নিজেকে সুন্দর করে তুলতে মানুষ কত কিছুই না করে! হরেক রকম ক্ষতিকর কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী(Cosmetics) ব্যবহার করতেও পিছপা হয় না। অথচ প্রকৃতিতেই রয়েছে এমন অনেক উপাদান যা শ্রীবৃদ্ধিতে অতুলনীয় অবদান রাখতে সক্ষম! ডিম(Egg) এমনই একটি উপাদান। পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ডিমের তুলনা নেই। শরীরের উপকারের পাশাপাশি ত্বক(Skin) ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও ডিম যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ডিমের নানা পুষ্টিগুণ আপনাকে ভেতর থেকে করে তোলে স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ, সুন্দর! শুধু খাবারের মাধ্যমে নয় বাহ্যিকভাবেও ডিম রূপচর্চার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যেমন –
ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমাতে :
ডিমের সাদা অংশ ত্বকের(Skin) অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বককে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। একটি ডিমের পুরো সাদা অংশ ভালো করে ফেটে নিন। এতে আধা চা চামচ ময়দা(Flour) ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ গলা ও হাতে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে তেলমুক্ত ও মসৃণ।
স্ক্রাবার হিসেবে :
ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ চালের গুঁড়া(Rice powder) ও ২ চা চামচ দানাদার চিনি মেশান। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে শরীরে লুকিয়ে থাকা ধুলো-ময়লা দূর তো হবেই, সেই সাথে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ!
চুলের রুক্ষতা দূর করতে :
একটি পুরো ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল(Olive oil) ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু(Shampoo) দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হবে কোমল ও ঝলমলে! যাঁদের চুল বেশি তৈলাক্ত তাঁরা অলিভ অয়েলের পরিবর্তে টক দই(sour yogurt) ব্যবহার করতে পারেন।