আমরা একটু অসুস্থ হলেই ডাক্তারের কাছে যাই। কিছু রোগের জন্য তো একটি দীর্ঘ চিকিৎসা (treatment) চলে এবং বারবার হাসপাতালের চক্কর কাটতে হয় । কিন্তু পুরানো সময়ে এমন হতো না। মানুষ ঘরের উপায় থেকেই সবকিছু ঠিক করে নিত । এমনকি আজও আমরা ঠাকুমা দিদিমার টোটকার সম্পর্কে শুনতে পাই, কিন্তু তাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই আমাদের কাছে ।
আমাদের বাড়িতে রান্নাঘরে অনেক আশ্চর্যজনক মশলা পাওয়া যায়, যার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানি না। এখন শীতও চলে যাচ্ছে এবং অনেক রোগও দেখা দিতে পারে । এইজন্য আমরা আপনাকে ঘরোয়া মশলার টোটকা বলবো যা আপনাদের অনেক কাজে আসবে। আসুন দেখি কি কি সেই মশলা যা আপনাদের কাজে আসতে পারে ।রান্নাঘরে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত রসুন (Garlic) সম্পর্কে কথা বলছি । রসুনের প্রতিটি অংশ স্বাস্থ্যের জন্য একটি যাদু হিসেবে প্রমানিত হয়েছে । এই কারণে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জড়িবুটি এবং ওষুধ (medicine) হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সাধারণ রোগগুলিতে কার্যকরঃ
ফ্লু এবং শীতকালীন অনেক সাধারণ রোগে রসুন খুবই দরকারী। শীতকালে শিশুদের রসুনের মালাও পড়ানো হয় । মধু (honey) বা অন্যান্য খাদ্য উপাদানগুলির সাথে মিশিয়ে এটি শীতকালে খাওয়া হয় ।
খালি পেটে দারুণ কাজ করেঃ
রসুন খালি পেটে খেলে বেশী উপকারী। এটি খালি পেটে খেলে পাচক ব্যবস্থা ভাল হয় এবং ক্ষুধাও বৃদ্ধি করে। এমনকি যাদের যক্ষ্মার সমস্যা (টিবি) আছে তারা অনেক সুবিধা পেতে পারে খালি পেটে রসুন খেলে । এটিতে অম্লতা এবং ডায়রিয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় ।
রসুন ব্যবহারে উচ্চ রক্তচাপের সমাধান করা হয়। এটিতে উপস্থিত অ্যালিসিন উপাদান রক্তচাপ কমায়। এটি অন্যান্য হৃদয়ের সমস্যার (problem) সমাধান করে। এটি যকৃত এবং মূত্রাশয়ের মসৃণ সঞ্চালনে সহায়তা করে।রসুনে অলৌকিক অ্যান্টিবায়োটিক শক্তি রয়েছে যা আপনার শরীরের রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি হৃদয় এবং লিভারের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের স্বাস্থ্যও সুস্থ রাখে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি জীবনযাত্রার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
রসুন কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটা মস্তিষ্ক সংক্রান্ত সমস্যাগুলির (problem) ঝুঁকি হ্রাস করে, যেমন অ্যালজাইমারের মতো বিপদ থেকে রক্ষা করে ।রসুন দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। রসুন দাঁতের জীবানু, পচন এবং দাঁত ব্যথা থেকে পরিত্রাণ দেয় ।