ব্যায়াম ডায়েট ছাড়াই ওজন কমিয়ে ফেলুন ৬ টি সহজ উপায়ে

ব্যায়াম ডায়েট ছাড়াই ওজন (weight) কমিয়ে ফেলুন ৬ টি সহজ উপায়ে!
মাঝে মাঝে ব্যয়াম ও কখনো কখনো ডায়েট করে ওজন (weight) কমানোর লক্ষ্য অর্জন করাটা আসলেই দুঃসাধ্য। এর জন্য মনের ইচ্ছার পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও দৃঢ় সংকল্প। আপনার ওজন (weight) কমানোর লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহজ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী কিছু কৌশল আছে। যে ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি সত্যিই স্লিম হতে পারবেন এবং আপনাকে ক্ষুধার্ত বা অতৃপ্ত থাকতে হবেনা। আসুন তাহলে জেনে নেই সেই সহজ ধাপগুলো সম্পর্কে।

১। আপনার দিন শুরু করুন লেবু পানি দিয়ে
ওজন (weight) কমানোর জন্য লেবু পানি অত্যন্ত কার্যকরী ডিটক্স পানীয়। লেবুর রস শরীরে চর্বি (fat) পুড়িয়ে এনার্জি নির্গত করতে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং ওজন বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে। এছাড়া ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাহির হতে সাহায্য করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটি লেবুর অর্ধেকের রস বের করে নিন। এর মধ্যে সামান্য মধু ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন এই পানীয়টি পান করুন এমনকি ওজন (weight) কমে যাওয়ার পরও।

আরো পড়ুন  সাফি সিরাপ খেলে কি চুলের কোন খতি হয় আর এটি খেলে কি চেহারা সুন্দর হয়।?

২। আপেল সাইডার ভিনেগার
অ্যাসেটিক এসিডের উপস্থিতির জন্যই আপেল সাইডার ভিনেগার ওজন (weight) কমতে সাহায্য করে। অ্যাসেটিক এসিড চর্বি (fat) জমাট বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, পরিপাকের সমস্যা সমাধানে ও খাদ্যের পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে আপেল সাইডার ভিনেগার। এক গ্লাস পানিতে ১/২ টেবিল চামুচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পান করুন।

৩। চা বা কফির পরিবর্তে গ্রিনটি পান করুন
গ্রিনটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা বিপাকের হার বৃদ্ধি করে এবং ওজন (weight) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চর্বি (fat) কোষের চর্বি (fat) পোড়াতে সাহায্য করে গ্রিনটি এর ক্যাটেচিন। এই ক্যাটেচিন ফ্রি রেডিকেল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে। আপনার দৈনিক চা বা কফির পরিবর্তে অর্গানিক গ্রিনটি পান করুন। দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিনটি পান করতে পারেন।

৪। দৌড়ান
যদি আপনি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন (weight) কমাতে চান তাহলে নিয়মিত শারীরিক কর্মকা- ও ব্যয়ামের বিকল্প কিছুই নাই। মধ্যম এবং সবল শারীরিক কর্মকা-ের সমন্বয়ের ফলেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। ওজন (weight) কমানোর জন্য দৌড়ানো অত্যন্ত কার্যকরী একটি ব্যয়াম। তাছাড়া ব্যয়ামের ফলে স্ট্রেস কমে, এনার্জি বৃদ্ধি পায় এবং মেজাজ ও ঘুমের মানের উন্নতি হয়। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ব্যয়াম দীর্ঘমেয়াদী অসুখ টাইপ টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। দিনের যেকোন একটি সময় নির্ধারণ করে নিন ব্যায়ামের জন্য। ট্রেডমিলে ২৫ মিনিটের বেশি দৌড়াবেন না। এর চেয়ে বাড়ির পাশের রাস্তায় ৩০ মিনিট হাঁটতে বা পার্কে কয়েক মিনিট দৌড়াতে পারেন।

আরো পড়ুন  মেয়েদের তলপেটের ফাটা দাগ কমাবে অলিভ অয়েল ও এলোভেরা জেল এর মিশ্রন

৫। দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমান
ওজন (weight) কমানোর বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ওজন (weight) কমতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, আমাদের শরীর ঘুমের সময় বেশিরভাগ বিপাকীয় কাজ গুলো করে থাকে, দীর্ঘ ঘুমের সময় চর্বি (fat) পোড়ানোর যন্ত্রটির কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। ঘুমের অপর্যাপ্ততা ক্ষুধা ও পরিতৃপ্তি নিয়ন্ত্রণকারী বিপাকীয় হরমোন লেপ্টিন ও ঘ্রেলিনকে ধ্বংস করে। কম ঘুমালে লেপ্টিনের স্তর কমে যায় এবং ঘ্রেলিনের স্তর বৃদ্ধি পায়, যার ফলশ্রুতিতে বেশি ক্ষুধা পায় ও অপূর্ণতা বা অতৃপ্ত অনুভূত হয়।

৬। উপবাস করুন
অতিরিক্ত চর্বি (fat) পোড়াতে, শরীরকে রিচার্জ করতে এবং সুস্থ থাকার জন্য উপবাস করা উপকারী। আভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহকে পরিষ্কার করার প্রধান প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় কোষীয় পর্যায়ে, যাকে অটোফেগি বলে। অটোফেগি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার কিছুটা উন্নতি ঘটাতে পারে, ওজন (weight) কমতে সাহায্য করে এবং হাঁটতে ও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করে। দিনের বেলায় মানুষ বেশি খেয়ে থাকে তাই উপোষ থাকা খারাপ নয়। উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, যারা মাসে একদিন রোজা রাখে বা উপবাস করে তাঁদের ধমনীর বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি ৪০% পর্যন্ত কমে যায়। সপ্তাহে একদিন ১২-১৬ ঘন্টা উপোষ থাকলে স্বাস্থ্য উপকারিতা লাভ করা যায়। এর ফলে আপনি আসল ক্ষুধা থেকে একঘেয়েমি ও তৃষ্ণাকে পৃথক করতে শিখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.