলে ভাল লাগে।

আরো পড়ুন  চুল লম্বা করতে অ্যালোভেরা জেল এর ৩টি হেয়ার প্যাক

ক্যামিসোল – বিদেশে ব্রা-এর পরিবর্তে শুধুই ক্যামিসোল পরার চল রয়েছে। আমাদের সমাজে মেয়েদের অনেক বুঝেশুনে চলতে হয়। তাই ওটা সম্ভব না। সবচেয়ে ভাল, বাড়িতে ক্যামিসোল পরা। এতে পোশাকের নীচে একটা আরামদায়ক সার্পোটও পাওয়া যায়, আবার একবারেই অগোছালো না-থেকে একটু ফিটফাট লাগে।

ব্রা পড়লে কি স্তন ক্যান্সার (cancer) হয়

সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকলে স্তন (breast) ক্যান্সার (cancer) হয়, এমন কোন নিশ্চিত প্রমাণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। আবার স্তন (breast) ক্যান্সার (cancer) যে হয়ই না, সেটাও গ্যারান্টি দিয়ে বলা যাবে না। কিন্তু হ্যাঁ, সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। যেমন, একই ব্রা সারাদিন পরে থাকায় স্তনে (breast) র্যাশ বা ত্বকের নানান রকম অসুখ হতে পারে। সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার ফলে ঘাম হয়, ফলে নানান রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। ব্রায়ের (bra) ফিতায় কাঁধ ও পিঠে ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ (harmful) হতে পারে, কাঁধ বা পিঠে এবং বুকে ব্যথা হতে পারে টাইট বক্ষবন্ধনী এর কারণে।

কাপের নিচে কাঠি বসানো বক্ষবন্ধনী কিংবা পুশ আপ বক্ষবন্ধনী সারাক্ষণ পরে থাকলে স্তনে (breast) অস্থায়ী লাম্প দেখা দিতে পারে। এই লাম্পগুলো থেকে যে অন্য অসুখ হবেই না, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই কিছু ক্ষেত্রে সারাক্ষণ বক্ষবন্ধনী পরার কোন প্রয়োজন নেই। আপনার কাপ সাইজ যদি কম হয়ে থাকে, অর্থাৎ স্তন যদি আকারে ছোট হয়ে থাকে তাহলে বক্ষবন্ধনী পরার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আপনার ব্রায়ের কাপ সাইজ হয়ে থাকে ডি বা ডি এর বেশী, অর্থাৎ যদি স্তন (breast) আকারে বড় হয়ে থাকে তাহলে বক্ষবন্ধনী পরা আপনার জন্য ভালো। এতে স্তন (breast) শেপ হারানোর সম্ভাবনা কমবে এবং আপনি নানান রকমের অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে পরিত্রান পাবেন।

ঘুমানোর আগে ব্রা খুলে নিন

ব্রা পরে ঘুমানো উচিত নাকি অনুচিত তা নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধা রয়েছে। অনেকে ধারণা করেন বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে স্বাস্থ্যের ক্ষতি (harmful) হয়। কিন্তু কী ক্ষতি (harmful) হয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না৷ বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমোলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের (cancer) ঝুঁকি বাড়ে৷ তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্রা পরে ঘুমানোর কিছু ক্ষতিকর (harmful) দিক সম্পর্কে।

▪রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় – রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা (bra) পরার অভ্যাস থাকলে ঘুমের মধ্যে আপনার রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক থাকলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি (harmful) হয়৷

▪ত্বকে দাগ বসে যায় – বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে ত্বকে ধীরে ধীরে ইলাস্টিকের দাগ বসে যেতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক হলে দাগ পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা (bra) না পরাই ভালো।

▪ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে – অতিরিক্ত টাইট বক্ষবন্ধনী পরলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। এতে অস্বস্তিবোধ হবে এবং রাতে আপনার গভীর ঘুম হবে না। ফলে সারাদিন ক্লান্তি অনুভূত হবে।

▪ত্বক চুলকাতে পারে – টাইট ফিটিং বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে রাতে ত্বকে চুলকানি অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে সুতি কাপড়ের বক্ষবন্ধনী না হলে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যারা রাতে একেবারেই ব্রা (bra) ছাড়া ঘুমাতে পারেন না তাদেরকে ডাক্তাররা স্পোর্টসব্রা পরে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্পোর্টসব্রা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি (harmful) করে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.