যে ১০টি খাবার বাড়িয়ে তুলবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

প্রতিটি মানুষের শরীরেই রোগ প্রতিরোধ করার সহজাত ক্ষমতা থাকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে যেমন দূষণ, ভেজাল খাবার, অপুষ্টি, অনিয়মিত জীবনযাপন ইত্যাদির ফলে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Disease prevention) কমে যেতে থাকে। ফলস্বরূপ সামান্য রোগেই কাতর হয়ে যাওয়া। চিনে নিন কিছু খাবার, যেগুলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।

১. পালংশাক
পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আয়রন। আয়রন এমন একটি খনিজ উপাদান যা লোহিত রক্তকণিকা(Blood cells) উত্‍পাদনের জন্য জরুরি তো বটেই, এটা রক্তস্বল্পতাও প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের কোষ বৃদ্ধির জন্যেও এটা জরুরি।

২. দই
দইয়ে থাকে অগণিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া(Bacteria)। তাই দই এর স্বাদের জন্য খেলেও আদতে আপনি পরোক্ষভাবে আপনার শরীরেরই উপকার করছেন!

আরো পড়ুন  ভাত খাওয়ার পর যে পাঁচটি কাজ করবেন না

৩. গ্রিন টি
সব ধরনের চায়েই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে গ্রিন টি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষভাবে সমাদৃত।

৪. লেবুজাতীয় ফল
ভিটামিন সি বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রদাহও প্রতিরোধ করে ভিটামিন সি(Vitamin C)। ভিটামিন সি বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা অনুচক্রিকা গঠনে সহায়তা করে এবং ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়ে। এই ভিটামিন সি লেবুজাতীয় সব ধরনের ফলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যেমন কমলা, মালটা, লেবু, জাম্বুরা ইত্যাদি।

৫. লাল ক্যাপসিকাম
সব প্রজাতির মরিচেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ক্যাপসিকামও এর বাইরে নয়, বিশেষ করে লাল ক্যাপসিকাম। এছাড়া এই উজ্জ্বল রঙের খাবারটিতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(Disease prevention) বৃদ্ধিকারী উপাদান।

আরো পড়ুন  শীতের দিনে কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী সহ’বাস করবেন জানুন

৬. ব্রকোলি
ব্রকোলি থেকে আপনি পেতে পারেন প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যাবেজ পরিবার থেকে আসা ফুলের মতো দেখতে এই খাবারটিতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই, যা ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়ে।

৭. রসুন
ভেষজ গুণের রাজা বলা হয় রসুনকে। রসুন(Garlic) আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো কর্মক্ষম করে তোলে বহু গুণ। রসুনে রয়েছে অ্যালিকিন যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়ে।

৮. হলুদ
হলুদ মোটা হবার প্রবণতা থেকে শুরু করে ক্যান্সার – সবকিছুর বিরুদ্ধেই লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। এটি দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহও সারিয়ে তোলে। এছাড়া এটি জ্বর, ঠাণ্ডা ও ফ্লু-এর বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

৯. আদা
আদায় উপস্থিত ভিটামিন(Vitamins) সি কাশি এবং ঠাণ্ডার সমস্যা দ্রুত সারিয়ে তোলে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ প্রতিরোধেও আদার তুলনা নেই।

আরো পড়ুন  মরণব্যাধি ক্যানসার তৈরি করে যেসব খাবার সাবধান হন

১০. কাঠবাদাম
কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই যা খুবই শক্তিশালী একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ঠাণ্ডার সমস্যা ও কাশি প্রতিরোধ করে। এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট(Fat) শরীরে শক্তি প্রদান করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বজায় রাখে এবং ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান থেকে রক্ষা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.