ত্বকের যত্নে দুধ ও মধুর জাদুকরি ক্লিঞ্জার

আপনার মুখে যদি ব্রণের দাগ(Acne scars) থাকে তাহলে আপনার সাজ অনেকখানি ব্যাহত হয় আর কাংক্ষিত লুক পেতে আপনার কষ্ট অনেকখানি বেড়ে যায়। তো এই ব্রণের(Acne) দাগ বা মুখের অন্যান্য দাগ দূর করার সহজ কিন্তু প্রাকৃতিক একটি উপায় হল, দুধ আর মধুর মাস্ক। এটা আপনার ত্বকের জন্যে অনেক ভালো ক্লিঞ্জারও বটে।

কী আছে দুধ ও মধুতে?
মধুতে অনেক উপাদান আছে যা ত্বকের(Skin) শুষ্কতা দূর করে । এই প্রাকৃতিক(Natural) উপাদানটি ত্বক সজীব রাখে। মধু ও দুধ দুটোতেই আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ত্বক গভীরভাবে ক্লিন করতে সাহায্য করে। মধু ত্বকের নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষ পুনুরুদ্ধার করে । দুটোই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে ।

কীভাবে মধু ও দুধের মাস্ক ব্যবহার করবেন?
আমরা জানলাম যে মধু(Honey) আর দুধের মাস্কে অনেক হেলথ অ্যান্ড বিউটি বেনিফিট আছে। এবার আসুন, এই দুটি একত্রে ব্যবহারের নিয়মাবলী জেনে নিই। দুধ ও মধু একত্রে যখন ক্লিঞ্জার হিসেবে কাজ করে তখন ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বক(Skin) পরিষ্কার করে ও ত্বকের সজীবতা বাড়ায় তাই ত্বক হয় নরম আর কোমল।

আরো পড়ুন  ত্বকের কালো দাগ দূর করুন মাত্র দুই সপ্তাহে

ক্লিঞ্জার হিসেহে মধু আর দুধ

যা যা লাগবে –

⇒ ১/২ কাপ দুধ
⇒ ১/২ কাপ মধু

কীভাবে তৈরি করবেন?

(১) দুধ আর মধু(Honey) একত্রে মিশিয়ে নিন। মিশিয়ে কমপক্ষে ২ মিনিট রাখুন।

(২) আঙ্গুলে এই মিক্সচার নিয়ে আস্তে আস্তে প্রায় ২ মিনিট ধরে মুখে সমানভাবে লাগান আর এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

(৩) কুসুম গরম পানি(Hot water) দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ফেইস মাস্ক হিসেবে টক দই আর মধু

যা যা লাগবে –

⇒ ১ টেবিল চামচ টক দই(sour yogurt)
⇒ ১ টেবিল চামচ খাটি মধু

কীভাবে তৈরি করবেন?

১) টক দই(sour yogurt) ও মধু একত্রে মিশিয়ে একটু সময় রেখে দিন।

২) মুখে সব জায়গায় সমানভাবে এই মাস্ক লাগান। এরপর ১৫ মিনিট এভাবে রেখে দিন ত্বকে।

আরো পড়ুন  ত্বকের যত্নে মধু

৩) হালকা গরম পানি দিয়ে এবার ধুয়ে ফেলুন।

দুধ ও মধুর ক্লিঞ্জার ও ফেস মাস্কের উপকারিতা

(১) ত্বক গ্লোইং করে। দুধ ও মধুর এই মাস্ক আপনার ত্বকে তৎক্ষণাৎ একটি গ্লো দেবে। মধু ও দুধে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা শরীরের জন্য ভালো। এই মাস্ক সারাদিন রোঁদে থাকার পর ত্বকে ব্যবহার করলে তা দারুণভাবে রোঁদে পোড়া(Burns) ভাব দূর করে।

(২) নিস্প্রাণ ঠোঁটকে কিউর করে। শীতের সময়টা ঠোঁটের উপর আবহাওয়ার খুব প্রেসার পড়ে আর ঠোঁট(Lip) নিস্প্রাণ হয়ে ওঠে। তাই মধু আর দুধের মিশ্রণ নিয়মিত ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট নরম, কোমল আর সজীব থাকে। ঠোঁট ফাটাও এই মিশ্রনে দূর হয় ।

(৩) ত্বকের দাগ দূর করে। এই মাস্ক ও ক্লিঞ্জার শুধু ব্রণের দাগ(Acne scars) দূর করে তা নয় , এটি চিকেন পক্সের মতো জেদি দাগও দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুধ ও মধুর এই মাস্ক(Mask) ব্যবহারে আপনি খুব ভালো ফল পাবেন।

আরো পড়ুন  শরীরের ফেটে যাওয়া দাগ সরানোর ৫টি ঘরোয়া সহজ উপায়

(৪) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটা সত্যি যে মধু আর দুধের এই মাস্ক ত্বকে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের দাগ(Skin scars) যেমন দূর হয় তেমনি বয়সের কারণে ত্বকে যে বলিরেখা দেখা যায় তা দূর হয়।

(৫) আপনার ত্বকে যদি ব্রণ(Acne) থাকে, তাহলে এই মধু আর দুধের মাস্ক ব্যবহার করুন। এটা ত্বকের ব্রণ তো কমাবেই সাথে ব্রণের লালচে দাগও দূর করবে। শুধু মধুও ব্রণ সারাতে কাজ করে। যদি আরও কার্যকরী ফলাফলের পেতে চান তবে এর সাথে দুধ (Milk) ব্যবহার করুন।

যদি আপনি কখনও ত্বকে মধু ও দুধের মাস্ক(Milk mask) ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে আজই আপনার লুককে আরও প্রাণবন্ত করতে এই মধু আর দুধের মিশ্রণের মাস্ক বা ক্লিঞ্জার ব্যবহার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.