স্রেফ ১ সপ্তাহ ভাত-সিদ্ধ জল দিয়ে মুখ ও চুল (hair) ধুয়েছিলেন এই তরুণী! অবিশ্বাস্য ফল তাতেই
ভেরোনিকা হ্যাজেল ক্যালিফোর্নিয়ার এক বিউটিশিয়ান। মানুষকে সুন্দর করে তোলাই তাঁর পেশা। প্রতিদিনই অজস্র মানুষ তাঁর কাছে আসতেন ত্বক (skin) ও চুলের (hair) নানাবিধ সমস্যা নিয়ে। ভেরোনিকা সাধ্যমতো সমাধানও বাতলে দিতেন তাঁদের।
হটাত ভেরোনিকা ভাবতে শুরু করেন, যখন এই সমস্ত আধুনিক বিউটি (beauty) প্রোডাক্টের উদ্ভাব ঘটেনি, সেই প্রাচীন কালে মহিলারা কীভাবে করতেন রূপচর্চা? নিজের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তিনি শুরু করেন গবেষণা। বেশ কয়েক মাসের পড়াশোনার পরে ভেরোনিকা আবিষ্কার করেন প্রাচীন যুগে এশীয় মহিলাদের মধ্যে প্রচলিত রূপচর্চার এক আশ্চর্য কৌশল, যা আজ লুপ্ত।
সেই কৌশল নিজের কাস্টমারদের উপর প্রয়োগ করার আগে, ভেরোনিকা স্থির করেন, নিজের উপরেই প্রয়োগ করে দেখবেন। কয়েক মাস ধরেই মুখে কালো দাগ আর রুক্ষ চুলের (hair) সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সেই প্রাচীন কৌশল তিনি প্রয়োগ করেন নিজের ত্বকে (skin) এবং চুলে। সপ্তাখানেকের মধ্যেই তাঁর ত্বক (skin) ও চুলের চেহারা যায় বদলে। মুখের কালো দাগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি, তাঁর চুলও হয়ে ওঠে রেশমের মতো কোমল।
ঠিক কী করেছিলেন ভেরোনিকা? কিছুই না, স্রেফ ভাত সেদ্ধ করার জল নিয়ে মুখ ও চুলে (hair) লাগিয়েছিলেন। তাতেই ফলে অবিশ্বাস্য ফল। ঠিক কীভাবে এই কৌশল প্রয়োগ করতে হবে, তা এখন নিজের ব্লগেও জানাচ্ছেন ভেরোনিকা। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই কৌশল।
ভাত রান্নার সময়ে, ভাত যখন ফুটে এসেছে, তখন রান্নার পাত্র থেকে তুলে নিন তিন চা-চামচ ভাত-সিদ্ধ জল। তাতে মিশিয়ে দিন এক চা-চামচ পাতি লেবুর রস। এবার এই মিশ্রণটি ঘণ্টাখানেক রেখে দিন ফ্রিজে। ফ্রিজ থেকে বের করে নিলেই আপনার রূপের আশ্চর্য ফর্মুলা (formula) রেডি। এবার এই মিশ্রণে এক টুকরো তুলো ডুবিয়ে মুখে বুলিয়ে মুখটা পরিষ্কার করুন দিনে বার দুয়েক। হপ্তাখানেকের মধ্যেই দেখবেন মুখের কালো ভাব, মুখের অতিরিক্ত তেলা-ভাব এবং ব্রণ-ফুসকুড়ির দাগ অনেকখানি উধাও হয়েছে।
চুলের (hair) ক্ষেত্রে ভাত-সিদ্ধ জল প্রয়োগের নিয়ম একটু আলাদা। ভাত সিদ্ধ হওয়ার সময়ে পাত্র থেকে তুলে নিন এক কাপ জল। সেই জল ঠান্ডা হতে দিন। চান করার আগে ওই জল দিয়ে চুল (hair) ধুয়ে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। তারপর স্বাভাবিকভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। কয়েক দিনের মধ্যেই চুল পড়া ও রুক্ষ চুলের সমস্যা থেকে মিলবে নিষ্কৃতি।
কিন্তু কীভাবে ত্বক ও চুলের (hair) উপকার করে ভাত-সিদ্ধ জল? স্কিন কেয়ার ইনস্টিটিউট অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা এই প্রশ্নের উত্তরে জানাচ্ছেন, ভাত-সিদ্ধ করা জল আসলে ভিটামিন বি, সি, ই এবং বিবিধ খনিজ লবণ ও অ্যামাইনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। লেবুর রস ও ভাত-সিদ্ধ জল দিয়ে মুখ ধুলে তা স্কিন টোনিং-এ সহায়তা করে। ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে। চুলের (hair) সমস্যার ক্ষেত্রেও কাজে আসে ভাত-সিদ্ধ জলের প্রাকৃতিক গুণাবলী।
ব্রা কেনা ও ব্যবহারের(use) সময় যে বিষয়গুলো মনে রাখবেন!
