ঝলমলে নিখুঁত ফর্সা ত্বক পেতে রাতের ২টি ফেসিয়াল মাস্ক
ঝলমলে উজ্জ্বল এবং সমস্যাবিহীন ত্বক (skin) পেতে সারাদিন শেষে রাতে ত্বকের (skin) যত্ন নিলে খুব সহজেই পাবেন নিখুঁত সুন্দর ত্বক। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল রাতে ব্যবহারের ২ টি ফেসিয়াল মাস্ক যা দূর করবে ত্বকের (skin) নানা রকম সমস্যা।
১/ চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েলের ফেসিয়াল স্ক্রাব-
সব ধরনের ফেসিয়াল স্ক্রাবের মধ্যে এই স্ক্রাবটি সবথেকে ভালো। কারন এই স্ক্রাবটির উপাদান অনেক সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক বলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এবং এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। অলিভ অয়েল ত্বককে কোমল করে ও চিনি ত্বকের (skin) উপরিভাগের মরা কোষ দূর করে।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল। ২ চা চামচ চিনি, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি হাতের তালুতে নিয়ে মুখের ত্বকে (skin) হালকাভাবে ঘষে লাগান। মুখে এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩ বার করুন। ত্বকের উজ্জলতার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।
২/ কলা এবং দইয়ের ফেসিয়াল মাস্ক-
কলা খেতে যতটা সুস্বাদু ততোটাই উপকারি। কলা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের (skin) কোমলতার জন্য একটি অসাধারন উপাদান। অন্যদিকে দই ত্বকের (skin) উজ্জলতা বৃদ্ধিতে সব সময়ের জন্যই উপকারি।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে ১ টি কলা, ১ চা চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ দুধ ও ২ চা চামচ টকদই। প্রথমে একটি বাটিতে কলা নিয়ে চামচের মাধ্যমে ম্যাশ করুন। এরপর এতে ২ চা চামচ দই নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে মধু ও দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি আলতো ঘষে ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মিশ্রণটি ত্বকে (skin) থাকতে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে একটি পাতলা তোয়ালে দিয়ে পানি মুছে ফেলুন। এই মাস্কটি ত্বকের উজ্জলতা ও কোমলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে (skin) একটি মিষ্টি সুগন্ধ তৈরি করে।
আরো পড়ুন, সান ট্যান থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়
রোদের তেজ বেড়ে যাওয়া, আর এর ফলেই দেখা যায় ত্বক (skin) পুড়ে যাওয়ার সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে অনেকই আবার পার্লারে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করেন। কিন্তু ঘরে বসে সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করে এই সান ট্যান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরাঃ
সামান্য অ্যালোভেরা জেল নিয়ে হাতে ভাল করে ঘষে নিন। এতে ত্বক (skin) যেমন ভাল থাকবে তেমনই সান ট্যান থেকে রেহাই মিলবে। টানা দুই থেকে তিন মাস এটি ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও এলার্জী, সংক্রমণ বা পোকা কামড়ালেও এই জেল ব্যবহার করে যেতে পারে।
পাকা পেঁপেঃ
পাকা পেপে চটকে পেস্ট তৈরি করের ত্বকের (skin) উপর মাস্কের মতো করে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিন। এতে ট্যান যেমন দূর হবে তেমনই আপনার ত্বক অনেক বেশি ফর্সা দেখাবে। দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত এটি করলে উপকার পাবেন।
গোলাপ জল, শশা, লেবুঃ
সামান্য গোলাপজলে শশার রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটিকে দিনে একবার করে ত্বকে (skin) লাগান, তফাৎ নিজের চোখেই দেখতে পারবেন।