বুধবার থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি মেলা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খুলনাতে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশর একমাত্র রাজনীতি মুক্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি গেজেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারি সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর ৪টি পাঠ্য বিষয়ের ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে।[৩] বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি স্কুল ও ২ টি ইন্সিটিউট এর অধীনে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার জন এবং প্রতিবছর ২৮ টি পাঠ্য বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এটি ছাত্র রাজনীতি মুক্ত বাংলাদেশের একমাত্র সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আইটি-আইটিইএস খাতে চাকরি দেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই লক্ষ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের শহর খুলনায় চাকরি মেলার  (job fair) আয়োজন করতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি)। আগামী বুধবার থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি মেলাটি (job fair)অনুষ্ঠিত হবে।

এলআইসিটির উদ্যোগে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং বা বাক্যর সহযোগিতায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

মেলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় অন্তত ৬০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে জানিয়েছে এলআইসিটি প্রকল্প। যেখানে সরাসরি চাকরি দেবার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করবে কিছু প্রতিষ্ঠান।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ চাকরি মেলা(job fair)। তবে মেলায় অংশ নিতে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করা যাবে সোমবার পর্যন্ত। এই ঠিকানায়  http://lict.gov. bd/it-ites-job-fair/ গিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে আগ্রহীদের।

চাকরি মেলায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে তরুণদের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন কোম্পানি আপনাদের কাছে যাবে। আপনাদের চাকরি দিতে। সেখানেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়ে আসবে। আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা নিজেরা তৈরি হবেন, আমাদের যেসব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে তাতে মনোযোগী হবেন।

দিনব্যাপী চাকরি মেলায় (job fair) আগ্রহীদের থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে সকাল ১০টায় সাক্ষাৎকার নেবেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এর সঙ্গে আরও তিনটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষার্থী ও আগ্রহীদের জন্য। তারপর বিকেল ৫টায় হবে এর সমাপনী অনুষ্ঠান।

ভালো সিভি লেখার নিয়ম-কানুনগুলো জেনে নিন

আরো পড়ুন  বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি – Police Job Circular 2021

১. নিজেই বানান

নিজের সিভি  (CV) নিজেই তৈরি করুন। ইন্টারনেটে সিভি’র প্রচুর নমুনা পাওয়া যায়। বন্ধুবান্ধবদেরও হয়তো সিভি তৈরি করা আছে। সেগুলো দেখতে পারেন, কিন্তু কোনোটাই নকল করবেন না।

২. যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই লিখুন

সিভি বেশি বড় না করাই ভালো। বড়জোর দুই পাতা। এখন কম্পিউটারেই সবাই সিভি (CV) তৈরি করে। পুরোটা একটাই ফন্টে লিখুন। আর পরিচিত কোনো ফন্ট ব্যবহার করুন। যেমন, এরিয়াল, টাইম্‌স নিউ রোমান বা ক্যালিব্রি ইত্যাদি। পয়েন্ট সাইজ বারো বা চোদ্দো রাখুন। যথেষ্ট মার্জিন ছাড়ুন, এবং দুটি লাইনের মাঝখানে বেশ খানিকটা করে ব্যবধান রাখুন। কোনো রকম অলংকরণ কিন্তু সিভিতে চলে না।

৩. ভুল নয়

ইংরেজিতেই সিভি (CV) লেখা হয়। ভাষা সরল রাখুন, যাতে পড়তে ভালো লাগে। যতটুকু দরকার, সেইটুকু তথ্যই দিন। হোয়াটসঅ্যাপ বা এসএমএস-এ যে ধরনের ইংরেজি লিখে এসেছেন, সেটা কিন্তু ভুলেও এখানে ব্যবহার করবেন না। যেহেতু সিভির (CV) মাধ্যমেই নিয়োগকর্তারা আপনাকে প্রথম চিনবেন, তাই নিজের সম্পর্কে যখন কিছু বলবেন, তখন এমন কথাই লিখুন, যেটা পড়ে আপনার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হতে পারে। বাক্য গঠন, বানান ভুলের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। লেখা হয়ে গেলে কোনো শিক্ষক বা যাঁরা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের দেখিয়ে নিন। তাতে লেখায় কোনো গলদ থাকলে, ধরা পড়ে যাবে।

