দাগহীন ত্বকের যত্নে ফেসিয়াল

তৈলাক্ত এবং সেনসিটিভ ত্বকের (skin) একটি কমন সমস্যা হল পিম্পল। সারাটা বছর জুড়ে একটা দুটো করে পিম্পল উঠেই থাকে মুখে। ফলাফল মুখ থেকে দাগ ছোপ সরানোই মুশকিল। আর দাগ মানে বাইরে যেতে হলেই সব সময় মেকআপ করে যেতে হবে। অথচ এই দাগ গুলো না থাকলে কিন্তু সামান্য মেকাআপ-এই অনেক স্নিগ্ধ এবং সুন্দর দেখায়। আজ তাই এমন একটি ফেসিয়াল (facial) এর কথা বলবো, যেটির প্রতিটি ধাপেই থাকবে ত্বককে (skin)দাগ মুক্ত করার উপাদান। যেহেতু এই ফেসিয়াল-(facial) এর পুরো প্রক্রিয়াতে কোনও কেমিক্যাল ব্যবহৃত হচ্ছে না, তাই এটি প্রতি সপ্তাহে একবার করে করলেও কোনও ক্ষতি নেই। প্রতি সপ্তাহে করলে বরং আপনি মাস দুয়েকের মধ্যেই ভালো ফলাফল লক্ষ্য করবেন।

চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই এর প্রক্রিয়াটি।

১) ফেসিয়াল(facial) এর প্রথম ধাপেই মুখটাকে একটু ভালো করে ধুয়ে নিয়ে নিজের পছন্দ মত ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। এই ধাপে একটা দরকারি কথা হল, নিজের মুখে কিন্তু আপনি নিজেই ম্যাসাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ফেসিয়াল (facial) ম্যাসাজ-এর সঠিক নিয়ম না জেনে থাকেন। তাহলে এটা করলে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হবে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই ধাপটি বরং বাদ দেয়াই ভালো।

আরো পড়ুন  মুখ ও গলার কালো দাগ দূর করার ২টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

২) ম্যাসাজের পরে হালকা কোন ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এইবারে একটা স্ক্রাব লাগাতে হবে মুখে-

টমেটোর রস ২-৩ টেবিল চামচ

টক দই ১ টেবিল চামচ

ওটমিল পরিমাণমত ( যাতে একটা ঘন পেস্ট বানানো যায় )

পানি (water) পরিমাণমত

প্রথমে পানি (water) ও ওটমিল নিয়ে এর সাথে যোগ করুন টমেটোর রস ও টক দই। ঘন করে

পেস্ট বানিয়ে পুরু করে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে ঘসে তুলে ফেলুন।

এরপরে কুসুম গরম পানি (water) দিয়ে ধুয়ে নিন।

৩) এরপরে চাইলে একটু গরম ভাপ নিয়ে মুখে ব্ল্যাকহেডস থাকলে তুলে ফেলুন। তবে প্রতিবার ফেসিয়াল-(facial) এর সময়ে এটি করা যাবে না। এটি মাসে ২ বার করাই যথেষ্ট।

আরো পড়ুন  মুখে মধু মাখলে কি হয়

৪) এবারে আমরা একটি প্যাক লাগাবো। এর উপাদানগুলো চলুন দেখে নেই-

ডিমের কুসুম- ১ টি

কলা- ১ টি

কয়েক ফোঁটা লেবুর রস

খুব সহজ বানানো। কুসুম ফেটে নিয়ে তাতে কলা ব্লেন্ড করে বা কাঁটাচামচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। যদি গন্ধ লাগে তাহলে ২ ফোঁটা গোলাপজল দিতে পারে। সাথে মেশান লেবুর রস। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপরে ঠাণ্ডা পানি (water) দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫) এবারে লাগাবো একটা রিফ্রেশিং ফেস মাস্ক-

টকদই- ১ টেবিল চামচ

মুলতানি মাটি -১ টেবিল চামচ

পুদিনা পাতা বাটা- ১ চা চামচ

মুলতানি মাটিটা টকদইতে আগে থেকেই আধ ঘণ্টার মত ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভালো হয়। এরপরে এর সাথে পুদিনা পাতা বাটা মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। এরপরে হালকা কুসুম গরম পানি (water) দিয়ে ধুয়ে সাথে সাথেই ঠাণ্ডা পানির (water) ঝাঁপটা দিন মুখে অথবা বরফ ঘষে নিন।

আরো পড়ুন  শিশুদের মত নরম, কোমল ও ফর্সা ত্বক পেতে রোজ রাতে একটি ছোট্ট কাজ করুন

৬) এবারে লাগাবো টোনার। তবে কেনা নয়। ঘরে থাকা আলু ঝুরি করে কেটে নিয়ে একটু চিপে নিলে পেয়ে যাবেন আলুর রস। সেটাই তুলোর সাহায্যে লাগিয়ে নিন। আর নেহাত আলসেমি লাগলে পাতলা স্লাইস করে কেটে মুখে ঘষে নিন ( আমি নিজেও করি কিন্তু)। শুকিয়ে যাওয়ার পরে চাইলে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন, আবার না ধুলেও অসুবিধে হবে না।

এই গেলো পুরো ফেসিয়াল-এর প্রক্রিয়া। আশা করি যাদের দাগ-ছোপের সমস্যা আছে, তাদের জন্যে অনেক উপকারী হবে।

ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন।

লিখেছেন- মাহবুবা মিমি

Leave a Reply

Your email address will not be published.