নারী তার শরীরকে আকর্ষণীয় সুন্দর দেখাতে ব্যবহার (use) করে থাকেন অন্তর্বাস বা বক্ষবন্ধনী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রা এর আদল, সাইজ, রং, ডিজাইন অনেক কিছুই বদলেছে। দিন দিন নারীর হাল ফ্যাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেছে ব্রা। কিন্তু ব্রা ব্যবহারে (use) অনেকেই সচেতন না। এর ফলে দেখা দেয় নানান শারীরিক সমস্যা। এই শারীরিক সমস্যা এড়াতে কি ধরণের ব্রা ব্যবহার (use) করতে পারেন তাই তুলে ধরা হলো এখানে।
ব্র্যান্ডের ব্রা
ব্যাকলেস পোশাক নির্বাচন করলে এমন ব্রা পরুন যার স্ট্র্যাপ ট্রান্সপারেন্ট।পার্টিতে বা ডিস্কে ট্রান্সপারেন্ট ব্রা পরার মত আত্মবিশ্বাস আপনার আছে কী না খতিয়ে দেখুন। দামি ব্র্যান্ডের ব্রা-ই ব্যবহার (use) করুন।
কম দাম নয়
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো শুধু মিষ্টি রং, সুন্দর ডিজাইন আর কম দাম দেখে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য সেটা কতটা উপযোগী অর্থাৎ কাপড়ের মানও দেখা প্রয়োজন৷ তাছাড়া কিছু ব্রা’তে স্তনের আকার আরও সুন্দর করতে ব্রা’র কিনারায় গোল করে স্টিল বা ধাতব পাত লাগানো হয়। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কী না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। ব্রা কেনার সময় দেখে নিন সেই হুক লাগানোর অনেকগুলো ঘর আছে কিনা। যে ব্রা-গুলিতে হুক লাগানোর জন্য একাধিক ঘর আছে সেগুলো কেনাই ভালো।
একাধিক দিন নয়
একসঙ্গে একাধিক ব্রা কিনুন। ব্রা ভালো রাখতে হলে এবং সঠিক মাপে রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহার(use) করতে হলে একই ব্রা সপ্তাহে দু’দিনের বেশি পরবেন না। সম্ভব হলে একদিনই পরুন। ইলাস্টিককে কয়েকদিন বিশ্রাম দিলে এর ইলাস্টিসিটি আবার আগের মত হয়ে যায় কিছুটা। তাই ব্রা কেনার সময় এক সঙ্গে একাধিক কিনুন, যেন বদলে বদলে পরা যায়।
মনে রাখুন স্বাস্থ্যের কথা
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের স্তনযুগল অনেক বড়, তারা এক-দুই সাইজ ছোট (small size) বা খুব আঁটসাঁট ‘ব্রা’ পরেন, যা একদমই ঠিক নয়। কারণ এটা দেখতে যেমন ভালো লাগে না, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর৷ তাছাড়া বেশি আঁটসাঁট ‘ব্রা’ পরলে শ্বাসকষ্টও হয় অনেকের।
পুশ-আপ ও শরীর অনুযায়ী ব্রা
মূলত টিন এজাররা ভিতরে ফোম দেওয়া ব্রা বা পুশ-আপ ব্রা ব্যবহার (use) করে। সারাদিন যে ব্রা গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকে তা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা জেনে নেওয়া দরকার অবশ্যই। অনেক স্পোর্টস ওয়েমেনরাও এই ধরণের ব্রা ব্যবহার (use) করেন। ওজন বাড়লে বা কমলে ব্রা-ও বদলে নিতে হবে। ভারী শরীর ও রোগাটে শরীরের জন্য ব্রায়ের মাপ আলাদা হবে।