৪. শিক্ষাগত যোগ্যতা

যখন শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখছেন, তখন সম্প্রতি যে পরীক্ষায় পাশ করেছেন সেটা দিয়ে শুরু করে ক্রমপর্যায়ে বোর্ডের পরীক্ষা পর্যন্ত লিখুন। ভালো হয়, এগুলোকে এক একটা বুলেট পয়েন্ট করে লিখলে। বৃত্তি, পুরস্কার বা শিক্ষাগত কোনো সম্মান পেয়ে থাকলে সেটা দিতে ভুলবেন না। আবার কোথাও কোনো সেমিনার বা ওয়ার্কশপে যোগ দিয়ে কোনো সার্টিফিকেট পেয়ে থাকলে, সেটার প্রাসঙ্গিক তথ্যও উল্লেখ করুন। সঙ্গে এই সব ক্ষেত্রে আপনার সাফল্যের কথাও সংক্ষেপে লিখে দিন। লেখার সময় কেবল প্রতিষ্ঠান, ডিগ্রি এবং প্রাপ্ত নম্বর লেখা যথেষ্ট নাও হতে পারে। কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, তা উল্লেখ করা যদি প্রাসঙ্গিক হয়, অবশ্যই লিখতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে ডিসার্টেশন দিয়ে, প্রোজেক্ট করে বা স্পেশাল পেপার লিখে থাকলে তার উল্লেখ করুন। হতেই পারে, কম্পিউটার সংক্রান্ত বা কোনো বিদেশি ভাষায় স্বল্পমেয়াদের কোর্স করেছেন, কিন্তু তার কোনো ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট পাননি। তাহলেও কী বিষয় এবং সেটা কতদিন পড়েছেন, তার উল্লেখ থাকা ভালো। অধিকাংশ সংস্থাই কেবল ফাইনাল পরীক্ষার ভালো ফল দেখতে চায় না, বরং ভালো ফলের ধারাবাহিকতা দেখতে চায়। প্রয়োজনে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সাফল্যের কিছু কিছু জায়গা বোল্ড বা ইটালিক করে হাইলাইট করে দিতে পারেন, যাতে সেটা ইন্টারভিউয়ারের নজরে পড়ে। পুরো বাক্য হাইলাইট করার দরকার নেই।

আরো পড়ুন  শিখে নিন খুব সুন্দর নতুন নতুন একটি গর্জিয়াস হিজাব স্টাইল

৫. অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ফ্রেশারদের সুযোগ দেয়। তাই কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে অসুবিধা কিছু নেই। তবে এর মধ্যে যদি কোনো কোর্স বা ইন্টার্নশিপ করে থাকেন, সেটার তথ্যও এখানে দেবেন। আর যারা আগে চাকরি করেছেন, তাদের পরিষ্কার করে লিখতে হবে, কোন সংস্থায় কাজ করতেন, কত বছর করেছেন, কী ধরনের প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, কী পদে ছিলেন ইত্যাদি। একটা টেবিল আকারে তথ্যগুলো সাজান। এখানেও শিক্ষাগত যোগ্যতার মতোই শেষ যে চাকরিটা করেছেন, সেটাই প্রথমে রাখুন। আগের চাকরির অভিজ্ঞতা এবং তার সাফল্য সম্পর্কে লেখার সময় ‘আই’, ‘মি’ বা ‘মাই’ ব্যবহার করবেন না। ‘আই ওয়াজ দি এরিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার অব এক্স ডিভিশন…’ না লিখে বলুন, ‘হেলপ্ড দ্য কম্পানি ইন সেভিং ওয়াই ক্রোরস অব রুপিজ ইন এক্স ডিভিশন অ্যাজ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার’। চেষ্টা করবেন এমনভাবে বাক্যটা লিখতে, যা দেখে মনে হয় আপনি আত্মবিশ্বাসী। প্রয়োজনে ‘accomplished’, ‘developed’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করুন। আজকাল এমনিতেই ‘লিডারশিপ’ ব্যাপারটাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই কোনো ছোট দল বা কোনো ছোট প্রোজেক্টেও আপনার টিম লিডারশিপের অভিজ্ঞতা থাকলে, সেটা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।

