আমাদের দৈনন্দিন জীবনে লবন একটি অত্যন্ত জরুরী উপাদান। লবন ছাড়া খাবারের কথা চিন্তাও তো করা যায় না, তাই না? তবে এই সাধের লবণও কিন্তু হয়ে দাঁড়াতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। কেননা লবন(Salt) নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক, কিন্তু মাত্রার অধিক হলেই তা ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। জেনে নেয়া যাক অধিক লবনের কারনে কি ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে এবং এর সমাধানই বা কি –
অধিক লবন ও শারীরিক সমস্যা-
* সারাদিনে ৫ গ্রামের বেশি লবন খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে।
* অধিক লবন খেলে রক্ত চাপ(Blood pressure) বাড়ে। এছাড়া বেশি লবন মস্তিষ্কের রক্ত ক্ষরণ ও হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে।
*অতিরিক্ত লবন শরীরে বেশি পানি ধরে রাখে, ফলে ওজন বেড়ে যায়।
* পরিমানের অধিক লবন হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে নেয়, ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এর কারনে অষ্টিওপরসিস এর সমস্যা হতে পারে।
* যাদের অ্যাজমা আছে ,অধিক লবন খেলে তাদের অ্যাজমার উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে।
* কিডনি সারাদিনে ৪-৫ গ্রামের বেশি লবন অপসারণ করতে পারে না, তাই অতিরিক্ত লবন কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে কিডনি(Kidneys) দুর্বল করে দেয়।
কি ভাবে কমানো যায় অতিরিক্ত লবন খাওয়া –
* ভাত খাওয়ার সময় বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
* ফাস্ট ফুডে বেশি মাত্রায় লবন থাকে। তাই ফাস্ট ফুড(fast food) কম খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো।
* টিনজাত সুপ ,সবজি, মাছমাংস কম খাবেন। কারন এসব খাবার বেশি দিন ভাল রাখার জন্য অধিক লবন ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তাজা সবজি ও মাছমাংস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
* কাঁচা ফলমূল(Fruit) ও সবজি খাওয়ার সময় লবণ পরিহার করুন। একটু কষ্ট করে হলেও লবন ছাড়া খেয়ে নিন।
*পাস্তা ও চাওমিন লবন ছাড়া পানিতে সিদ্ধ করুন।
* লবন দেয়া বাদাম, চিপস , পপ কর্ণ কম করে খান।
* খাবারে সয়াসস,সালাদ ড্রেসিং কম ব্যবহার করুন। কারন এই সবে লবনের পরিমান বেশি থাকে।
* শুটকি মাছ যতটা সম্ভব কম খাবেন। কারন শুঁটকি মাছ(Dry fish) তৈরি করার প্রধান উপাদানই হল লবন।
* খাদ্য সংরক্ষণ করার জন্য লবনের বদলে লেবুর রস বা ভিনিগার ব্যবহার করুন।
* পিজা খাওয়ার সময় বাড়তি পনির পরিহার করুন, কারন পনিরে অনেক বেশি লবন থাকে।
* সালাদ বা সুপে একবারই লবন(Salt) মেশান ,বার বার মেশাবেন না।
* ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ভেল পুরি কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। নোনতা খাবার যে একে বারেই খাবেন না তা নয় , কম করে খান ।