সুন্দর হাসির জন্য চাই সুন্দর ঠোঁট(Lip)। এ জন্য শুধু লিপস্টিক ব্যবহার করলেই হবে না দরকার বাড়তি যত্ন। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে কিছু পন্থা জানানো হয়।
– ঠোঁটে মেকআপ(Makeup) করার আগে অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে। নয়তো ঠোঁটে লিপস্টিকের রং বিভিন্ন স্তরে দলা হয়ে থাকবে। পরিষ্কার ঠোঁট প্রথমে ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নরম করে তাতে লিপস্টিক দেবেন।
নিচের ঠোটের মাঝের অংশ থেকে শুরু করে দুইপাশের কিনারায় লিপস্টিকের রেখা টেনে নিতে হবে। এরপর উপর ও নিচের ঠোঁট চেপে ধরে রংকে উপরের ঠোঁটেও পৌঁছে দেবেন। টিস্যু চেপে লিপস্টিকের রং(Lipstick color) শুকিয়ে নিতে হবে। দীর্ঘ সময় লিপস্টিকের রং ধরে রাখার জন্য এই পদ্ধতি পুনরায় করতে হবে।
– লিপস্টিকের রং আকর্ষণীয় করতে চাইলে এমন রং বাছতে হবে যেন গায়ের রংয়ের সঙ্গে মানানসই হয়। ট্রেন্ডি, ট্রেডিশোনাল, নো-লুক ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন মেইকআপের ধরণ অনুযায়ী গায়ের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে কয়েকটি রংয়ের লিপস্টিক সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। একেক সময় একেক রকমের মেকআপের(Makeup) সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন।
– রংয়ের মতো লিপস্টিকের ধরণ বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও নিজের গায়ের রং এবং সাজের উপর নির্ভর করে। প্রায় সব রংয়ের লিপস্টিকেরই গ্লসি এবং ম্যাট ধরণ পাওয়া যায়। সাজ কী রকম হবে তা মাথায় রেখে লিপস্টিক নির্ধারণ করুন। সাধারণত গ্লসি লিপস্টিকে তরুণ দেখাবে এবং ম্যাট এনে দেবে আভিজাত্যময় ভাব।
– ঠোঁটের মৃত কোষ অপসারণ করুন। নরম ও গোলাপি করতে চাইলে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে ঠোঁটে এমন বাম লাগান যাতে মৌমাছির প্রাকৃতিক(Natural) মোম রয়েছে। বাম লাগানোর আগে শুকনাচিনির দানা ও ঘি ঠোঁটে মেখে ঘষে ঘষে মৃত কোষ তুলে ফেলুন। বামের বদলে মধু মাখলেও একই উপকার পাবেন।
– ঠোঁট আরও দ্যুতিময় করতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন সি(Vitamin C) সম্বলিত ফলের রস পান করুন। এগুলো শুধু শরীরের আর্দ্রতাই ধরে রাখবে না, নতুন কোষও সৃষ্টি করবে।
– ধূমপান এবং গরমপানীয় খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করুন। এগুলো ঠোঁট শুষ্ক করে ফেলে এবং পুড়িয়ে কালোও করে দেয়।