৬. সতর্ক থাকুন

ফ্রেশার হিসেবে যখন ‘কেরিয়ার অবজেকটিভ স্টেটমেন্ট’ লিখবেন, তখন আগামী পাঁচ বছরে আপনি কী করবেন, নিজেকে কতটা উন্নত করবেন বা কী ধরনের টার্গেট বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবেন, সেটা লিখুন। তাই বলে, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমি কম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হতে চাই’- এমন উক্তি না করাই বাঞ্ছনীয়। নিজের পরিকল্পনা মতো যেভাবে কেরিয়ারটা গড়তে চান, সেটাই তুলে ধরুন কেরিয়ার অবজেকটিভ স্টেটমেন্টে।

আরো পড়ুন  ছারপোকা তাড়ানোর খুব সহজ ৭টি ঘরোয়া উপায়

৭. রেফারেন্স

আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে জানাতে পারেন, এমন কয়েক জনের নাম ‘রেফারেন্স’ হিসেবে উল্লেখ করতে পারেন। সিভি’র (CV) শেষে তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল উল্লেখ করুন। তবে, তার আগে অবশ্যই এঁদের সঙ্গে কথা বলে নিন, তাঁরা আপনার বিষয়ে রেফারেন্স দিতে আগ্রহী কি না।

৮. যোগাযোগ

সিভিতে আপনার কনট্যাক্ট ডিটেইলস যেন পরিষ্কার করে থাকে- নাম, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, ই-মেইল ইত্যাদি। এখানে যে ই-মেইল আইডি দেবেন, সেটা যেন খুব উদ্ভট কিছু না হয়। কলেজে অনেকে এমন ধরনের মেইল আইডি ব্যবহার করেন। কিন্তু যেহেতু আপনি চাকরির জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন, তাই তার জন্য কোনো অফিশিয়াল মেইল আইডি থাকাই ভালো।

৯. একাধিক

সিভি নানাভাবে লেখা যায়। কোনো বেসরকারি সংস্থায় আবেদন করতে হলে আপনাকে এক ধরনের সিভি (CV) জমা দিতে হবে। এই সিভি কিন্তু কোনো অলাভজনক সংস্থায় জমা দেওয়া যাবে না। সেখানে ধরনটা হবে অন্য। এই সব সিভিতে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার যাবতীয় তথ্য অপরিবর্তিত থাকবে ঠিকই, শুধু তথ্য পরিবেশনটা সংস্থা অনুযায়ী পালটে যাবে। যে কাজের জন্য আবেদন করছেন, যে সংস্থায় আবেদন করছেন, তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তবেই সিভি লিখতে বসবেন। কাজের সংস্থার খুঁটিনাটি যত স্পষ্ট হবে, আপনার সিভি (CV) লেখাও তত কার্যকর হবে।

১০. এক্সপার্ট কমেন্ট

ফ্রেশারদের ক্ষেত্রে সিভি (CV) তৈরি করা সবচেয়ে কঠিন। কারণ কর্মদক্ষতার কোনো প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ নেই। আর আজকাল সবাই এত নম্বর পায় যে নম্বর দিয়ে নজর কাড়া খুব মুশকিল। অথচ, এই সিভিকেই(CV) চট করে চোখে পড়াতে হবে ভিড়ের মাঝে। নিয়োগকারী মূলত দেখতে চান একজন ফ্রেশারের অ্যাটিটিউড। তাই সেই বিষয়গুলি উল্লেখ করা প্রয়োজন, যাতে কাজের ক্ষেত্রে দরকারি বিষয়ের আভাস পাওয়া যায়- যেমন, টিমওয়ার্ক (ফেস্ট বা ইভেন্ট আয়োজন করা), নিজেকে প্রকাশ করতে পারা (ডিবেট), ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সার্টিফিকেট ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.