কৌশল এবং মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা এখন প্রায় সেকেলে হয়ে পড়েছে। আজকাল যৌনশক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিক কামোদ্দীপক বা যৌনশক্তি বর্ধক খাদ্যই (food) অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বিবাহিত জীবনে যৌনতায় ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবার (food) দাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী (husband) স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন। অথচ প্রায়ই দেখা যায় যৌন সমস্যার কারনে সংসারে অশান্তি হয়, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকলেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি নাও হতে পারেন আপনি। আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার ঔষধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার (food) দাবারই যথেষ্ট। আপনার খাবার মেনু তে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখুন আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন, তাহলে যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না।
ডিম: যৌন দুর্বলতা দূর করতে ও যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এক অসাধারণ খাবার(food) দুধ। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার যৌন দুর্বলতার সমাধান হবে।
দুধ: যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য (food)আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার (food) এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের (food) দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
মধু: যৌন দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।
রসুন: যৌন সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা যৌন ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।
কফি: কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড কার্যকর রাখে।
জয়ফল: গবেষণায় দেখা গেছে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
চকলেট: ভালোবাসা ও যৌনতার সঙ্গে সবসময়ই চকলেটের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এতে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো যৌন উত্তেজনা ও দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএ’র সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
কলা: কলার রয়েছে ভিটামিন (vitamin) এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন (vitamin) বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে যৌন মিলনে লিপ্ত হলেও আপনার ক্লান্তি আসবে না।
ভিটামিন (vitamin) সি জাতীয় ফল: যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার (food) তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। গবেষণা দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার (food) তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন (vitamin)সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এসব ফলে মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি। অনেকে যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।
গরুর মাংস: গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
প্রথমবার প্রচুর রক্তপাতে আতংকগ্রস্থ হই, শারীরিক সম্পর্ক জীবননাশক মনে হয়…
দু’বছর আগে আমার জীবনে প্রথমবার শারীরিক সম্পর্ক করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত অনেক রক্তপাত হয়। আমি সেদিন মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে আমার স্বামী আমার সঙ্গে সহবাসে /শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয় এবং কিছুক্ষণ পরই আমার মারাত্মকভাবে রক্তপাত হতে থাকে। ও তখন এ অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায় এবং তৎক্ষণাৎ সহবাসে ইস্তেফা টানে।
এরপর আমার প্রায় দুঘন্টার মতো রক্তক্ষরণ হয়। কেউ সেটা বন্ধ করতে পারে না। আমাকে হাসপাতাল নেয়া হলে ডাক্তারদের প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে রক্তপাত বন্ধ করতে। আমাকে তখনই জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করা হয়। একব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। ডাক্তার (doctor) আমাকে তিনমাস সম্পুর্ন বিশ্রাম নিতে বলেন এবং কোনো প্রকার শারীরিক সম্পর্ক (physical relation) করতে নিষেধ করেন।
আমার স্বামীও আমাকে আর জোর করেনি। দুমাসের মধ্যেই আমার স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ায় আমাদের দ্বিতীয়বার আর কোনো সহবাসের চেষ্টা হয়নি। কিন্তু ওই ঘটনার কারণে আমি এখনো মানসিকভাবে আতংকগ্রস্থ, যার কারণে আমি শারীরিক সম্পর্ককে সহজভাবে ভাবতে পারি না। আমার স্বামী এ মাসেই বাংলাদেশে ফিরছে। আমি এখন কীভাবে ওর সঙ্গে মানসিকভাবে শারীরিক সম্পর্ক (physical relation) করার জন্য নিজেকে গড়ব? আমাকে সবাই, এমন কী আমার স্বামীও অনেকভাবে বুঝিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে এখন শারীরিক সম্পর্ককে জীবননাশক মনে হয়। কী এমন সমস্যা হয়েছিল আমার যে শরীর থেকে দুলিটার রক্ত চলে গিয়েছিল? এমন তো কারো হয় না।
আমি যদি আবার শারীরিক সম্পর্ক (physical relation) করতে যাই তাহলে কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? আমার কি ভবিষ্যতে সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে?
আপু, আপনার চিঠি পড়ে মনে হচ্ছে আপনার বয়স খুবই কম। আপনার শরীর এখনো শারীরিক সম্পর্কের (physical relation) জন্য তৈরি নয়। আপনি শারীরিক মানসিক প্রস্তুতি নেয়ার আগেই স্বামী যেহেতু সহবাস করতে গিয়েছিল, এটাকে এক প্রকার ধর্ষণই বলা যেতে পারে। সেই চেষ্টায় আপনার শরীরের কতটা ক্ষতি হয়েছে, সেটা সাময়িক ছিল কিনা- সেটা আমার পক্ষে বিস্তারিত না জেনে বলা সম্ভব নয়। আর আপনি যে ভয়টা পাচ্ছেন, সেটাও শতভাগ জায়েজ। এমন একটা ঘটনার পর ভয় আপয়ায়া খুবই স্বাভাবিক। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার শরীর-মন সহবাসের জন্য তৈরি না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অবশ্যই এই সম্পর্কে যাওয়া আপনার উচিত হবে না। কেবল স্বামী চাইছেন বলেই সহবাস করতে হবে, এমন চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। এবং বাচ্চা নেয়ার চিন্তাও আপাতত অনেক দূরে রাখুন।
আপনি যা করবেন, একজন খুব ভালো স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন ও নিজের ভালো করে একটা চেকাপ করাবেন। অবশ্যই আপনার গুরুতর কিছুই হয়েছিল, কেননা ৩ মাস ডাক্তার (doctor) বিশ্রাম নিতে বলেছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোক সত্য চেপে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক, তাই ডাক্তার (doctor)কয়ে সব খুলে বলে তাঁর কাছ থেকে একদম বিস্তারিত জেনে নেবেন যে আপনার কী হয়েছিল এবং ভবিষ্যতে শারীরিক সম্পর্ক (physical relation) করলে আপনার কোন ক্ষতি করবে কিনা। ডাক্তার (doctor)যা বলবেন, সেটার ওপরে ভিত্তি করেই কাজ করবেন। ডাক্তার সব ওকে বলে দিলে দেখবেন আপনার ভয়টাও অনেক কমে যাবে।
দ্বিতীয়ত, আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন এবং তাঁর সহায়তা নেবেন এই ভয় কাটিয়ে উঠতে। এটা খুবই জরুরী। একটা খারাপ ঘটনা আমাদের মনের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করে দেয়, এটা কাটিয়ে উঠতে ডাক্তারের (doctor) হেল্প নেয়ায় মোটেও লজ্জার কিছু নেই। আপনি কাউকে না জানিয়ে নিজেই নিজের জন্য এই কাজগুলো করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।