লেবু বহু গুণসম্পন্ন একটি ভেষজ। আমাদের দেশে কয়েক ধরনের লেবু(Lemon) পাওয়া যায়। এর মধ্যে পাতিলেবু, বাতাবিলেবু, কাগজিলেবু উল্লেখযোগ্য। লেবুতে থাকা ভিটামিনের মধ্যে অন্যতম হলো সি। ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ থাকে এই ভেষজ ফলটি। সি ছাড়াও লেবুতে রয়েছে ফ্ল্যাভনয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-বি, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস। খাদ্য হিসেবে ছাড়াও রূপচর্চায় লেবুর ব্যবহার জগতজুড়ে। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও লেবুর অবদান অনস্বীকার্য।
লেবু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসসৃষ্ট বিভিন্ন রোগ দূর করে এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Disease prevention) বাড়ায়। এ ছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরে আয়রনের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ত্বক ও চুলের যত্নেও লেবু অত্যন্ত কার্যকর। তো জেনে নেওয়া যাক ত্বক ও চুলের যত্নে কীভাবে কাজে লাগানো যায় লেবুকে।
ত্বকের যত্ন : লেবুর রস প্রাকৃতিক এন্টিসেফটিক। তাই চন্দন, মুলতানি মাটি, শসা কুচি, মধু বা যে কোন ফেসিয়াল প্যাক(Facial pack) তৈরিতে লেবু ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ব্রণের সমস্যায় লেবু অত্যন্ত উপকারি। লেবুর রস তুলার সাহায্যে লাগিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ব্রণের প্রকোপ কমবে।
ত্বকের রোদে পোড়াভাব দূর করতে শসার রসের সাথে সমপরিমাণ লেবুর রস(Lemon juice) মিশিয়ে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত লাগালে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণের কাল দাগের উপর লেবুর রস লাগান। সারারাত রেখে দিন। দাগ দ্রুত চলে যাবে। ত্বকে লেবুর ব্যবহার বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়। নখের হলদেটে ভাব দূর করতে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ নখ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর লেবু টুকরো করে তা দিয়ে নখের উপর ঘষুন, হলদেটে ভাব দূর হবে।
চুলের যত্ন : অমলকির রসের সঙ্গে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু(Shampoo) করে নিন। গোসলের আগে নারকেল তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগান। তারপর শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে একদিন করে এটি ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে।